এক চুমুতে প্রেগনেন্ট হলেন শাম্মী হক!
শাম্মী হক: গতকালকের দীর্ঘ প্রকাশ্য চুম্বনের পর, রাতে এসে কেমন যেন বমি বমি ভাব সাথে আবার মাথা ঘুরাচ্ছিল। হঠাৎ প্রচ- ভয় লাগছিল। কী জানি কী ভেবে সকালে উঠে প্রেগনেন্সি টেস্টার কিনে টেস্ট করলাম। কী অদ্ভুত, রেজাল্ট “পজেটিভ” আমি প্রেগনেন্ট? এটা কি করে সম্ভব? সমস্ত পৃথিবীটা যেন মাথার উপর ভেঙে পরেছিল। কল দিলাম অনন্যকে।
তুমি কই? আমি তো প্রেগনেন্ট!
অনন্যঃ ফাইজলামি করো? চুমুতে কেউ প্রেগনেন্ট হয়?
আমিঃ আমি টেস্ট করায়েছি। ‘পজেটিভ’। তুমি আসো ডাক্তারের কাছে যাব। বিষয়টা বোঝা দরকার।
অনন্যঃ তোমার এই ফাইজলামির সাথে আমি নাই। বাই।
অনন্য ফট করে কলটা কেটে দিল। সবাই আগেই বলেছিল, নাস্তিকের ছেলে নাস্তিকই হয়। শালা নাস্তিকের বাচ্চা। আগেই সাবধান হওয়া উচিৎ ছিল।
এক দৌড়ে ডাক্তারের কাছে গেলাম।
ডাক্তারও সব শুনে বিস্মিত। সে আবারো টেস্ট করল, এবং একই রেজাল্ট!!
চুমুতে কীভাবে প্রেগনেন্ট হয়? ডাক্তারকে চ্যালেঞ্জ করলাম। ডাক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখলেন, আসলেই কোন সঙ্গমের প্রমাণ পাওয়া যায় নি। এবার যেন ডাক্তারের মাথায়ই পৃথিবী ভেঙে পরলো। এই রহস্য উৎঘটনের জন্য ডাক্তার ৪ সদস্য বিশিষ্ট রহস্য উৎঘটন কমিটি তৈরি করলো।
কিছুক্ষণ আগে আমাকে তলব করলো, আমি গেলাম। বসে আছি ৪ জন বিশিষ্ট ডাক্তারের সামনে। সবার মুখ গম্ভির। ডাক্তার বললো- আমরা অনেক পরীক্ষা, নিরীক্ষা, গবেষনা করেও এর কোন সমাধান খুঁজে পেলাম না। তুমি একটা প্রশ্নের উত্তর দাও তো-
আমিঃ জ্বি।
ডাক্তারঃ তুমি যে ছেলেটার সাথে চুমু খেয়েছিলে, সে কোন দেশের?
আমিঃ বাংলাদেশ। বাঙাল সে।
ডাক্তারঃ আরে ধুর। সেইটা আগে বলবা না? তুমি বাংলাদেশি পোলারে চুমা দিছো। সেইটা প্রথমে বললেই তো হতো, শুধু শুধু আমাদের এত সময় নষ্ট।
আমিঃ (চক্ষু যত বড় বড় করা যায়, তাই করে জিজ্ঞাসা করলাম) মা মা মানে?
ডাক্তারঃ পৃথিবীতে একটা দেশই আছে, যে দেশের বড় একটা অংশর কাছে চুমু এবং সঙ্গম একই। সেই দেশে কনডম ছাড়া চুমু দিলেই প্রেগনেন্ট হয়ে যায়। তোমাদের ঠোঁটে অবশ্যই কনডম পরা উচিত ছিল। আমাদের সময়.কম । ফেইসবুক থেকে