মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির আয়োজনে
“তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অব আইটি-২০১৬ এর সুপারিশমালা” শীর্ষক সেমিনার

SONALISOMOY.COM
ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৭
news-image

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের উদ্যোক্তা, সরকারি, আধা-সরকারি, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেশন ও স্বায়ত্ত্ব শাসিত সংস্থার কর্মকর্তাদের  সম্মিলিত অংশগ্রহণে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে “তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অব আইটি-২০১৬ এর সুপারিশমালা” শীর্ষক সেমিনার আজ ৩ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিডিয়া বাজারে অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (UGC) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। সেমিনারে  মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্ড সার্ভিসেস এলায়েন্সের গ্লোবাল ট্রেড কমিটির চেয়ারম্যান  ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ড এবং ড্যাফোডিল ফ্যামিলির চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খান।
সেমিনারে  বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ডঃ ইউসুফ এম ইসলাম, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়ার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (BASIS) এর সভাপতি মোস্তফা জব্বার, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির  (BCS) সভাপতি আলী আশফাক, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (BCS) পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ইঞ্জিনিয়ার এনামুল কবির, সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার, সিওর ক্যাশ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. শাহাদাত খান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. সৈয়দ আকতার হোসেন ও সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. তৌহিদ ভূইয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, সময়ের পরিবর্তনের সাথে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার ধারাও পরিবর্তিত হচ্ছে তাই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন যুগোপযোগী কোর্স কারিকুলাম পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে এবং এজন্য ২০১৬-২০২৬ পর্যন্ত দশ বছরের একশান প্ল্যান ও নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমি শুরু করে যেতে চাই পরবর্তীতে অন্যরা এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবেন।
তিনি আরো বলেন, শুধু তথ্যপ্রযুক্তি নয়  বিশ্বয়নের সাথে তাল মিলিয়ে সব বিষয়ের কোর্সে পরিবর্তন আনা হবে আর এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুরোকেই অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে। এখন থেকে যে কোন বিয়ের অনুমোদনের পূর্বে পরিবর্তন সমূহ কোর্সে অন্তর্ভূক্তি নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি অঅহ্বান জানান। বাংলাদেশে ৪ লক্ষ বিদেশী কাজ করছে যারা প্রতি বছর ৫ বিলিয়ন ডলার এ দেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে, তিনি আশাপ্রকাশ করেন আগামীতে আমাদেও দেশের ছেলেরাই যোগ্যতার ভিত্তিতে এ ৪ লক্ষ লোককে প্রতিস্থাপন করবে।
অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশকে উদীয়মান রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়নে  ধারাবাহিক পরিবর্তন আনতে হবে আর এ পরিবর্তন সম্ভব শুধুমাত্র তরুনদের মাধ্যমে যারা মোট জনসংখ্যার ৪৮% এবং যাদের বয়স ২৪ এর নীচে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন কালে ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্ড সার্ভিসেস এলায়েন্সের গ্লোবাল ট্রেড কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খান বলেন,  রুপকল্প ২০২১ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট সিটি টেকনোলজি, অবকাঠামো উন্নয়ন ও তথ্যসেবার বিকাশ বাস্তবায়ন ও সম্প্রসারণ অনিবার্য। আর তা শুধুমাত্র একাডেমিক, সরকারি ও বেসরকারি খাতের  যৌথ উদ্যোগ ও অংশীদারিত্বের মাধ্যমেই সম্ভব। তিনি বলেন,  ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অব আইটি (WCIT 2016)  সুপারিশমালায় ডিজিটাল ন্যাশন, ডিজিটাল এজেন্ডা ও  দৈনন্দিন জীবনে ডিজিটাল সেবা সমূয়হের উপরই  আলোকিত ও প্রস্তাবিত এবং এসবের সর্বোচ্চ প্রয়োগ ও বাস্তবায়নে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষাই পারে গুরুত্বপূর্ন ভ’মিকা রাখতে।
ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্ড সার্ভিসেস এলায়েন্সের (WITSA) সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অব আইটি (WCIT 2016)  বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল যুগের প্রতিশ্রুতি উৎসাহিত ও উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এর সুপারিশমালা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রুপকল্প বাস্তবায়নের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন এবং বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে এর সুপারিশমালা বাস্তবায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন।