মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

বাগডুমে কেনাকাটা করে প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতা!

SONALISOMOY.COM
মার্চ ২০, ২০১৮
news-image

সোনালী সময় প্রতিবেদক: দোকানে গিয়ে জিনিসপত্র নেড়ে-চেড়ে দেখে, দাম-দস্তুর করে কেনাকাটা করা বাঙালী এখন অনলাইনে কেনাকাটায় আগ্রহী হয়ে উঠছে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও প্রসার ঘটছে অনলাইনে কেনাকাটার। ইন্টারনেট সহজ করে দিচ্ছে ক্রেতার জীবনাচরণ। চব্বিশ ঘণ্টারও কম সময়ে নিজের অর্ডার করা পণ্য ডেলিভারী পেয়ে ক্রেতারাও আগ্রহী হয়ে উঠছেন এই ব্যবস্থায়।

অনলাইনে কেনাকাটায় জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে প্রতারণাও। এসব প্রতারকের ব্যাপারে অভিযোগ জানানোর সুনির্দিষ্ট স্থান নেই। প্রতিকার মেলে না প্রতারিত হলেও।

এখনো নেই সুনির্দিষ্ট নীতিমালা, তাই নেই নিয়ন্ত্রণ বাড়ছে প্রতারণা। ২০০৯ সালে অনলাইন ব্যবসার অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৩ সালে শুরু হয় ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডে ব্যবসার চল। নীতিমালার খসড়াও তৈরি। এখন তা রয়েছে মন্ত্রিসভায় তোলার অপেক্ষায়।

‘অঞ্জন চন্দ্র দেব’ নামের একজন সংবাদকর্মী তার ফেসবুক টাইমলাইনে অনলাইন কেনাকাটার উপর ক্ষোভ নিয়ে লিখেছেন, অনলাইন থেকে কেনাকাটা কম করি। এখন মাঝে মাঝে করা হয়। কিছু দিন আগে দেশের বিখ্যাত সাইট থেকে কিনতে গিয়ে ভালোই অভিজ্ঞতা হলো। সে কথা আর নাই বলি। কিন্ত Bagdoom.com থেকে তিন দিন আগে দুইটা ফ্যান অর্ডার দিলাম। ছবি দেখে মনে হলো ভালোই বড়। বাস্তবে দেখলাম খেলনা ফ্যানের মত। যাক আমি ব্যাচেলর মানুষ যা বাতাস আসে একজনের হয়ে যাব। তবে বাগডুমের সার্ভিস ভালো লাগছে।

তার স্ট্যাটাসের নিচে বাপ্পী রেজওয়ান নামের একজন মন্তব্য করেছেন, ৩৫০ টাকার ফ্যান ৮৫০ টাকা রাখছে বাগডুমে।

বাগডুম ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, স্টাইলিষ্ট জেন্টস ওয়াচ (কপি) মূল্য দেয়া ১,৪৫০ টাকা। স্মার্ট ওয়াচ দাম দেয়া ১,৪৫০ থেকে ২,১৫০ পর্যন্ত। ”৫ স্টার” কার শেভ মোবাইল যার দাম ১,৯৮০ টাকা। সাথে হোম ডেলেভারির জন্য অতিরিক্ত ৯৯ টাকা। যার মূল্য ২,০৭৯ টাকা।

সরেজমিনে মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, ”৫ স্টার” কার শেভ মোবাইল ১,৩০০ থেকে ১,৩৫০ টাকায় বিক্রয় বিভিন্ন মার্কেটে। স্টাইলিষ্ট জেন্টস ওয়াচ (কপি) যার বাজার মূল্য ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা। স্মার্ট ওয়াচ যার বাজার মূল্য ৮০০ থেকে ১,০০০ টাকা।

এ ব্যাপারে বাগডুমের সিইও মিরাজুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি ‘সোনালী সময়’কে বলেন, আমাদের এই ই-কমার্স প্লাটফর্ম-এ প্রায় ৫ শতাধিক মার্চেন্ট আছে। তারাই এই প্রোডাক্টগুলোর দাম নির্ধারণ করে দেন। আমাদের কাছে যদি কোন ক্রেতা অভিযোগ করেন প্রোডাক্ট বা মূল্য নিয়ে তখন আমরা মার্চেন্টের সাথে আলোচনা করি এবং তার সমাধানের জন্য চেষ্টা করি।