বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

বাগমারার জাপা ঘরোয়নার তিন নেতা আ’লীগের বিষফোঁড়া

SONALISOMOY.COM
সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৭
news-image

রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারায় জাতীয় পার্টি থেকে যোগদানকারী তিন নেতাকে নিয়ে এখন বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন আওয়ামী লীগের মুল ধারার নেতা-কর্মীরা। এই তিন নেতাই এখন বাগমারা আওয়ামী লীগের বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তারা আওয়ামী লীগে যোগ দিলেও এখনো নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে পারেননি বলেও অভিযোগ রয়েছে। আবার দলে এসে নিজেরা যেমন দলের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন তেমনি ভাবমূর্তিও নষ্ট করছেন। তারা তিনজনই নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এরা হলেন গোয়ালকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর সরকার, যোগিপাড়ার মোস্তফা কামাল ও শ্রীপুরের মকবুল হোসেন মৃধা।

আওয়ামী লীগে যোগদানের পর গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এই তিন নেতা নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দলে যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন ধরনের ফায়দা লুটার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এতে বাগমারার মুলধারার আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। নেতাকর্মীরা বলছেন এক সময়ের জাতীয় পার্টির রাজনীতি করা এই তিন চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগে যোগদান করে দলের মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টি করছেন। নিজেদের সাথে সাথে নেতাকর্মীদেরও তারা করছেন বিপথগামী।

জানা গেছে, বাগমারা যোগীপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মোস্তফা কামাল। যদিও তিনি মনোনয়ন পাওয়ার আগে খোদ এমপি ও দলের সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে ইউপি নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ তুলেন। পরে তাকে মনোনয়ন দেয়া হলে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি বাগমারা আওয়ামী লীগের মধ্যেই ভাঙ্গন সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিভিন্ন সময়ে দলের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া ছাড়াও দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচারও চালাচ্ছেন তিনি।

দলের নেতা-কর্মী ও স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, মোস্তফা কামালের বাবা আমজাদ হোসেন ছিলেন জাতীয় পার্টির একজন নেতা। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও নির্যাতনে ভূমিকা রেখেছিলেন আমজাদ হোসেন। মোস্তফা কামাল তাঁর বাবার হাত ধরে জাতীয় পার্টির রাজনীতি শুরু করেন। এক সময় জাতীয় পার্টির নেতা সরদার আমজাদ হোসেনের হয়ে কাজ করতেন মোস্তফা কামাল ও তার বাবা আমজাদ হোসেন। মোস্তফা কামালের বাবাকে সর্বহারারা জবাই করে হত্যা করার পর তিনি তিনি রাজনীতি থেকে অনেকটাই দুরে চলে যান। যোগীপাড়ায় তার বাড়ি হলেও মৃত্যুর ভয়ে বসবাস শুরু করেন বাগমারার তাহেরপুর এলাকায়। ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। এর আগের নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী সরদার আমজাদ হোসেনের হয়ে কাজ করেন। তবে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভোল্ট পাল্টিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। বর্তমান তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এসময়ে তিনি দলের প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। মামলা ও পুলিশের ভয় দেখিয়ে এলাকার সাধারণ লোকজনকে নির্যাতন করেন। থানা ও ভাগনদী পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়মিত যাতায়াতের কারণে বিতর্কিত হয়ে পড়েন। এর ফলে প্রথম দফায় দল তাঁকে মনোনয়ন দেয়নি। পরে তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ও সহযোগিতা নিয়ে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও বর্তমান আওয়ামী লীগের মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টিতেও মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। তিনি আওয়ামীগ নেতা হিসাবে পরিচিত হলে উঠা বসা করেন জাপা নেতাকর্মীদের সাথে।

তবে এব্যাপারে চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের সাথে কথা বলা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার বলেন, হয়তো এক সময় জাতীয় পার্টির রাজনীতি করেছি। সেই অধিকার আমার ছিল। বর্তমান আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছি। যদি কেউ আমার বিরুদ্ধে এগুলো কথা বলেন তা সঠিক নয়। সত্য কথা বলার জন্য আমার বিরুদ্ধে বিষেদাগার করা হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

