শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

SONALISOMOY.COM
সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৭

 

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যুতে এখন উত্তপ্ত উপমহাদেশের রাজনীতি। প্রতিদিনই সীমান্ত পার হয়ে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ সরকার মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আশ্রয় দিচ্ছে। তবে ভারতের মোদি সরকার মিয়ানমার থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের পুশব্যাক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নীতি মেনে চলতে বিভিন্ন রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশ মানতে রাজি হননি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সচিবালয় নবান্নের সূত্র উল্লেখ করে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, উদ্বাস্তু রোহিঙ্গারা এই রাজ্যে থাকতে চাইলে মানবিকতার খাতিরে থাকতে দেওয়া হবে।

মিয়ানমারে সহিংসতার কারণে গত কয়েক বছরে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা দেশ ছেড়েছে। সম্প্রতি পরিস্থিতি খারাপ হলে রোহিঙ্গাদের দেশ ছাড়ার সংখ্যা বেড়ে যায়। ভারতে ইতিমধ্যে আশ্রয় নিয়েছে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারে গিয়ে তাদের সবাইকে পুশব্যাক করার নীতি ঘোষণা করে এসেছেন।

তবে পশ্চিমবঙ্গে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সংখ্যা তেমন নয়। বনগাঁ-বসিরহাট ও উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু এলাকা থেকে তারা পশ্চিমবঙ্গে ঢুকছে। রাজ্য সরকার বলেছে, তাদের কাউকেই পুশব্যাক করা হবে না।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এ অবস্থানের বিরোধিতা করে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেছেন, ‘যার মাথায় তোষণ ছাড়া আর কিছুই নেই, তিনি তো রোহিঙ্গাদের স্বাগত জানাবেনই। কিন্তু এরপর যদি হাজার হাজার রোহিঙ্গা এই রাজ্যে ঢুকতে শুরু করে, মুখ্যমন্ত্রী সামলাতে পারবেন তো?’

এর জবাব দিয়ে মমতার দল তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দেশের মধ্যে সবচেয়ে মানবিক। একটা মানবিক সরকারের পক্ষে যা করা উচিত, আমরা সেটাই করছি।’