মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

উচ্ছ্বসিত অপু বিশ্বাস!

SONALISOMOY.COM
ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৬

বিনােদন ডেস্ক: ঠোঁটে জ্বর ঠোসা নিয়ে বিব্রত অপু বিশ্বাস! এফডিসির সাজঘরে কিংবা শুটিংয়ে এ নিয়ে কেউ কিছু বলার আগে নিজে থেকেই ঠোঁট ঢেকে জানান দিচ্ছেন, ‘কী যে মুশকিল, আর বলবেন না। রেখে ঢেকে শুটিং করতে হচ্ছে।’ শুধু জ্বর ঠোসা নয়, অপু চিন্তিত আরেকটি কারণে। এটা অবশ্য বলতে বারণ। তাও ভক্তদের উদ্দেশে ইনসার্টে বলা যাক…(মুটিয়ে গেছেন অপু!)।

৩ ডিসেম্বর ‘রাজনীতি’র শুটিংয়ের জন্য মুক্তিযোদ্ধা জসিম ফ্লোরের সাজঘরে তৈরি হচ্ছিলেন অপু। তার পরিচিত একজন এসে বললেন, ‘তোমার ‍মুখ তো বেশ ফোলা ফোলা, মোটা হচ্ছো নাকি?’ ঘটনার সূত্রপাত তখনই। চিন্তায় পড়ে গেলেন বগুড়ার বিশ্বাস বাড়ির আহ্লাদি মেয়েটি। ‘আমারও মনে হচ্ছে একটু ওজন বেড়েছে। কিন্তু এমন তো হওয়ার কথা না। হার্ড ডায়েটিং শুরু করতে হবে…।’

প্রসঙ্গ এটা নয়। ৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে অপু বিশ্বাসের নতুন ছবি ‘রাজা ৪২০’। নতুন বছরে এটিই তার প্রথম রিলিজ। ছবিটি নিয়ে উচ্ছ্বসিত অপু। ছবিটির ব্যবসায়িক সাফল্য নিয়েও চিন্তামুক্ত এই নায়িকা। তিনি বলেন, ‘কমেডি ধাঁচের ছবি কমই করেছি। এটা একদম মাস্তিতে ভরা। মৌলিক গল্পের ছবি। এটাই বড় শক্তি। আমি মনে করি, দর্শকের পয়সা উসুল হবে।’OPU2

ছবির ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য সব সময়ই অপুর সহায়ক নায়ক শাকিব খান। এ ছবিতেও তার সঙ্গে থাকছেন কিংখান। ছবিটিতে নতুন এক শাকিবকে পাওয়া যাবে বলেও মনে করেন অপু। স্বল্প পরিসরে প্রচারের আলোয় এসেছে উত্তম আকাশের ‘রাজা ৪২০’। এটা উল্লেখ করার মতো নয়। কথা হলো এ নিয়েও।

‘শাকিব-অপু জুটির ছবির প্রচারের প্রয়োজন পড়ে না বলে মনে করেন? কোনো ছবির বেলাতে সেভাবে প্রমোশন থাকে না। এর কারণ কী?’ সময় নিয়ে উত্তর দিলেন অপু। তিনি বললেন, ‘এটা বেশ সত্যি কথা যে, আমাদের দু’জনের ছবির প্রচার-প্রচারণা অপেক্ষাকৃত কমই হয়। এটা এ সময়ে বেশ বেমানান। আমি কিংবা শাকিব খান দু’জনেই চাই ছবির প্রমোশনে মাঠে নামতে। কিন্তু বরাবরই যেটা হয়, পরিচালক বা প্রযোজকদের পক্ষ থেকে তেমন সহযোগিতা পাওয়া যায় না। যেখানে প্রচারেই প্রসার, সবাই নানা রকম প্রমোশন করছে, সেখানে আমার ছবি পিছিয়ে আছে। তবে এ কারণে আমি কৃতজ্ঞ ভক্তদের কাছে। এটা উপরওয়ালারও ইচ্ছে বোধহয়, ভক্তরা শাকিব-অপুর ছবির খোঁজ ঠিকই পেয়ে যান এবং হলে গিয়ে আমাদের শেষরক্ষা করেন। এটা বেশ সৌভাগ্যেরও ব্যাপার।’

এখনকার ছবি কেমন হচ্ছে, প্রবণতাই বা কী- খোঁজ রাখেন অপু বিশ্বাস। অপু এসব নিয়ে কথা বলতে চান না। তবু শীর্ষ নায়িকার আসন তার দখলে বলেই বোধহয় চুপ থাকতে পারেন না। কিন্তু অপু মানতে নারাজ যে, তিনি শীর্ষ নায়িকা। কেনো?

অপু মনে করেন, চিত্রনায়িকা হিসেবে তিনি এখনও প্রতিষ্ঠিত নন। এর জবাব দিলেন বেশ তীর্যক আর রসিকতা মিশিয়ে। অপু বললেন, ‘দেখেন, আমাদের নায়িকারা এখন বিদেশকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছেন। যৌথ প্রযোজনার ছবিতে কাজ না করতে পারলে প্রতিষ্ঠিত নায়িকা হওয়া যায়? এর পাশাপাশি কলকাতার ছবিতেও জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টা রাখতে হবে। আমি কোনোটাই পারিনি। আমি ব্যর্থ।’OPU3

পাল্টা প্রশ্ন করা হয় তাকে। যৌথ প্রযোজনার ছবিতে প্রস্তাব পেলে কী করবেন? এবার সহাস্য জবাব দিলেন, ‘আমি তো আনুষ্ঠানিকভাবে রাস্তায় নেমে যৌথ প্রযোজনার ছবির বিরোধিতা করিনি। কাজেই সাইন করে ফেলবো। না হয় পিছিয়ে থাকতে হবে যে!’ বোঝা গেলো উত্তরটাতে বেশ হেয়ালিপনা জড়িয়ে রেখেছেন। এবং সচেতন পাঠকমাত্রই বুঝবেন এই জবাবে বিশেষ ইঙ্গিতও লুকিয়ে আছে। যা’ হোক।

অপু বিশ্বাস বিষয়গুলোর ব্যখ্যাও দিয়েছেন। তার মতে, ‘যৌথ প্রযোজনার ছবির মন্দ দিকগুলো অনুধাবন করতে হবে। আমাদের দেশের চলচ্চিত্রের স্বার্থ না থাকলে কী লাভ এমন ছবি করে? কলকাতা যখন পড়ি পড়ি তখন তাদের মনে হলো যৌথ প্রযোজনার ছবি করা যায়। ওরা যেদিন আবার ঘুরে দাঁড়াবে, সেদিন আমাদের ফিরেও দেখবে না। আর ওখানে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কিছু নেই। নিজেদের শিল্পী ছাড়া ওরা কাউকে জায়গা দেবে না। এর উল্টো কাজটাই আমরা করছি। নিজেদের আসন ছেড়ে দিয়ে তাদের বসতে দিচ্ছি। এর ফল নিশ্চয়ই আমাদের ভোগ করতে হবে।’POU1

এসব নিয়ে অপু হতাশ? এমন প্রশ্নের প্রেক্ষিতে হাসলেন এই সুন্দরী। বললেন, ‘হতাশ হওয়ার কিছু নেই। ভক্তদের ভালোবাসায় ভালো আছি। যতোদিন তারা পর্দায় দেখতে চাইবেন, কাজ করবো। ফুরিয়ে গেলে সরে দাঁড়াবো।’