মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষ: আরও দুই মামলায় আসামি ২৫০

SONALISOMOY.COM
ডিসেম্বর ২৪, ২০১৬
news-image

নিজস্ব প্রতিবেদক: কারখানায় অবৈধভাবে প্রবেশ, ভাংচুর ও চুরির অভিযোগে আড়াইশ শ্রমিকের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা দায়ের করেছে দুটি প্রতিষ্ঠান।
শুক্রবার এন আর এন গামের্ন্টসের অতিরিক্ত পরিচালক মাসুদ রানা ও দি রোজ ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার সুপারভাইজার (নিরাপত্তা) মাহাবুব রহমান বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।

শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে এ পর্যন্ত ছয়টি মামলা দায়ের করা হলো। এর মধ্যে পাঁচটি হলো পোশাক কারখানা কর্তৃপক্ষের এবং একটি পুলিশের।

মামলাকারী পাঁচ কারখানা হলো-এনআরএন, দি রোজ ড্রেসেস, হা-মীম গ্রুপ, উইন্ডি অ্যাপারেলস ও ফাউন্টেন গার্মেন্টস লি.।

আশুলিয়া থানার ওসি মহসিনুল কাদির জানান, এনআরএন কর্তৃপক্ষের মামলায় কারখানার ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ৫০ জন ও দি রোজ ড্রেসেস এর মামরায় কারখানার ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশের মামলায় আসমিদের মধ্যে রয়েছেন সাভারের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন বাবু, তার ভাই সাভার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দেওয়ান মাঈনুদ্দিন বিপ্লব, নাট্য অভিনেতা এ আর মন্টু, আশুলিয়া থানা যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল মীর।

এ আসামিদের শ্রমিক অসন্তোষের হোতা উল্লেখ করে ওসি বলেন, তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বেতন বৃদ্ধিসহ অন্যান্য দাবিতে সোমবার আশুলিয়ার ২৫টি কারখানার শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন। এরই মধ‌্যে বাণিজ‌্য মন্ত্রী, নৌমন্ত্রী ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলেও আন্দোলন অব‌্যাহত থাকে এবং মঙ্গলবার ৫৫ কারখানায় কাজ বন্ধ থাকে।

বিভিন্ন সংগঠনের শ্রমিকনেতাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা আন্দোলনে সমর্থন না দিলেও শ্রমিকরা নিজেরাই সংগঠিত হয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।

এ বিষয়টি ধরে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কোনো একটা পক্ষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই খাতের ক্ষতি করতে অসন্তোষ সৃষ্টি করছে।

শ্রমিকদের এই আন্দোলনকে ‘অবৈধ’ আখ‌্যায়িত করে তিনি বলেন, শ্রমিকরা কাজে না ফিরলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব‌্যবস্থা নেওয়া হবে।

এরপর বিজিএমইএ এর পক্ষ থেকে আশুলিয়ার ৫৫ কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ফাউন্টেন ও উইন্ডি গার্মেন্টস থেকে ২৫৬ জন শ্রমিককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বেশ কয়েকজন শ্রমকি ও শ্রমকি নেতাকে আটকও করা হয়।