বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

শিল্পে সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ তৈরি করতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

SONALISOMOY.COM
ডিসেম্বর ১১, ২০১৬
news-image

শ্রমিককল্যাণ এবং কর্মক্ষেত্রে সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । তিনি শিল্প মালিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি শিল্পপতিদের স্ব স্ব কারখানায় কর্মপরিবেশ উন্নয়ন, শ্রম অধিকার নিশ্চিতকরণ, পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, অধিকসংখ্যক নারী ও প্রতিবন্ধী শ্রমিক নিয়োগসহ শ্রমিকদের জন্য কল্যাণমূলক ব্যবস্থা জোরদার করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘উন্নয়ন সহযোগীগণ অতীতের মতো ভবিষ্যতেও দক্ষতা উন্নয়ন, নিয়োগযোগ্যতা বৃদ্ধি ও শোভন কর্মপরিবেশ সৃষ্টিতে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন।’

শিল্পোদ্যোক্তাসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সক্রিয় সহযোগিতা এবং অংশীদারত্ব ব্যতীত শুধু সরকারি উদ্যোগ এ ‌ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল নিয়ে আসতে পারবে না, বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘ঢাকা সামিট অন স্কিলস, এমপ্লয়াবিলিটি অ্যান্ড ডিসেন্ট ওয়ার্ক-২০১৬’ (দক্ষতা, নিয়োগযোগ্যতা এবং শোভন কাজ) শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় (এমওএলই), বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন (বিইএফ), ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেশন কমিটি ফর ওয়ার্কার্স এডুকেশন (এনসিসিডব্লিউই) যৌথভাবে তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

সরকার পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি এবং বাজার সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন প্রণোদনামূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এ ক্ষেত্রে শুধু প্রণোদনাই যথেষ্ট নয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘শুধু প্রণোদনাই যথেষ্ট নয়, আমাদের মূলধন ও প্রযুক্তিতে বেশি বিনিয়োগ এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাকসহ আমাদের বেশির ভাগ পণ্য স্বল্প-মজুরি, নিম্নমান, স্বল্পমূল্য ইত্যাদির ফাঁদে আটকে আছে। আমাদের এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধাগুলোকে উন্নততর উৎপাদনশীলতার ওপর ভিত্তি করে পুনর্বিন্যাস করতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের শিখতে হবে কী করে বর্তমান পণ্যসামগ্রীতে মূল্য সংযোজন করা যায়।

ভবিষ্যৎ অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থানের জন্য আমাদের পণ্যের বৈচিত্র্য এবং পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ প্রয়োজন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল কর্ম বিশ্বে উদ্ভাবন শক্তি, সৃজনশীলতা এবং কাস্টমাইজড উৎপাদন ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যতের জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। তখনই কেবল বিশ্বব্যাপী পণ্য ও সেবার ‘সাপ্লাই চেইন’-এ আমরা নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পারব। এই সত্যটি সামনে রেখে আমাদের শিক্ষার সঙ্গে দক্ষতাকে মিলিয়ে নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মহাপরিচালক গাই রাইডার, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক বক্তৃতা দেন।

অন্যান্যের মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশনস অব এমপ্লয়ার্স (আইওই)এর মহাসচিব লিন্ডা ক্রোমজং, বিজেএমইএ’র সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার বেনোই-পিয়েরে লারামি, বিশ্বব্যাংকের পরিচালক অমিত দার, ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স কোঅর্ডিনেশন কমিটির চেয়ারম্যান শাহ মো. আবু জাফর, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন সভাপতি সালাহ উদ্দীন কাসেম খান বক্তৃতা দেন। বাসস