শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

‘সংঘাতের উস্কানি দিচ্ছে সরকার’

SONALISOMOY.COM
জানুয়ারি ৫, ২০১৭
news-image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে বিএনপির দেওয়া কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে সরকার ‘সংঘাতের উস্কানি দিচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি সংঘাতের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কর্মসূচিতে বাধা প্রমাণিত হয় অনৈতিকভাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশকে অনিশ্চিত, অস্থিতিশীল ও সংঘাতময় রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তৃতীয় বর্ষপূর্তির দিন ৭ জানুয়ারি বিএনপির ডাকা সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে এ সভা আহ্বান করা হয়। বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা এতে অংশ নেন।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির কালো পতাকা মিছিল বানচাল করা হয়েছে। একদিকে পুলিশ অন্যদিকে সরকার দলীয় বাহিনী দিয়ে কর্মসূচি বানচাল করেছে।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের ক্ষমতা পরিবর্তন বিশ্বাস করে। সংঘাত এড়িয়ে গণতান্ত্রিক পথেই নির্বাচন চায়।’

এ সময় বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রজন্ম লীগ নামের একটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুলিশের সামনে বিএনপির ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে এবং একজন কর্মীকে মারধর করেছে।

তিনি বলেন, এসব আওয়ামী লীগের উস্কানি। তারা বিএনপিকে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে ফেলতে চায়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার একদিকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, অন্যদিকে দলীয় পেটোয়াবাহিনী দিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে। তারাই প্রকৃত অপরাধী জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। এই সরকার খুন, গুম ও দমননীতির মাধ্যমে বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া শুরু করে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে চলেছে।’

বিএনপি ৭ জানুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চায় জানিয়ে দলটির এই নেতা আশা প্রকাশ করেন, যথাসময়ে সমাবেশের অনুমতি পাওয়া যাবে।

৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘অনৈতিক’ আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সংসদের আইন প্রণয়নের নৈতিক অধিকার নেই, এই সরকারের দেশ পরিচালনার নৈতিক অধিকার নেই। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক।

বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই অত্যাচার, নির্যাতন উপেক্ষা করে ইসি (নির্বাচন কমিশন) গঠনে প্রস্তাব তুলে ধরেছেন জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিএনপি প্রত্যাশা করে রাষ্ট্রপতি সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন ব্যক্তিদের দিয়ে উপযুক্ত নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেবেন।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সরকারদলীয় সাংসদ হত্যার পর প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপির পক্ষ থেকে তিনি এ ঘটনার প্রকৃত তদন্ত দাবি করে বলেন, ‘প্রত্যাশা করেছিলাম এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে। দুঃখজনক, প্রধানমন্ত্রী এই হত্যাকাণ্ডকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে নিজেই উদ্যোগ নিয়েছেন।’