বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

বেসিস সদস্যদের আর্থিক বিনিয়োগ সুবিধা নিশ্চিত করবে ‘টিম দুর্জয়’

SONALISOMOY.COM
মার্চ ২৬, ২০১৮
news-image

সোনালী সময় প্রতিবেদক: তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) পরিচালনা পর্ষদের ২০১৮-২০২০ মেয়াদের নির্বাচনের বাকি আর মাত্র কয় এক দিন। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থীদের প্রচারণাও বেড়ে চলছে।এরিমধ্যে হয়ে গেছে কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী পরিচিতি সভা ।

‘টিম দুর্জয়’ প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ফ্লোরা টেলিকম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম। আগামী ৩১ মার্চ বেসিসের এই নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে ‘টিম দুর্জয়’ প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী বেশ কয়েকজন প্রার্থীর সঙ্গে। তাঁরা হলেন রেইজ আইটি সল্যুশনস লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক কে এ এম রাশেদুল মজিদ এবং অ্যাটম এপি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক এ কে এম আহমেদুল ইসলাম বাবু।

অভিজ্ঞতা আর স্বপ্ন নিয়ে বেসিসকে নিতে যেতে চাই অনন্য উচ্চতায় : মোস্তফা রফিকুল ইসলাম
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ফাউন্ডিং মেম্বার আমাদের প্রতিষ্ঠান ফ্লোরা। সে সময়ে সফটওয়্যার খাতে কোনো সংগঠন ছিল না। বিসিএসই খুব অ্যাক্টিভ ছিল, কিন্তু তাদের কাজ ছিল শুধুমাত্র হার্ডওয়্যার নিয়ে। ফলে একটি সফটওয়্যার সংগঠন গঠন করা তখন সময়ের দাবি ছিল। করিম ভাইয়ের বুদ্ধিতেই শুরু হয় বেসিসের যাত্রা। এরপর সরকারের কাছ থেকে আমরা বেসিসের জন্য একটা ভবন নিই।

মোস্তফা রফিকুল ইসলাম বলেন, তরুণ প্রজন্মকে এবং ছোট ও মাঝারি আইটি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে টেকসই করতে এবং দ্রুত আর্থিক বিনিয়োগ সুবিধা নিশ্চিন্তে জরুরী ও সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে কাজ করার ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন মোস্তফা রফিকুল ইসলাম। তিনি মনে করছেন, দেশের সফটওয়্যার খাতে তিনটি সমস্যা রয়েছে। প্রথমত, ফান্ডিং। দ্বিতীয়ত স্থানীয় শিল্পকে প্রোটেক্ট করা আর সবশেষে পলিসিগত সমস্যা।

বেসিসের অনেক সদস্যকে আমি প্রায়ই হতাশ দেখতে পাই। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলি, আমার কম্পানি ২০০৮ সাল পর্যন্ত লসে ছিল। সেই সময়ে আমাকে ভাবতো হতো কীভাবে কম্পানিতে থাকা সহযোদ্ধাদের বেতন দেব? সেই সময়ে আমি বুঝেছিলাম টাকা থাকলে অনেক কিছুই করা সম্ভব। যখন কেউ দাঁড়ানোর চেষ্টা করে তার এই সাপোর্টটি প্রয়োজন। খুবই প্রয়োজন। এখন আমার মনে হয় টাকা পাওয়াটা অনেক কঠিন। দেশে এখন অনেক টাকা রয়েছে। তবে পলিসিগুলো এমনভাবে করা যে টাকা পেতে পেতে অনেকে খেই হারিয়ে ফেলে। বেসিস নির্বাচনে অংশ নেয়ার উদ্দেশ্য, যারা আইসিটিতে দাঁড়াতে চায় তাদের দাঁড়াতে সাহায্য করা। আমাদের পলিসিগত সমস্যাগুলোকে সহজ করা। মোটা দাগে যদি বলি সেটি হচ্ছে, খুব স্বল্প সময়ে, স্বল্প শর্তে বা জিরো শর্তে নতুনদের অর্থায়নের ব্যবস্থা করে দেয়া।

দেশীয় কোম্পানীগুলোর স্বার্থে কাজ করতে চাই : কে এ এম রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। বিশ্বের শতাধিক দেশে বহুল ব্যবহৃত জনপ্রিয় রিটস ব্রাউজারের উদ্ভাবকও তিনি।

পাঁচ বিলিয়ন ডলার এক্সপোর্টের পাশাপাশি দেশীয় মাকের্টের উন্নয়নের উপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে বেসিসের সদস্যদের ওয়ান স্টপ সল্যুশনের এমন একটা স্থানে নিয়ে যেতে চাই যেখানে নতুন উদ্যোক্তারা পাবেন প্রশিক্ষণ ও সমস্যায় পড়া সদস্যরা পাবেন সমাধান বলছিলেন রেইজ আইটি সল্যুশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম রাশেদুল মাজিদ।

কে এ এম রাশেদুল মাজিদ বলেন, এইবারের বেসিসের নির্বাচনে অংশ নিয়েছি কারণ হচ্ছে এবারের নির্বাচনে আমার কিছু করণীয় রয়েছে। এই তাগাদা থেকেই নির্বাচনে দাঁড়ানো। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি যেভাবে বেড়ে ওঠার কথা, সে রকমভাবে বেড়ে ওঠেনি। এই কাজ না হওয়ার জায়গাটিতে আমি কাজ করতে পারব বলে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। সরকার এবং দেশীয় কম্পানিগুলোর মধ্যে পলিসি গত যে সমস্যা আছে সে বিষয়গুলো নিয়ে আমি কাজ করতে চাই।

দেশিয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানসমূহের সক্ষমতা সরকারের কাছে ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরা। আমাদের দেশিয় প্রতিষ্ঠানসমূহ আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রদান ও সফটওয়্যার প্রস্তুত করতে সক্ষম, সফটএক্সপোর মাধ্যমে দেশিয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানসমূহের ওপর আস্থা বহুগুণ বাড়বে বলেই বিশ্বাস আমার। আর দেশিয় প্রতিষ্ঠানসমূহ শক্তিশালী হলে খুব সহজেই তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বহুল প্রতীক্ষিত ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় অর্জন করা সম্ভব।

সদস্যদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই : এ কে এম আহমেদুল ইসলাম
প্রায় শুরু থেকেই বেসিস এর সাথে আছি। বেসিক এর কোথায় কি সমস্যা কোনটা করলে ভাল হবে সেই বিষয়গুলো আমি খুব কাছ থেকে অনুধাবন করেছি আর সেই সকল সমস্যাগুলির সমাধান নিয়ে কাজ করতে চাই। বর্তমানে বেসিস এ ১১০০ সদস্য আছে। অনেক সময় বিভিন্ন করনে সদস্যদের সঙ্গে বোর্ডের একটি দূরত্ব তৈরি হযে যায় । সদস্যদের সঙ্গে বোর্ডের যেন দূরত্ব না থাকে সেই বিষয় নিয়ে কার্যকরী ভাবে কাজ করতে চাই । সদরসহ বান্ধব হয়ে সদস্যদের সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে চাই বলছিলেন বেসিস নির্বাহী কমিটির ২০১৮–২০২০ নির্বাচনে অংশ নেওয়া অ্যাটম এপি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু।

এ কে এম আহমেদুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে আইসিটি কোম্পানিকে রিপ্রেজেন্ট করে বেসিস অর্থ্যাৎ সরকারের কাজে সফলতা আনার জন্য বেসিস এর ভূমিকাটা অনেক বড়। আমরা সরকারের সাথে দেশের উন্নয়নে একসাথে কাজ করতে চাই এবং বেসিস সদস্য কোম্পানিগুলোকে আমাদের দেশে এবং দেশের বাইরে সবার কাছে আস্থার জায়গাতে নিয়ে যেতে চাই। আন্তর্জাতিক বাজারে বিশেষত জাপানে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং, বৈদেশিক অনুদান সহায়তা ও বাজার সম্প্রাসরণের মাধ্যমে আইসিটি শিল্পের অবস্থান সুসংগত করা। বেসিসের সব সদস্যদের জন্য স্থায়ী অফিস এবং ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।