বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

বাগমারায় ইফতার পায়নি লোকজন
থাল দিলু, খাবার দিলু না তাহলে দাওয়াত দিলু ক্যা

SONALISOMOY.COM
জুন ১৪, ২০১৭
news-image

বাগমারা প্রতিনিধি
থাল দিলু, খাবার দিলু না, দাওয়াত দিলু ক্যা। ইফতারি না পেয়ে এভাবে নিজেদের ক্ষোভের কথা প্রকাশ করলেন রাজশাহীর বাগমারা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে ইফতার মাহফিলে আসা লোকজন। ইফতারি খাবার না পেয়ে ফাঁকা প্লেটও ছুড়ে মারেন আয়োজক নেতাদের দিকে। গতকাল এরকম ঘটনা ঘটেছে বাগমারা পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে।

জানা যায়, বাগমারা আওয়ামী লীগের বিপথগামী কয়েকজন নেতা ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন। তারা দুটি মহিষ কিনে কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন গ্রামে প্রদর্শন করেন এবং বুধবার সেগুলোসহ আরো কয়েকটি মহিষ জবাই করা হবে বলেও প্রচার চালান। এজন্য বাগমারার ১৬টি ইউনিয়ন, দুটি পৌরসভা এবং বাগমারার পাশ্ববর্তী মোহনপুর এবং দুর্গাপুর উপজেলার কয়েকটি গ্রামে প্রচারণা চালিয়ে ইফতার মাহফিলে আসার জন্য দাওয়াত দেওয়া হয়।

তবে বিকেলে মাঠে এসে লোকজন প্রতারিত হন। ইফতারে আগে সবাইকে প্লাসটিকের তৈরি প্লেট দেওয়া হয়। তবে ইফতার জোটেনি মাহফিলে আসা অধিকাংশ লোকজনের। চার হাজার লোকজনের মধ্যে অর্ধেক লোকজনই থালা নিয়ে ফিরে গেছেন। তাদের ভাগ্যে জোটেনি ইফতার। এসময় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা আয়োজকদের লক্ষ্য করে ফাঁকা প্লেট ছুড়ে মারেন। হতাশ হয়ে এবং আয়োজকদের গালি দিয়ে চলে যান।

যোগিপাড়া ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রাম থেকে আসা মোজাম্মেল হক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মোষ খাওয়াবের চাইয়া ডাইক্যা এনে এভাবে ফিরে দিল। সারা জীবন ওরা মানসের টাকা খাইছে, মানুষকে খাওয়ানোর অভ্যাস ওদের নেই। একই রকম ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন গোবিন্দপাড়ার আফসার, মাড়িয়ার জোনাব, দুর্গাপুরের কয়ামাজমপুর গ্রামের বেলাল, পবার বড়গাছির মোজাম্মেল হকসহ কয়েক জন।

ইফতার মাহফিলে থাকা বেশ কয়েকজন ব্যক্তি অভিযোগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,তাদের কোনো খাবারই দেওয়া হয়নি। যারা মাত্র তিন-চারহাজার লোকজনকে খাওয়াতে পারে না, তারা আবার নেতা হবার স্বপ্ন দেখে। ইফতার নিয়ে এরকম ক্ষোভের শেষ নেই লোকজনদের। অনেকের মধ্যে হাস্যরসেরও সৃষ্টি হয়েছে।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের বড় নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও উল্লেখযোগ্য কেউ ছিলেন না। তবে জেলার সহসভাপতি জিনাতুন নেসা, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাঞ্জাল বলেছেন, আগামী নির্বাচনে যিনি নৌকার মনোনয়ন পাবেন, তাকেই আপনারা ভোট দিবেন। এসময় লোকজন করতালির মাধ্যমে তাদের বক্তব্যকে সমর্থন দেন।