শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

নেপালের দেয়া ২১২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে ব্যাট করছে বাংলাদেশ

SONALISOMOY.COM
ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৬

bdস্পোর্টস ডেস্ক: যুব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নেপালের দেয়া ২১২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে ব্যাট করছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তবে শুরুতেই একটা ধাক্কা খেয়েছে মিরাজ বাহিনী। দলীয় ১৭ রানেই ওপেনার সাইফ হাসান ফিরে গেছেন সাজঘরে। সুনীল ধামালার বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি।

এরপর পিনাক ঘোষ ও জয়রাজ শেখ এগিয়ে যাচ্ছিলেন। দ্বিতীয় উইকেটে এই দুজন যোগ করেন ৪৬ রান। এরপরই ভুল বুঝাবুঝিতে পিনাককে রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। আউট হওয়ার আগে ৫৪ বল থেকে দুটি চারের মারে ৩২ রান করেন তিনি। এরপরই স্কটিশদের বিপক্ষে সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হাসান শান্তকে নিজের বলে নিজেই ক্যাচ ধরে ফেরত পাঠান প্রেম তামাং।

শুরু থেকেই কিছুটা উত্তেজনা ছড়াচ্ছিলেন জয়রাজ শেখ। সেই জয়রাজকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান সুনীল ধামালা। যদিও ধামালার এই বলটি লেগ স্ট্যাম্পের বহি:প্রান্তের লাইনে ছিল। তাই অনেকটা দুর্ভাগ্যজনকভাবেই ফিরে যেতে হয় তাকে। আউট হওয়ার আগে ৬৭ বল থেকে চারটি চারের মারে জয়রাজ করেন ৩৮ রান। শেষ পর্যন্ত ২৯ ওভারে ১০০ রান পূর্ণ করতে সক্ষম হয় মিরাজ বাহিনী। যদিও এর মধ্যেই টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান ফিরেছেন সাজঘরে।

এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার সকালে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করে নেপাল নয় উইকেটে ২১১ রান করে। বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ দিয়েই শুরু হয়েছে যুব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই।

বাংলাদেশ অবশ্য শুরুর দিকে নেপালকে অনেকটা চেপে ধরতে পারলেও শেষ দিকে লড়াকু স্কোরই গড়তে সক্ষম হয় হিমালয় কন্যা। মাত্র ১৭ রানে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম উইকেট তুলে নিয়েছিলেন সাইফুদ্দিন। সন্দীপ সুনারকে দলীয় ১৭ রানে বোল্ড করেন তিনি। দুই রানের ব্যবধানে যুগেন্দ্র কার্কি মেহেদি হাসান রানার বলে সাইফের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে মাঠ ছাড়েন। এই দুজনই আউট হন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই।

পরে সুনীল ধামালা (২৫) রান আউট হন। দলীয় ১১৪ রানে আবারো সাইফুুদ্দিন আঘাত হানেন। তার বলে জয়রাজের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে মাঠ ছাড়েন আরিফ শেখ (২১)। এরপর নেপালের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান রাজু রিজালকে থামাল বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত শান্ত-জাকিরের যৌথ প্রচেষ্টায় রান আউট হয়ে ফিরেন তিনি। তবে এর আগেই ৮০ বল থেকে আটটি চার ও একটি ছক্কার মারে ৭২ রান করেন। যা নেপালকে লড়াকু ইনিংস খেলতে সহায়তা করে।

পরে রাজিব সিংহকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সালেহ আহমেদ শাওন। দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই ফিরে যান তিনি।এরপর কুশাল বার্টেলও (১৪) পড়েন রান আউটের ফাঁদে এবং দিপেন্দ্র সিং অইরি (২২) বোল্ড হয়ে যান অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের বলে। ইনিংসের শেষ বলে সর্বশেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন সুশীল কান্ডেল।

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সাইফুদ্দিন দুটি এবং শাওন, মিরাজ ও রানা একটি করে উইকেট নেন। নেপালের ইনিংসে সবচেয়ে বেশি চারজন ব্যাটসম্যান আউট হয়েছে রান আউটের ফাঁদে পড়ে।