শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

বিশ্বকাপে ভাল খেলার প্রত্যয় জাহানারাদের

SONALISOMOY.COM
ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৬

ঢাকা: সময়ের পরিক্রমায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। ছেলে দলের পাশাপাশি ক্রিকেটের বিশ্ব অঙ্গনে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করতে উঠে পড়ে লেগেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলও। এমনই চ্যালেঞ্জিং এক লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরে বাংলাদেশ নারী দল তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন অধিনায়ক জাহানারা আলম।
11892169_905357922865023_4433879915638710614_n
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে তিনি এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এ কথা অনস্বীকার্য যে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ছেলে ক্রিকেট দলের যে পারফরম্যান্স তাতে তাদের এশিয়ার ক্রিকেটের পরাশক্তি বললে এতটুকু অত্যুক্তি হয়না। সেই বিচারে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল একটু পিছিয়েই বলতে হবে।

বিশ্বকাপের এবারের আসরে পাহাড় সমান উঁচু প্রত্যাশা নিয়ে ভারতে যাচ্ছে মাশরাফি-সাকিবরা। সেই তুলানায় সালমা জাহানারাদের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা কী ততটুকু আছে বা থাকবে?

উত্তরে জাহানারা যা বললেন, ‘প্রত্যাশার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ছেলে কিংবা মেয়ে দল কোনো ব্যাপার না। ছেলে ও মেয়ে একই কথা। বাংলাদেশের সবাই প্রত্যাশা করে যে, ছেলে ও মেয়ে দল একটি ভাল ফলাফল নিয়ে আসুক। আমাদের কাছেও হয়তো সবার প্রত্যাশা একটাই যেন বিশ্বকাপের মঞ্চে ভাল ক্রিকেট খেলে আসতে পারি। আমাদেরও বিশ্বাস যে আমরা ভাল ক্রিকেট খেলবো।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অংশগ্রহণ করছে কোচ গামাগের শিষ্যরা। প্রথম আসরটি ছিল ২০১৪ সালে নিজেদের মাটিতে। এবারেরটি ভারতে।

বিশ্বকাপের গেল আসরে স্বাগতিক হওয়ায় কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে থেকেই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। কিন্তু এবারের আসরে তাঁদের বাছাই পর্বের ম্যাচ খেলে নিজেদের যোগ্যতার শতভাগ প্রমাণ দিয়ে তবেই বিশ্বকাপের মূল আসরে জায়গা করে নিতে হয়েছে।

গেল বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের গ্রুপ পর্ব থেকে শুরু করে সেমিফাইনাল পর্যন্ত টানা চার জয় নিয়ে ফাইনালে খেলেছে জাহানারা বাহিনী। তাই সঙ্গত কারণেই তাদের এবারের লক্ষ্যটিও গেল বারের চেয়ে অনেক উঁচুতে। ‘আমরা প্রথমবার যখন বিশ্বকাপে খেলেছিলাম তখন ছিলাম স্বাগতিক। এবার যোগ্যতা নিয়ে ভারতে যাব। আমরা অনেক আত্মবিশ্বাসী এবং লক্ষ্য র‌্যাংকিংয়ে ৭-৮ এর মধ্যে থাকা।’

বিশ্বকাপ শুরু হতে একমাসেরও কম সময় হাতে আছে। এছাড়া বাছাইপর্ব খেলে আসার পর আক্ষরিক অর্থেই কোন প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। তাই একটু দক্ষতার কমতি থাকতেই পারে।

কিন্তু টাইগ্রেস অধিনায়ক জাহানারা মনে করেন তাঁদের কোনো কিছুতেই কোন কমতি নেই। ‘একথা সত্য যে দিনের পর দিন ম্যাচ খেললে দক্ষতার উন্নতি হয়। বিসিবি আপ্রাণ চেষ্টা করেও এতদিন কোন প্রস্তুতি ম্যাচের আয়োজন করেত পারেনি। কারণ, অন্যান্য দলগুলো তাদের পূর্ব নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী যার যার খেলায় ব্যস্ত। তাই বলে খেলতে না পারাকে আমি কমতি বলতে চাই না। তবে, আমরা প্রস্তুতিতে ভাল সুযোগ সুবিধা পেয়েছি এবং আমরা ভবিষ্যতে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবো।’

১৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরে যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। গ্রুপ পর্বের পরের তিন ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ যথাক্রমে ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান।