বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

পুঠিয়া, দুর্গাপুরে চমক দেখাতে পারে সাবেক ছাত্রনেতা মাসুদ

SONALISOMOY.COM
অক্টোবর ২৯, ২০১৭
news-image

নিজেস্ব প্রতিনিধি: রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া, দুর্গাপুর) আসনে আওয়ামীলীগ এবার মনোনয়ন বড় চমক আসতে পারে। কারা নির্যাতিত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আহ্সান উল হক মাসুদ। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

সুত্র জানায়, দলের জেলা ও শীর্ষ পর্যায় থেকে এই আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। দলের আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে পারেন। ইতিমধ্যেই তিনি তার নির্বাচিত এলাকায় গনসংযোগ করছেন পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে বিভিন্ন হাট-হাজারে।

আওয়ামীলীগ সুত্র বলছে, সাবেক এই ছাত্রনেতা শেখ হাসিনার দুঃসময়ের রাজনৈতিক কর্মী। আহ্সান উল হক মাসুদকে দলের হাই কমান্ডের প্রথম পছন্দ। পুঠিয়া, দুর্গাপুরের জনগন মনে করে আওয়ামীলীগ থেকে আহ্সান উল হক মাসুদ মনোনয়ন পেলে পুঠিয়া, দুর্গাপুরে বারতি সুবিদা পাবে এ আসনে নতুন প্রার্থী হিসেবে চমকও তৈরি হবে।

আহ্সান উল হক মাসুদ তৃণমূল থেকে উঠে আসা আওয়ামীলীগ’র দু:সময়ের পরিক্ষিত কর্মী, ১৯৯০ সালে পুঠিয়া পিএন উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্র থাকা অবস্থাতেই এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন তিনি। ৯২ সালে পুঠিয়া কলেজ ছাত্রলীগের কোষাধ্যক্ষ হন। একই বছরে উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য হন। ৯৬ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক। ৯৭ সালে সাধারণ সম্পাদক হন। এরপর আবারো একই পদে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালে জেলা ছাত্রলীগের সদস্য এবং লিয়াকত, বাবু কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য হন তিনি। পরে তিনি ২০১৪ সালের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি সহ সম্পাদক হন। ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পর তিনি সাংগঠনিক সম্পাদদের পদ পান।

১৯৯৪ সালে বিএনপি সরকার বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে তিনি প্রথম গ্রেফতার হন। ১৮ দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হন। এরপর ২০০১ সালের ১২ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াত সরকার গঠনের পর বিনা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। একাধিক মামলার শিকার হন তিনি।পুঠিয়ায় আলোচিত মহিমা ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্রতিবাদ কর্মসূচী করায় জোট সরকারের পুলিশ বাহিনী তাকে ২০০২ সালে গ্রেফতার করে ডিটেনশন দিয়ে কারাগারে পাঠায়। ২০০৪ সালে আবারো রাজনৈতিক মামলায় কারাভোগ করেন আট দিন। ২০০৬ সালে আবারো কারাগারে যান। ২০০৭ সালে যৌথ বাহিনী তাকে আটক করে সেবারো তিনি কারাভোগ করে জামিনে মুক্তি পান। এছাড়া ১৯৯৬ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্যাডারদের হামলার শিকার হন।

সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘আমার জন্ম, বেড়ে উঠা রাজনৈতিক পরিবারে। আমার চাচা মুক্তিযোদ্ধা ইয়াছিন খাঁ ছিলেন পুঠিয়া আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। সে কারনে ছোটবেলা থেকেই রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিলো। সাধারণ মানুষের পাশে থাকার অভ্যাসটি ছোটবেলাতেই শুরু হয়। মানুষের জন্য কিছু করা, এলাকার উন্নয়ন করতে হলে জনপ্রতিনিধি হবার বিকল্প নাই।

মনোনয়ন পাবার বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী উল্লেখ করে বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা বার বার বলেছেন, জনবিচ্ছিন্ন কেউ মনোনয়ন পাবেন না। আমি জনগনের সঙ্গে রয়েছি। আমার রাজনৈতিক কাজকর্ম বিবেচনা করে আমাকে মনোনয়ন দেবেন আশা করি।

সাবেক এই ছাত্রনেতা আরো বলেন, আমি মনোনয়ন পেলে দলীয় কোন্দল ও গ্রুপিংয়ে যারা দল থেকে দূরে সরে গেছে তাদের ফিরিয়ে এনে। সবাইকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ও আওয়ামী লীগের পতাকা তলে একটা পরিবার করে রাখতে চাই।