মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

সাকিবদের সেই চতুর্থ ইনিংস–বীরত্ব

SONALISOMOY.COM
ডিসেম্বর ১৯, ২০১৬
news-image

অনলাইন ডেস্ক: চতুর্থ ইনিংস-বীরত্ব—ক্রিকেট বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রে এখন এটা। ব্রিসবেন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তানের বীরোচিত চতুর্থ ইনিংসের পরই আসলে আলোচনার শুরু। বাংলাদেশেরও আছে এ রকম এক বীরত্ব-গাথা। যিদও পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশও ম্যাচটি হেরে গিয়েছিল। শ্রীলঙ্কার কাছে সাকিব আল হাসানরা ম্যাচটি হেরেছিল ১০৭ রানে। রানের হিসেবে ব্যবধানটা বেশ বড়ই। কিন্তু ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সেই টেস্ট ম্যাচটি অন্য রকম এক অনুভূতির উৎস হয়ে আছে এ দেশের ক্রিকেটে। বড় ইনিংস খেলতে না পারার বদনাম সেই সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গী। তখন চতুর্থ ইনিংসে অমন একটি ইনিংস বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের এনে দিয়েছিল দারুণ আত্মবিশ্বাস। ৫২১‘ রানের অসম্ভব এক জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ থেমেছিল ৪১৩ রানে।

সেই ম্যাচে মোহাম্মদ আশরাফুল করেছিলেন সেঞ্চুরি (১০১), সাকিব আল হাসান আউট হয়েছিলেন শতক থেকে ৪ রান দূরে। মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবালের ইনিংস আরেকটু লম্বা হলে গল্পটা হয়তো অন্য রকম হলেও হতে পারত। তা হয়নি। তবে টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ সংগ্রহের তালিকায় ত্রয়োদশ স্থানে জায়গা করে নিয়েছে সেই স্কোর।
লক্ষ্য ৫২১—অনেকেই হয়তো হয়তো সেদিন ম্যাচটা দেখার আগ্রহ হারিয়েছিলেন। প্রথম ইনিংসে ১৭৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। অনেকেই হয়তো ভেবেছিলেন দ্বিতীয় ইনিংসে আর কি হবে! মুত্তিয়া মুরালিধরন যে তখন ফর্মের তুঙ্গে। প্রথম ইনিংসে ৪৯ রানে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে মুরালি আতঙ্ক জয় করল বাংলাদেশ। ম্যাচের পঞ্চম দিনে ভাঁজ পড়েছিল শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনের কপালে। মুরালিধরনও হয়ে পড়েছিলেন কিছুটা এলোমেলো। যদিও তিনিই শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট তুলে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। ষষ্ঠ উইকেটে আশরাফুল ও সাকিবের ১১২ রানের জুটি বেশ সাহসী করে তুলেছিল বাংলাদেশকে। আশরাফুলের বিদায়ের পরেও খেলাটা ছিল বাংলাদেশের নাগালেই। সাকিবের সঙ্গে জুটি বেঁধে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। গড়েছিলেন ১১১ রানের জুটি। জয়ের জন্য তখনো ১১৮ রান দরকার ছিল। কিন্তু ধাম্মিকা প্রসাদের জোড়া আঘাত ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলে বাংলাদেশকে। আফসোস আর আক্ষেপে শেষ হয় টেস্ট ক্রিকেটে স্বপ্নের মতো বাংলাদেশের একটা দিন।
বাংলাদেশ সেই ম্যাচে খেলেছিল ১২৬.২ ওভার। মুরালিধরন একাই হাত ঘুরিয়েছিলেন ৪৮ ওভার। ১৪১ রান দেন লঙ্কান অফস্পিনার। এটা তাঁর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খরুচে বোলিং।