বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীকে ছাত্রের চিঠি, ভবন পাচ্ছে বিদ্যালয়

SONALISOMOY.COM
ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৭
news-image

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিদ্যালয়ের সমস্যার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছিল বরগুনার বেতাগীর ৩৪ নম্বর জলিশাহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মো. মাইনুল ইসলাম। তাতে সাড়া দিয়ে ওই বিদ্যালয়ের জন্য জরুরি ভিত্তিতে দোতলা ভবন কাম ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে। এই শুকনো মৌসুমেই ভবন করে দেওয়া হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত ২৯ ডিসেম্বর রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিতে এসেছিল মাইনুল। সে বক্তৃতায় জাতীয় পর্যায়ে তৃতীয় হয়েছিল। পুরস্কার নেওয়ার সময় সে বিদ্যালয়টির সমস্যার কথা জানিয়ে লিখে আনা চিঠি প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেয়। ওই সে লেখে, বিদ্যালয়টি বেড়িবাঁধের বাইরে ব্যারের ডোন নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায় প্রতি বছর জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। যার ফলে লেখাপড়া ও খেলাধুলা করতে কষ্ট হয়। আবেদনে ওই ছাত্র শিগগির একটি দোতলা ভবন কাম ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র করে দেওয়ার অনুরোধ জানায়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, চিঠি পাওয়ার পর ওই বিদ্যালয়ের জন্য জরুরি ভিত্তিতে দোতলা ভবন কাম ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবকে চিঠি দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এরপর ভবন নির্মাণের নির্দেশনা দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দেয় গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বিদ্যালয়ে ভবন করে দেওয়া হবে—এমন খবরে ওই ছাত্র ও বিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকেরা বেজায় খুশি।

মাইনুল বলে, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার নেওয়ার আগে তার মাথায় আসে বিদ্যালয়ের দুর্দশার কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর। পরে সে ঝটপট একটি কাগজে সমস্যার কথা লিখে ফেলে। সেটি নিয়ে সে পুরস্কার আনতে মঞ্চে যায় ও প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেয়। খুশি প্রকাশ করে সে বলে, ‘আমরা কষ্টে ছিলাম। এখন ভালো পরিবেশে পড়াশোনা করতে পারব। ছাত্র-শিক্ষক সবাই খুশি হয়েছি।’

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অবিনাশ সরকার বলেন, ‘মাইনুলের এই বুদ্ধিমত্তায় আমরা বিস্মিত। তার কারণে বিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের সমস্যা দূর হচ্ছে। এ জন্য আমরা খুশি হয়েছি।’