বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

হরতাল-সমর্থকদের ওপর পুলিশের কাঁদানে গ্যাস

SONALISOMOY.COM
জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
news-image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, সুন্দরবন-বিনাশী সব চুক্তি বাতিলসহ সাত দফা দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে আধাবেলা হরতাল চলছে। তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ডাকা এই হরতালের সমর্থনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মিছিল হয়েছে। শাহবাগে হরতাল-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছে। এ সময় পুলিশ জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের ভাষ্য, হরতাল-সমর্থকেরা সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। পরে তাঁরা মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে অগ্রসর হন। জাতীয় জাদুঘরের কাছাকাছি এলে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে। কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। কয়েক দফা এ ঘটনা ঘটে। পরে হরতাল সমর্থকেরা চারুকলার সামনের সড়কে অবস্থান নেন।

হরতালের সমর্থনে পল্টন, মোহাম্মদপুর, মিরপুরে মিছিল হয়েছে। এসব জায়গায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

হরতাল-সমর্থকদের লক্ষ্য করে জলকামান দিয়ে পানি ছোড়ে পুলিশ। ছবি: সাজিদ হোসেনজাতীয় কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, গতকাল বুধবার রাত থেকেই হরতাল-সমর্থকদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছিল। হরতালের সমর্থনে আজ সকালে শাহবাগ এলাকায় শান্তিপূর্ণ মিছিল বের হয়। মিছিলে হামলা করে পুলিশ। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। ভয়ভীতি ও হামলা সত্ত্বেও কর্মসূচি চলবে।

জানতে চাইলে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, তাঁরা পরিস্থিতি দেখছেন। এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন।

গতকাল জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ঢাকা মহানগরের সব প্রতিষ্ঠান, যান্ত্রিক পরিবহন ও ব্যক্তিগত কাজ আজ বেলা দুইটা পর্যন্ত বন্ধ রেখে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করে সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলনে শরিক হতে ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২৬ জানুয়ারির হরতাল ক্ষমতার সংকীর্ণ সংঘাতে সম্পদ ধ্বংসের নয়, বরং সম্পদ রক্ষা, সম্পদ সৃষ্টি ও বাংলাদেশ রক্ষার। এই হরতাল জ্বালাও-পোড়াও নয়, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের।

পুলিশের জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ার জবাবে হরতাল-সমর্থকেরা। ছবি: সাজিদ হোসেনজাতীয় কমিটির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সাত বছর ধরে সুন্দরবন-বিনাশী রামপাল কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলসহ বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সমস্যা সমাধানের জন্য সাত দফা বাস্তবায়নে তাঁরা লংমার্চ, প্রতিবাদ-বিক্ষোভ, মহাসমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করলেও সরকার এই প্রকল্প বাতিল না করে উল্টো সুন্দরবনের জন্য ক্ষতিকর নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। তাই তারা বাধ্য হয়ে হরতাল পালনের কর্মসূচি দিয়েছে।

পথচারী, সাইকেল-রিকশা-ভ্যান, অ্যাম্বুলেন্স, গণমাধ্যমসহ বিদ্যুৎ-ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, কাঁচাবাজার, ওষুধের দোকান হরতালের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছে জাতীয় কমিটি।