শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে ৬ জেলে গুলিবিদ্ধ

SONALISOMOY.COM
ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
news-image

কক্সবাজার প্রতিনিধি: মিয়ানমারের নৌবাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশি জেলেদের একটি ট্রলার লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই ট্রলারের ছয় জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎ​সা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরের সেন্ট মার্টিনের পূর্ব-দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে মৌলভীর শীল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ট্রলারে থাকা গুলিবিদ্ধ জেলেরা হলেন কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়ার উসমান গনি (২২), রফিকুল ইসলাম (৩০), নুর আহমদ (৩২), কক্সবাজারের ওসমান গনি (৩৫) ও মোহাম্মদ আলম (৩০) এবং কক্সবাজার মহেশখালীর সাইফুল ইসলাম (৩৫)।

কোস্টগার্ড ও জেলেদের ভাষ্যমতে, গত শুক্রবার কক্সবাজারের বাসিন্দা সুলতান আহমদের মালিকানাধীন এফবি জাবিনা-খালেদা-১ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলারে করে ১৪ জন জেলে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে বের হন। তাঁরা মঙ্গলবার সকালের দিকে সেন্ট মার্টিনের পূর্ব-দক্ষিণে মৌলভীর শীল এলাকায় জাল ফেলে মাছ শিকার করছিলেন। এ সময় হঠাৎ করেই মিয়ানমারের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ তাদের জলসীমানা অতিক্রম করে ট্রলারটিকে ধাওয়া দিয়ে গুলিবর্ষণ করে। তখন জেলেরা জাল ফেলে ট্রলার নিয়ে পালানোর সময় কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁরা বিকেল পাঁচটার দিকে ট্রলার নিয়ে সেন্ট মার্টিন জেটিঘাটে পৌঁছান। স্থানীয় লোকজন ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা গুলিবিদ্ধ জেলেদের স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।

ট্রলারের জেলেদের দাবি, তাঁরা বাংলাদেশের জলসীমায় মাছ ধরছিলেন। মিয়ানমারের নৌবাহিনীর সদস্যরা আন্তর্জাতিক জলসীমা অতিক্রম করে মাছ ধরার সময় তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করেছেন। ওই সময় আশপাশে আরও কয়েকটি ট্রলারে জেলেরা মাছ শিকার করছিলেন। আমাদের ওপর হামলা করা দেখে অন্য জেলেরা ট্রলার নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান।

কোস্টগার্ড সেন্ট মার্টিনের স্টেশন পেটি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, বিকেলে গুলিবিদ্ধ ছয় জেলেসহ বাকি জেলেরা ওই ট্রলারে করে সেন্ট মার্টিন জেটিঘাটে পৌঁছান। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে টেকনাফ পাঠানো হয়েছে।

টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শোভন দাস প্রথম আলোকে বলেন, জেলেরা গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শরীরে গুলি থাকায় উন্নত চিকিৎ​সার জন্য তাঁদের কক্সবাজারের সদর হাঁসপাতালে পাঠানো হযেছে।

জেলেদের বরাত দিয়ে মোহাম্মদ সাইফুল আবছার আরও বলেন, বাংলাদেশের জলসীমানায় মাছ ধরার সময় মিয়ানমারের নৌবাহিনী তাঁদের ধাওয়া করে গুলিবর্ষণের ঘটনায় জেলেরা আহত হন।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, গুলিবিদ্ধ জেলেদের পা ও হাতে গুলির চিহ্ন দেখা গেছে।