শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সন্ত্রাসী নয়, শরণার্থীরাই সন্ত্রাসের শিকার: জোলি

SONALISOMOY.COM
ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৭
news-image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি লিখেছেন, অসহায় মানুষদের আশ্রয় দিতে আমাদের দেশের ইতিহাসের জন্য আমি গর্বিত। মানবাধিকার রক্ষায় আমেরিকানরা তাদের রক্তও দিয়েছেন। এই ইতিহাসের জন্য সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আমাকে তাই হতবাক করেছে।

জোলি আরও লিখেছেন, বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ ও শরণার্থী সংকটের কারণে আমাদের সীমান্ত নিরাপদ রাখার যৌক্তিকতা তৈরি হয়েছে। সব সরকারকেই আন্তর্জাতিক দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে নিজ দেশের জনগণের কল্যাণ ও সমন্বয় নিশ্চিত করতে হয়। কিন্তু আমাদের পদক্ষেপ হতে হবে তথ্যের ওপর ভিত্তি করে, আতঙ্ক দ্বারা নয়।

নিজের সন্তানদের কথা উল্লেখ করে জোলি লিখেছেন, বিভিন্ন দেশে জন্ম নেওয়া আমার ছয় সন্তানের মা ও একজন গর্বিত মার্কিন নাগরিক হিসেবে আমিও একটি নিরাপদ দেশ চাই। তবে এটাও জানতে চাই যে, যেসব শিশু রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার অবস্থায় রয়েছে তারা যেনও আমেরিকায় প্রবেশের সুযোগ পায়।

শরণার্থীদের কোনও ধরনের যাচাই না করেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়, এটা তো সত্য নয়। যে কোনও ভ্রমণকারীদের তুলনায় শরণার্থীদের বেশি যাচাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

বিশ্বজুড়ে ৬৫ মিলিয়ন শরণার্থী রয়েছেন। অথচ এ বিশাল শরণার্থীদের মধ্যে মাত্র ১ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হয়েছেন। ১০ জনের মধ্যে ৯ জন শরণার্থী দরিদ্র ও মধ্য আয়ের দেশে বাস করেন। তারা পশ্চিমা ধনী রাষ্ট্রে আসেন না। এক তুরস্কেই ২.৮ মিলিয়ন সিরীয় শরণার্থী অবস্থান করছেন। ২০১১ সাল থেকে মাত্র ১৮ হাজার সিরীয় শরণার্থী যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হয়েছেন।

সন্তানদের নিয়ে কোনও এক অনুষ্ঠানে জোলি
জোলি তার লেখার শেষ দিকে বলেছেন, আমরা সবাই দেশকে নিরাপদ রাখতে চাই। তাই আমাদের সন্ত্রাসের হুমকির গোড়ায় নজর দিতে হবে। যেসব কারণে সংঘর্ষ বাঁধছে ও সন্ত্রাসবাদের অক্সিজেন যোগাচ্ছে ইসলামিক স্টেটের মতো গোষ্ঠীর জন্ম দিয়ে। সব ধর্মের মানুষদের সঙ্গে আমাদের সাধারণ বিশ্বাস গড়ে তুলতে হবে। যার লক্ষ্য থাকবে একই- হুমকি মোকাবেলা ও নিরাপত্তা চাওয়া।

আমি আশা করি, এমনই কোনও প্রেসিডেন্ট আমাদের মতো মহান জাতিকে সব আমেরিকানদের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেবেন।

সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস।