মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

প্রেমের কারণে রওনক খুন

SONALISOMOY.COM
মার্চ ৬, ২০১৮
news-image

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রেমের জন্য পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজারে হোলি উৎসব থেকে কলেজছাত্র রওনককে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো রিয়াজ আলম ওরফে ফারহান, ফাহিম আহম্মেদ ওরফে আব্রো, ইয়াসিন আলী, আল আমিন ওরফে ফারাবী খান ও লিজা আক্তার ওরফে মাইসা আলম। তাদের কাছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার ইব্রাহিম খান।

তিনি বলেন, মাইসার সঙ্গে আগে রওনকের সম্পর্ক ছিল। পরে রওনক মাইসার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করে। কিন্তু ওই মেয়েকে অন্য একটি ছেলেও পছন্দ করত। মূলত রওনকের দ্বিতীয় প্রেমের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে ওই ছেলে ও রওনকের মধ্যে ফেসবুকে কথা-কাটাকাটি ও একজন অন্যজনকে হুমকির ঘটনা ঘটে। তাই ওই ছেলে পরিকল্পনা করে হোলি উৎসবকে বেছে নেয় রওনককে খুন করার জন্য। যেহেতু রওনকের সঙ্গে মাইসার আগে সম্পর্ক ছিল, তাই মাইসাকে ব্যবহার করে রওনককে হোলি উৎসবে নিয়ে আসে ওই তরুণ। ওই তরুণকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাই তার নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।

ইব্রাহিম খান বলেন, পূর্বপরিকল্পনামতো মাইসার কল পেয়ে ১ মার্চ রওনক কামরাঙ্গীরচরের বাসা থেকে কলাবাগানে অন্য বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হয়। রওনক পৌঁছানোর আগেই ওই তরুণ লক্ষ্মীবাজারে কয়েকজনকে নিয়ে পরিকল্পনা করে এবং ছুরি সরবরাহ করে। রওনক বন্ধুদের সঙ্গে শাঁখারীবাজার শনি মন্দিরের সামনে গেলে মাইসা তাকে একপাশে ডেকে নিয়ে যায়। তখন রওনককে ঘিরে ফেলে ২০ থেকে ২৫ জন এবং এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। একসময় এদের মধ্যে কয়েকজন রওনককে ছুরিকাঘাত করে।

পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ফারহান নিজেই ছুরিকাঘাত করেছে। মূল পরিকল্পনাকারীসহ জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে রওনকের বর্তমান প্রেমিকার কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। ওই মেয়েকে নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে। কিন্তু ওই দিন মেয়েটির সঙ্গে তাদের কারও যোগাযোগ হয়নি এবং কথোপকথনের কোনো রেকর্ড পাওয়া যায়নি। সে ঢাকার বাইরে ছিল।

ইব্রাহিম খান আরও বলেন, আসলে তরুণেরা কোথায় কী করছে, কোথায় যাচ্ছে, এসব বিষয়ে পরিবারের আরও নজরদারি বাড়ানো উচিত।