শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

বাগমারায় মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় বখাটে তোফায়েল গ্রেপ্তার

SONALISOMOY.COM
ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৭
news-image

বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারার স্কুলছাত্রী খাদিজা আক্তারকে মোটরসাইকেল চাপা দেওয়ার ঘটনায় অবশেষে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা রের্কডের পর পুলিশ এক বখাটেকে গ্রেপ্তার করেছে। এর আগে পুলিশ নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর চাচা মজনুর রহমান বাদী হয়ে দুজনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দিলেও অজ্ঞাত কারণে পুলিশ তা রের্কড করেনি।
আটক বখাটে হলেন উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ইসমাইলপুর গ্রামের ইয়াহিয়ার ছেলে বখাটে তোফায়েল আহম্মেদ (২০)। তবে আরেক বখাটে নয়নকে এখনো গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার বাগমারা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী খাদিজা আক্তার গত বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে হেঁটে বিদ্যালয়ে আসছিল। এসময় একটি মোটরসাইকেল তাকে অনুসরণ করে। সকাল সাড়ে আটটার দিকে বাগমারা গ্রামের জনৈক মাহাতাবের বাড়ির কাছে পৌঁছালে স্কুলছাত্রীকে একাকী পেয়ে মোটরসাইকেল দিয়ে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় মোটরসাইকেলে থাকা এক বখাটে ওড়না টেনে ধরে এবং লাথি দিয়ে সড়কে ফেলে দেয়। ছাত্রী সড়কে পড়ে চিৎকার শুরু করলে অদূরে থাকা লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে দুই বখাটে দ্রুত মোটরসাইকেল চালিয়ে চলে যায়।

পরে লোকজন নিস্তেজ অবস্থায় ছাত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।সেখানে অবস্থার উন্নতি না হলে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মেয়েটির মাথায় গুরুতর আঘাত করার কারণে দুই কান দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে স্কুলছাত্রীর চাচা মজনুর রহমান বাদী হয়ে বখাটে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ইসমাইলপুর গ্রামের ইয়াহিয়ার ছেলে বখাটে তোফায়েল আহম্মেদ (২০) ও তার সহযোগি গণিপুর ইউনিয়নের একডালা গ্রামের রমজান আলীর বখাটে ছেলে নয়ন হোসেনকে (২১) আসামি করে একটি এজাহার দিয়েছিলেন। তবে গতকাল শনিবার দুপুর পর্যন্ত পুলিশ এজাহারটি মামলা হিসাবে তালিকাভূক্ত করেনি। পরে উর্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশে মামলা রেকর্ড করে আসামিদের ধরতে তৱপরতা শুরু করে। সন্ধ্যার পর পুলিশ মূল বখাটে তোফায়েল আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মুঠোফোনের মাধ্যমে হাসপাতালের এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসক নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, খাদিজা আক্তারের জ্ঞান ফিরলেও এখনো পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তবে সিটিস্ক্যান প্রতিবেদন ভালো বলে মন্তব্য করেছেন।

স্কুলছাত্রীর চাচা মজনুর রহমান অভিযোগ করেন, বখাটে তোফায়েল আহমেদ অনেক দিন ধরে তাঁর ভাতিজিকে বিয়ে ও প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তবে খাদিজা এতে সম্মত না হওয়ায় তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকী দেয়। এই বিষয়ে বখাটের আত্তীয় স্বজনদেরও জাননো হয়েছিল। তবে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে মোটরসাইকেল দিয়ে চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।