শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

চলতি অর্থবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৮%: বিশ্বব্যাংক

SONALISOMOY.COM
জানুয়ারি ১১, ২০১৭
news-image

অনলাইন ডেস্ক:
চলতি অর্থবছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এর পরের অর্থবছর, অর্থাৎ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমবে বলে আশঙ্কা করছে সংস্থাটি। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।

গতকাল মঙ্গলবার সংস্থাটির বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ২০১৭ (গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস) প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

বাংলাদেশের সরকারি পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রবাসী আয় কমে যাওয়ায় ব্যক্তি পর্যায়ে ভোগ কমবে। একই সঙ্গে কমবে বিনিয়োগ। ফলে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কমবে বাংলাদেশের। এর পরের অর্থবছর, অর্থাৎ ২০১৮-১৯-এ আবার ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি, প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৭ শতাংশে দাঁড়াবে।

সংস্থাটি মনে করছে, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে জ্বালানি আমদানি ব্যয় কম হওয়ায় প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয় কমলেও তা ভারসাম্য তৈরি করবে। তবে সংস্থাটির মতে, দেশের অর্থনীতির জন্য অভ্যন্তরীণ ঝুঁকিগুলো হলো রাজস্ব খাতে ভারসাম্যহীনতা এবং আর্থিক ও করপোরেট ব্যবস্থাপনায় স্থিতিশীলতা কমে যাওয়া। সরকারি খাতে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করার কারণে ঋণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকছে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ইস্যু ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার ঝুঁকি রয়েই যাচ্ছে বলে মনে করছে সংস্থাটি। ব্যাংকিং খাতের ক্ষেত্রে খেলাপি ঋণ ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, চলতি অর্থবছর দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান হবে তৃতীয়। প্রথম অবস্থানে থাকবে ভুটান। ২০১৭ সালে (ক্যালেন্ডার ইয়ার) দেশটির প্রবৃদ্ধি হবে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে ভারত, দেশটির প্রবৃদ্ধি হবে ৭ শতাংশ।

সার্বিক দিক দিয়ে চলতি অর্থবছর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি বেড়ে হবে ৭ দশমিক ১ শতাংশ। ভারতের শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।

এ ছাড়া বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২০১৭ সালে ২ দশমিক ৭ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। অর্থাৎ, বিদায়ী বছরের চেয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেশি হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। বিদায়ী বছরে বিশ্বে ২ দশমিক ৩ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। উন্নয়নশীল অর্থনীতির উদীয়মান বাজার এই প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির পেছনে কাজ করবে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের সরে যাওয়ার বিষয়টি (ব্রেক্সিট) বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি অনিশ্চয়তা তৈরি করবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।