শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

বাগমারায় শিক্ষাক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন

SONALISOMOY.COM
সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭
news-image

বাগমারা প্রতিনিধি
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছতে পারেনা। এসব বিষয় মাথায় রেখে শিক্ষানুরাগী সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বাগমারার শিক্ষা ক্ষেত্রকে গুরুত্ব দিয়েছেন সবচেয়ে বেশি। তিনি নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, শিক্ষা ও পাসের হার বৃদ্ধি, অবকাঠামো নির্মাণ, নতুন নতুন প্রকল্প চালু করেছেন। পাস ও ভর্তির হার বৃদ্ধি পেয়ে ১০০% হয়েছে এ সময়ে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। তার প্রচেষ্টায় বাগমারার তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্ত হয়েছে। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের চেয়ে উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করার মতো।

উপজেলার হাটগাঙ্গোপাড়া, নাসিরগঞ্জ, বাগমারা ডিগ্রি কলেজসহ সাতটি কলেজের নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বাগমারা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়, ভানসিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, কাঁঠালবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, বৈলসিংহ, জামগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়, শঙ্করপৈ, কোনবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়, একডালা উচ্চ বিদ্যালয়সহ ৪২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। কুশলপুর, উত্তরএকডালা, জামলই দাখিল মাদ্রাসা পাঁচটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়ে উপজেলার প্রায় ২৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ ও ৩১টির সংস্কার করা হয়েছে। এরমধ্যে নাগপাড়া, কামনগর, দ্বীপনগর, খালগ্রাম, কাঁঠালবাড়ি, হায়াতপুর, সাকোয়া, রক্ষিতপাড়া, বানইল, কালিকাপুর, মাড়িয়া, মীরপুর, বালানগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য। এ সময়ে বিদ্যালয় বিহীন গ্রামে নতুন ৫টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও আরো ১ টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উপজেলার বাগমারা, নাসিরগঞ্জ ও সাকোয়া মহাবিদ্যালয় (বর্তমানে সালেহা ইমারত ডিগ্রি কলেজ) কে ডিগ্রিতে রূপান্তর করা হয়েছে। উচ্চ শিক্ষা ও গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য সম্মান কোর্স চালু করা হয়েছে ভবানীগঞ্জ ও তাহেরপুর ডিগ্রি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কলেজে রুপান্তর করার মাধ্যমে। এছাড়া ভবানীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজকে সরকারী করা হয়েছে ।
এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেশ কিছু বিষয়ে সম্মান কোর্স চালু করায় গরীব ও মেধাবী শিক্ষাদের আর শহরে ছুটতে হচ্ছেনা। তারা বাড়িতে বসেই উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করছেন। বিগত সরকারের আমলে শিক্ষার্থীদের নতুন বই পেতে ছয় মাস সময় লাগলেও এ সময়ে বছরের শুরুর দিন থেকে শিক্ষার্থীরা হাতে নতুন বই পাচ্ছে। শুধু তাই নয় এ সময়ে উপবৃত্তির সুবিধাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে ৪০% শিক্ষার্থী এ সুবিধা পেলেও এখন পাচ্ছে ৫০% শিক্ষার্থী। বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থী ভর্তির হার বেড়ে ১০০% হয়েছে। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও কমে এসেছে। এছাড়াও ১১২টি রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়েছে, দেশের অন্যান্য উপজেলার চেয়ে বেশি। উপজেলায় রস্ক প্রকল্পের মাধ্যমে ৪৪ টি আনন্দ স্কুল স্থাপন করে দেড় হাজার শিক্ষার্থী পাঠদানের সুযোগ পাচ্ছে। সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক মেধাবীদের উৎসাহিত করতে ও টিকিয়ে রাখার জন্যও শিক্ষানুরাগী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক কাজ করে যাচ্ছেন নির্বাচিত হওয়ার আগ থেকেই। তিনি মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও সমমান পর্যায়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করে থাকেন। সংবর্ধনার কারণে কৃতি শিক্ষার্থীরা উৎসাহিত হচ্ছেন। তারা পরীক্ষায় সন্তোষজনক ফলাফলও করছেন। জেএসসি, জেডিসি, এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ঈর্ষণীয় সাফল্য আসছে। এছাড়াও সাকোয়ায় নিজ উদ্যোগে ও নিজস্ব খরচে সালেহা ইমারত গার্লস একাডেমি নামে একটি বালিকা বিদ্যালয়ে স্থাপন করেছেন। এখানে এলাকার গরীব শিক্ষার্থীরা বিনা খরচে লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে। শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্যও কাজ করেন তিনি। প্রাথমিক থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের শিক্ষকদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করেছেন নিজ উদ্যোগে। কিভাবে শিক্ষার মান বাড়ানো যায় সে ব্যাপারেও কাজ করেছেন সাংসদ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রযুক্তিগত শিক্ষার মানবৃদ্ধি জন্য নিজ উদ্যোগে কম্পিউটার বিতরণ ও ক্রীড়া সামগ্রী ক্রয়ের জন্য সরকারী এবং ব্যক্তিগত অর্থ বিতরন করা হয়েছে। তার প্রচেষ্টায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি এ সময়ের মধ্যে বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এলাকার দেড় হাজার শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়াও তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভূক্ত করা হয়েছে। আরো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পাঁচ শতাধিক নতুন শিক্ষক কর্মচারীরা এমপিওভূক্ত হয়েছেন এ সময়ের মধ্যে।