শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

হলি আর্টিজানে হামলায় জঙ্গিদের খরচ আট লাখ টাকা

SONALISOMOY.COM
ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬
news-image

নিজস্ব প্রতিবেদক: গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালাতে জঙ্গিদের খরচ হয়েছে আট লাখ টাকা। অস্ত্র-বিস্ফোরক সংগ্রহ, প্রশিক্ষণ, যাতায়াত ও থাকা-খাওয়া বাবদ এই টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। তদন্তের বিভিন্ন পর্যায়ে পাওয়া হিসাব থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, তদন্তে জঙ্গিদের খরচ সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে শুধুমাত্র এ হামলার জন্য তারা খরচ করেছিল প্রায় আট লাখ টাকা। এর মধ্যে বড় খরচ হয়েছে অস্ত্র কেনায়।

কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের হিসাব মতে, ওই হামলায় ‘নব্য জেএমবি’র জঙ্গিরা পাঁচটি নাইন এম এম পিস্তল, তিনটি একে ২২ রাইফেল ও ১১টি হাতে তৈরি গ্রেনেড ব্যবহার করেছে। নাইন এমএম পিস্তলগুলো ভারতে স্থানীয়ভাবে তৈরি (ফ্যাক্টরি মেড নয়)। এগুলোর প্রতিটির বাজারমূল্য সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকার মতো। সে হিসেবে এ বাবদ তাদের খরচ হয়েছে দুই লাখ টাকা। তাদের ব্যবহৃত একে ২২ রাইফেলগুলোও একইভাবে তৈরি, খুব উন্নত প্রযুক্তির নয়। এগুলোর একেকটির বাজারদর সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা। হামলায় যে বিস্ফোরক ব্যবহার করেছিল তাতে সর্বোচ্চ ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। এ ছাড়া তাদের প্রশিক্ষণ পর্যায়ে বাসা ভাড়া করা, খাওয়া, যাতায়াত ইত্যাদি সব মিলিয়ে আরও তিন লাখ টাকার মতো খরচ হতে পারে। সব মিলিয়ে আট লাখ টাকা খরচ তাদের হয়েছে বলে ধারণা করা যায়।

কর্মকর্তারা বলছেন, ওই হামলার জন্য জঙ্গিদের কাছে হুন্ডির মাধ্যমে দুই চালানে ২৮ লাখ টাকা বিদেশ থেকে এসেছে বলে তদন্তে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। নব্য জেএমবির সদস্য বাশারুজ্জামান ওই টাকা সংগ্রহ ও বণ্টন করেছিলেন। এর বাইরে র‍্যাবের অভিযানে গত ৮ অক্টোবর নব্য জেএমবির নেতা সারোয়ার জাহানের বাসা থেকে নগদ ৩০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

জঙ্গিদের টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, হলি আর্টিজানে হামলার টাকার উৎস সম্পর্কে এখনো অনেক কিছু জানার বাকি রয়ে গেছে। তবে কাজ চলছে।

গত ১ জুলাই রাতে গুলশানে হলি আর্টিজানে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ২০ জন দেশি-বিদেশি নাগরিককে হত্যা করে। তাৎক্ষণিক অভিযান চালাতে গিয়ে নিহত হন পুলিশের দুজন কর্মকর্তা। পরদিন সকালে সেনা কমান্ডোদের জিম্মি উদ্ধার অভিযানে পাঁচ জঙ্গি ও ওই রেস্তোরাঁর এক পাচক নিহত হন। রেস্তোরাঁর আটক আরেক কর্মী জাকির হোসেন পরে হাসপাতালে মারা যান।