শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

যশোরে গুলিতে যুবক নিহত, ভাইয়ের দাবি ‘পুলিশ মেরেছে’

SONALISOMOY.COM
ডিসেম্বর ১১, ২০১৬
news-image

যশোর প্রতিনিধি: যশোরে ‘দুই দল সন্ত্রাসীর গোলাগুলিতে’ এক যুবকের নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে পুলিশ, যাকে দুই দিন আগে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আটক করেছিল বলে পরিবারের ভাষ‌্য।

নিহত ইফসুফ (৩০) শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের আব্দুল লতিফের ছেলে। পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর রোববার সকালে তার মৃত‌্যু হয়।

ইউসুফের পরিবারের দাবি, গত শুক্রবার ইউসুফকে আটক করে ‘টাকা চেয়ে না পাওয়ায়’ পুলিশ তাকে ‘গুলি করে মেরেছে’।

কোতোয়ালি থানার এসআই এইচএম শহিদুল ইসলাম বলছেন, শনিবার গভীর রাতে শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক মোড়ে দুই দল সন্ত্রাসীর মধ্যে গোলাগুলি খবর পান তারা।

“রাত পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ইউসুফকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।”

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইউসুফ আলী জানান, গভীর রাতে ওই যুবককে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার ডান হাঁটুর উপরে গুলি লেগে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সোয়া ৯টার দিকে ইউসুফের মৃত্যু হয় বলে সার্জারি বিভাগের ডা. তুহিন জানান।

ইফসুফের বড় ভাই ওমর শরীফ রাজার দাবি, শুক্রবার রাতে শহরের চাঁচড়া মোড় থেকে তার ভাইকে আটক করে পুলিশ।

“ওইদিন থানার এসআই ইউসুফ পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে দেখা করতে বলে। পরে শনিবার আবার তিন লাখ টাকা নিয়ে দেখা করার জন্য বলে। আমরা টাকা দিইনি।

এরপর রোববার সকালে ইউসুফের গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর পান বলে জানান রাজা।

তিনি বলেন, তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় সে জড়িত বলে পুলিশ দাবি করলেও ওই এজাহারে আসামি হিসেবে কারও নাম নেই।

“আমার ভাইতো গুলি করে মারার মত কোনো অপরাধী নয়, কেন তাকে গুলি করে মারা হল,” প্রশ্ন করেন রাজা।

এ ঘটনায় মামলা করবেন বলেও স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।

ইউসুফের পরিবারের কাছে টাকা চাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন কোতোয়ালি থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন।

তিনি বলছেন, অপসো ফার্মা নামে একটি ওষুধ কোম্পানির এক কর্মীকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ছিনতাই করার অভিযোগ রয়েছে ইউসুফের বিরুদ্ধে। কয়েক মাস আগে ঘোপ এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।

“ওই টাকার ভাগাভাগি নিয়ে গোলযোগে সৃষ্ট গোলাগুলিতে সে জখম হয়েছিল। এছাড়া সে একটি সন্ত্রাসী দলের হোতা। তার বিরুদ্ধে আরও ক’টি মামলা আছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।