বাগমারার শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন মৃধার ইতিহাসও একই। তার বাবা ইসমাইল হোসেন মৃধা ছিলেন জাতীয় পার্টির একজন বলিষ্ঠ নেতা। তিনি সাবেক এমপি সরদার আমজাদ হোসেনের ডান হাত ছিলেন। ছোট ভাই আবেদ আলী মৃধার প্ররোচনায় তিনি জাপাতে যোগ দিয়ে সরদার আমজাদ হোসেনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। বাবার রাজনীতির সুবাদে জাপাতে যোগ দেন মকবুল হোসেন মৃধা। ওই সময়ে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পরিবর্তে জাপার প্রার্থীর হয়ে কাজ করেন মকবুল হোসেন মৃধাসহ মৃধা পরিবার। আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা নুরুল ইসলাম মিঞা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করলে মৃধা পরিবার সরাসরি বিরোধীতা করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুল ইসলামের। তবে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ভোল্ট পাল্টিয়ে ফেলেন মকবুল হোসেন মৃধা। আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার চুনিলাল নামের একজন ঠিকাদারের ম্যানেজার হিসাবে কাজ করার সময় তাঁর প্রচেষ্টায় সুযোগ বুঝে দলে ভেড়েন তিনি। তাহেরপুর পৌরসভার হওয়ার কারণে তিনি সহজে শ্রীপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। তবে তার ভাই আশরাফ হোসেন মৃধা এখনো জাতীয় পার্টির সক্রিয় কর্মী। গত ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জাপার প্রার্থীর ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সরদার আমজাদ হোসেনের পক্ষে প্রকাশ্য প্রচারণা চালিয়েছেন আশরাফ মৃধা।

গত ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দলের সর্বাধিক সুবিধা ভোগ করেন তিনি। কনিষ্ট সহসভাপতি হওয়ার পরেও দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি। এসময় ব্যাপক নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, সরকারি খাল-বিল দখলে মেতে ওঠেন তিনি। সাংসদের সঙ্গে সু-সর্ম্পক থাকার কারণে তাঁর কাছ থেকেও আদায় করেন সুবিধা। এসময়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে দুর্ধর্ষ জেএমবি সদস্য মামুন মহুরী, কিলার মোস্তাকসহ কয়েকজন জঙ্গির পক্ষে সাফাই করেন। এজন্য তারা জামিনে বের হয়ে এসে এলাকায় অবস্থান করে।

তবে আলোচিত খয়রার বিল দখল ও গুলি করে জেলে হত্যা মামলার আসামি হওয়ার পর থেকে দলের বিরোধীতা শুরু করে নিজের আসল চেহারা প্রকাশ করেন মকবুল হোসেন মৃধা। তাঁর দল বিরোধী কর্মকান্ডে সাধারণ নেতা-কর্মীরা তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেছেন। আওয়ামী লীগের পদ নিয়ে থাকলেও বরাবরই দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিতর্কিত হয়েছেন জাপার ঘরোয়ানার এই নেতা।

এব্যাপারে চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন মৃধা বলেন, অসময়ে আমি বাগমারার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে ছিলাম এখনো আছি। দল আমাকে কি দিয়েছে সেটা বড় কথা নয়। আমি দলের জন্য সব ধরনের শ্রম দিয়েছি। আর জেএমবির যে সংশ্লিষ্টতা তোলা হয়েছে তা সঠিক নয়। কারণ জেএমবিরা আমার উপর হামলা চালিয়েছিল। আমি সব সময় জেএমবির বিরোধিতা করে এসেছি যার কারণে অনেকবার বিপদের সম্মুখিন হতে হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যে।

বাগমারা গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সরকারেরও শেকড় জাপায়। তার বাবা জব্বার সরকার, চাচা আবুল হোসেন ওরফে দুলু সরকার ও বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম সরকারসহ পরিবারের সদস্যরা জাপার নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। গত ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ছিলেন। ওই সময়ে তার এলাকার লোকজনকে নৌকায় ভোট দিতেও বাধা প্রদান করেছেন। যারা আওয়ামী লীগ করতেন তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান হত্যা মামলার আসামি করার ভয় দেখাতেন। অনেকে আসামি হওয়ার ভয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলার সাহস পায়নি। তবে ২০১০ সালে আলমগীর সরকার জাতীয় পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। আওয়ামী লীগে যোগদান করলেও তিনি কোনোদিন নৌকা প্রতীকে ভোট দেননি। পরিবারের কর্তা ব্যক্তিদের হারিয়ে আলমগীর হোসেন অনেকটাই একা হয়ে পড়েন। নিজে বঁচার জন্য তিনি যোগ দেন আওয়ামী লীগে। এরপর তিনি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। কিন্তু বর্তমান তিনি প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের কথা বললেও অন্তরে রয়ে গেছে জাতীয় পার্টির বীজ। এখনো আওয়ামী লীগের মূল ধারার লোকজনকে নির্যাতন করে চলেছেন। বিভিন্ন মামলার আসামি ও হত্যার হুমকী দিয়ে লোকজনকে কোনঠাসা করে রেখেছেন। এ নিয়ে থানায় মামলা ও একাধিক জিডি করেছেন নির্যাতিত আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এছাড়াও ২০০৪ সালে বাংলা ভাইয়ের টর্চার সেল ছিল তাঁর বাড়িতে। এ নিয়েও বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছে আওয়ামী লীগ।

চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সরকার বলেন, আওয়ামী লীগের কিছু সার্থন্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন থেকে ষড়যন্ত্র করে আসছে। আমার পরিবার সর্বহারা দ্বারা নির্যাতিত। কিন্তু আমাকে বলা হয় সর্বহারার সদস্য। আমি সর্বহারা করি এমন প্রমান কেউ দিতে পারবে না। আমি বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসি, তার আদর্শে আদর্শিত। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমার দল। সে ক্ষেত্রে কেউ যদি আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তোলে তাহলে সেটা সম্পুর্ন মিথ্যে বানোয়াট।

জাতীয় পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া এই তিন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগও কম নয়। বিভিন্ন সময় নিজেদের ভোল্ডপাল্টিয়ে ফায়দালুটার চেষ্টা করেছেন তারা। যোগিপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের বাবা আমজাদ হোসেন সর্বহারাদের হাতে নিহত হওয়ার পর তিনি অনেকটাই প্রতিহিংসা প্ররায়ন হয়ে উঠেন। তিনি বাবার হত্যার বদলা নিতে যোগ দেন সর্বহরা দলে। পরে ২০০৪সালে বাগমারার সর্বহারারা কোনঠাসা হয়ে পড়লে তিনি যোগ দেন বাংলাভাইয়ের সাথে। পরে বাংলাভাই-জেএমবি এক কাতারে দাঁড়ালে তিনি তাদের সাথে যোগ দিয়ে ব্যাপক লুটপাট, সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন চালিয়েছেন। বাগমারায় জেএমবি বাংলাভাইয়ের রাজত্ব শেষ হলে তিনি পালিয়ে যান। কখনো তাহেরপুর আবার কখনো বাগমারার বাইরে অবস্থান নেন। দলের জন্য নয়, তিনি নিজে বাঁচার জন্য ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এদিকে আলমগীর হোসেন সরকারের বাবা চাচা ও ভাইকে সর্বহারারা জবাই করে হত্যার পর তিনি সর্বহারার সাথে যুক্তহন। তিনি সর্বহারার অন্যতম নেতা রতনের সহযোগি হিসাবে কাজ করেন। সর্বহারায় যোগদানের পর তিনি চাচা ভাইয়ের হত্যার বদলা নিতে না পেরে ২০০৮ সালের পর আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। যোগদানের পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় তিনি প্রশাসনিক ভাবে তার ভাই চাচার হত্যার প্রতিশোধ নিতে উদ্গ্রিব হয়ে উঠেন। এর আগে ২০০৪ সালে তিনি যোগ দেন জেএমবির সাথে। আলমগীর হোসেন সরকার রাজশাহীতে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করেন তিনি জেএমবির বৈঠক উপস্থিত ছিলেন। তাদের বাড়িতে ছিল জেএমবির ক্যাম্প।

বাগমারা উজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম সোহাগ জানান, মোস্তফা কামাল আওয়ামী লীগের লেবাস ধারণ করলেও তিনি কখনো আওয়ামী লীগ দলের জন্য কিছু করেননি। তিনি এখনো জাতীয় পার্টির লোকজনদের সাথে চলাফেরা করেন। আর আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের কথা বলেন। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান কামাল উপরে আওয়ামী লীগ হলেও ভেতরে জাতীয় পার্টিই রয়ে গেছেন। কামাল এক সময় সর্বহারা ও পরে জেএমবির সাথে যোগ দিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। বাঁচার জন্য তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে এখন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।

শ্রীপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান জানান, মকবুল হোসেন মৃধা মুখে আওয়ামী লীগ করলেও তার পরিবারের সবাই জাতীয় পার্টির রাজনীতি করেন। তিনি সর্বহরা বাহিনী দিয়ে এখনো এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছেন। তার লালসার শিকার হয়নি এমন মানুষ কম আছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারী মকবুল হোসেন মৃধা দলের জন্য হুমকি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

অপরদিকে বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইয়াছিন আলী মাস্টার জানান, মকবুল হোসেন মৃধা দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে এমন অভিযোগ পুরোনো। তিনি জাতীয় পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে আসলেও তার মধ্যে আওয়ামী লীগের আদর্শ্যরে লেশ মাত্র নেই। তিনি বাগমারা সুসংগঠিত আওয়ামী লীগ সম্পর্কে নানা জায়গায় নানা কথা বলে দলের মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টি করছে। তিনি নিজেও বিপদগামী হচ্ছে অন্যদেরও বিপদগামী করছেন। যা আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় নেতা হলে করতে পারতেন না বলেও মন্তব্য করেন।