বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সাংসদ এনামুল হকের অঙ্গিকার পূরণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে ৭ মার্চের ভাষণ শোনাল বাগমারার ইমন

SONALISOMOY.COM
জুলাই ১২, ২০১৭
news-image

বাগমারা প্রতিনিধি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ মুখস্ত করে অবিকলভাবে প্রচার করা রাজশাহীর বাগমারার সেই খুদে ইমন বাবুর স্বপ্ন অবশেষে পূরণ করলেন স্থানীয় সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। একই সঙ্গে নিজের অঙ্গিকারও পূরণ করেছেন সাংসদ। বঙ্গবন্ধুর তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গত মঙ্গলবার সাক্ষাত করে ভাষণ শুনিয়েছে। খুদে এই প্রতিভাবানের ভাষণে মুগ্ধ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

উপজেলার পশ্চিম বাগমারার বাড়িগ্রামের ক্ষুদে ব্যবসায়ী  ইমরান আলীর ছয় বছরের শিশু ছেলে ইমন বাবুর জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ মুগস্ত করে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাইকে প্রচার হওয়া ভাষণ শুনে আয়ত্ত করে সে। বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠান ও সভায় ভাষণ প্রচার করে সাংসদসহ দলের নেতা-কর্মীদের নজরে আসে শিশু ইমন বাবু। হাটগাঙ্গোপাড়ায় আয়োজিত দলীয় এক অনুষ্ঠানে প্রথম সাংসদ শিশুর কণ্ঠে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ শুনে মুগ্ধ হন এবং পুরষ্কারও দেন। এসময় শিশু ও তাঁর বাবার প্রত্যাশা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করার। শিশু তাঁর আয়ত্ব করা ভাষণটি প্রধানমন্ত্রীকে শোনানোর আবদার জানায় সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের কাছে। সাংসদ এনামুল হক ওই সময়ে তাঁদের আশ^স্ত করেছিলেন এবং অঙ্গিকারও করেছিলেন।

সাংসদের এই অঙ্গিকার এবং খুদে প্রতিভাবানের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। জাতীয় সংসদেও অধিবেশন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শিশু ও পিতা কে নিয়ে যান সাংসদ এনামুল হক। শিশু ইমন এসময় তার আয়ত্ব করা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ শোনায়। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা মনোযোগ সহকারে শিশুর কণ্ঠে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শোনে মুগ্ধ হন। এসময় তিনি হারিয়ে যান পিতার স্মৃতি রোমাঞ্চে। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুর সঙ্গে ছবি তোলেন। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পর তা ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে।

সাংসদ এনামুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুর ভাষণ শোনে মুগ্ধ হয়েছেন। তিনি শিশুকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এই সাক্ষাতের মাধ্যমে তিনি তাঁর অঙ্গিকার পূরণ করেছেন এবং শিশু ও তার পিতারও স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।

শিশুর পিতা ইমরান আলী এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, তিনি যে ছেলেসহ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করতে পারবেন সেটা ভাবতে পারেননি। জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া তিনি পেয়েছেন। নিজেদের ধন্য এবং গর্বিত মনে করছেন। তিনি সাংসদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।