বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সাগর-রুনি হত্যার বিচারে বাধা কোথায়, প্রশ্ন সাংবাদিকদের

SONALISOMOY.COM
ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭
news-image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি ও বিচার কেন হয়নি, বাধা কোথায় তা জানতে চেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক নেতারা।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতারা এ প্রশ্ন তুলেন। এ সময় তাঁরা দ্রুত এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ মানববন্ধনের আয়োজন করে ঢাকাস্থ রাজশাহী বিভাগ সাংবাদিক সমিতি।

রাজশাহী বিভাগ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি খাইরুজ্জামান কামালের সভাপতিত্বে এবং সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন পাবনা জেলা সাংবাদিক সমিতি, নোয়াখালী জার্নালিস্ট ফোরাম, নাটোর জেলা সাংবাদিক সমিতি ও নওগাঁ জেলা সাংবাদিক সমিতির প্রতিনিধিরা।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। পরের দিন ভোরে তাঁদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রুনির ভাই বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা করেন।

সাগর রুনি হত্যার পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ‘স্রেফ ৪৮ ঘণ্টা, এই সময়ের মধ্যেই খুনিরা ধরা পড়বে। খুনের কারণও জানা যাবে।’ ৪৮ ঘণ্টার সেই আলটিমেটাম শেষ হলো না ৬০ মাসেও। আর এই সময়ের মধ্যে সরকার বদল হয়েছে একবার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন তিনজন।

সাগর-রুনি হত্যার বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন তপু বলেন, বাসগৃহ মায়ের আঁচলের মতো নিরাপদ। কিন্তু সেখানেই খুন হলেন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি। পাঁচ বছর অতিবাহিত হলেও তদন্তে কুলকিনারা হয়নি। গ্রেপ্তার হয়নি মূলহোতারা।

রাজশাহী বিভাগ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি খাইরুজ্জামান কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্বজন হারানোর ব্যথা নাকি বুঝেন। তাহলে কেন আজ সাগর-রুনি হত্যার বিচার হচ্ছে না। আপনার প্রতি আমাদের আস্থা রাখতে চাই। সুতরাং নিজে থেকে আপনি সাগর-রুনি হত্যা মামলার খোঁজ রাখুন। বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করুন।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, হত্যার পর খুনিরা সাগর-রুনির বাসা থেকে ল্যাপটপ নিয়ে গেছে। সে ল্যাপটপ উদ্ধার করতে পারেনি তদন্ত সংশ্লিষ্ট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সে ল্যাপটপে কী এমন তথ্য ছিল, তাও উন্মোচন হয়নি।

নওগাঁ জেলা মিডিয়া ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকাস্থ রাজশাহী বিভাগ সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক সরদার মেহেদী হাসান বলেন, কোনো প্রহসন নয়, আমরা অবিলম্বে সাংবাদিক দম্পতি ও শিমুল হত্যার বিচার চাই।

মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন সাংবাদিক নেতা আতিকুর রহমান, ঢাকাস্থ রাজশাহী বিভাগ সাংবাদিক সমিতির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাগো নিউজের বিশেষ সংবাদদাতা ফজলুল হক শাওন, সাংবাদিক নেতা মোস্তফা মনোয়ার, নোয়াখালী জার্নালিস্ট ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ আলম প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগ সাংবাদিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, নাটোর সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী সাংবাদিক সমিতির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এনায়েত করিম, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সংস্কৃতি ও কল্যাণ সম্পাদক মনোরমা,  রাজশাহী সাংবাদিক সমিতির সদস্য সাজেদুর রহমান প্রমুখ।