শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

পরিপূর্ণ প্যানেল নিয়েই বেসিস নির্বাচনে টিম দুর্জয়

SONALISOMOY.COM
মার্চ ২৯, ২০১৮
news-image

সোনালী সময় প্রতিবেদক: নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে ৩১ মার্চ বাংলাদেশ অ্যাসেসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরেমশন সার্ভিসেসের (বেসিস) পরিচালনা পর্ষদের ২০১৮-২০ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এবারের নির্বাচনে নয়টি পদের বিপরীতে ৩১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এর মধ্যে ২৫ জন তিনটি প্যানেলে বিভক্ত হয়ে, অন্যরা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছেন। দুইটি প্যানেলে কোন অ্যাসোসিয়েট প্রার্থী নেই এখন আট জন নিয়েই দুইটি প্যানেল নির্বাচন করছেন। তবে টিম দুর্জয় পরিপূর্ণ ৯ সদস্যর প্যানেল নিয়েই এবারের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছে। সম্প্রতি নির্বাচন বন্ধের ষড়যন্ত্রকে কঠোর হাতে সদস্য এবং প্রর্থীদের নিয়ে দমন করেছে টিম দুর্জয় প্যানেল। এই নির্বাচনের অন্যতম আলোচিত প্যানেল ‘টিম দুর্জয়’ এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন ফ্লোরা টেলিকম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা রফিকুল ইসলাম। নির্বাচনে তাঁর প্যানেল ও নিজের নির্বাচনী পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

সোনালী সময়: আপনি শুধু নিজে নির্বাচন করছেন তা নয়। ‘টিম দুর্জয়’ প্যানেলের নেতৃত্বও দিচ্ছেন। নিজের কাঁধে এই দায়িত্ব তুলে নেওয়ার কারণ কী?
মোস্তফা রফিকুল ইসলাম: তথ্যপ্রযুক্তি নিয়েই দেশের বাইরে পড়াশোনা করেছি। পড়া শেষ করে বিদেশে লোভনীয় চাকুরি ছেড়ে দিয়ে দেশে চলে আসি নব্বইয়ের দশকে। দেশে ফিরেই তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায় যুক্ত হই। সফলতাও পেলাম। এর মধ্যে বেসিসের বিভিন্ন কমিটিতে মহাসচিবসহ নানা পদে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি মনে করি, আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির নেতৃত্ব এবং তরুণদের দিক-নির্দেশনা দেওয়ার ব্যাপারে আমার দীর্ঘ দিনের যাত্রায় নিজেকে প্রস্তুত করছি। তাই টিম দুর্জয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছি।

সোনালী সময়: এই নির্বাচনে আপনার ইশতেহার কী?
মোস্তফা রফিকুল ইসলাম: সময় কম, তাই দুইটা এজেন্ডা নিয়ে এগোচ্ছি। তরুণ প্রজন্ম এবং ছোট ও মাঝারি আইটি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে টেকসই করতে দ্রুত আর্থিক বিনিয়োগ সুবিধা নিশ্চিন্তে জরুরী ও সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে কাজ করতে চাই। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং-এও কাজ করব। শুধু অর্থ দিয়ে নয়। দিক-নির্দেশনাও প্রয়োজন স্টার্টআপগুলোর। অ্যালায়েন্সের মাধ্যমে নতুন আঙ্গিকে তাঁরা এগুতে পারে। এতে ঐক্যবদ্ধ আর সমন্বয় থাকবে।

সোনালী সময়: ইশতেহার বাস্তবায়নে কোনো পরিকল্পনা?
মোস্তফা রফিকুল ইসলাম: হা, পরিকল্পনা করেছি। ব্যাংক থেকে লোন নিতে আমাদের যে সমস্যাটা আছে, তা হলো বিভিন্ন পলিসির কারণে তাদের সঙ্গে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একটা দূরত্ব রয়ে গেছে। এটা কমিয়ে আনতে হবে, স্কিল আর আলোচনার মাধ্যমে। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে কোনো পলিসি নেওয়া যেতে পারে।

সোনালী সময়: বেসিসের সদস্যরা আপনাকে এবং ‘টিম দুর্জয়’কে কেন বেছে নেবে?
মোস্তফা রফিকুল ইসলাম: বেসিসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আমি। আপনার জানেন আমার তিনটি সফল প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শুধু দেশে নয়, সারাবিশ্বেও বেশ নাম করেছে আমাদের প্রতিষ্ঠান। এ ধরণের উদ্যোগ আরও ছড়িয়ে দিতে চাই। আমাদের সদস্যরা খুব বেশি আগাচ্ছে না। তাই তাদের নিয়ে কাজ করার জন্য আমরা প্যানেল সাজিয়েছি পুরাতন, নতুন ও তরুণ উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে। যারা একাধারে সৎ ও ইনোভেটিভ। সব মেম্বরদের সমন্বয় করে ঐক্যের মাধ্যমে এগুবে টিম দুর্জয়। আন্তরিকতা এবং শ্রদ্ধাবোধ থাকলে জীবনে অবশ্যই সফল হওয়া যায়।

সোনালী সময়: আইসিটি শিল্পে এই মুহুর্তে কোন জিনিসটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ?
মোস্তফা রফিকুল ইসলাম: আমাদের এখন একটি জাম্প দরকার। তথ্যপ্রযুক্তির দুনিয়া এখন আর আগের জায়গায় নেই। নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের যে পরিকল্পনা তা শতভাগ বাস্তবায়ন করতে এসব প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেতে হবে।

সোনালী সময়: এই নির্বাচন নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী?
মোস্তফা রফিকুল ইসলাম: বেসিসের সদস্যরা বিচক্ষণ। তাই তাঁরা এমন প্রার্থীকে বেছে নেবেন যারা যোগ্য ও নিষ্ঠ এবং ইন্ডাস্ট্রির জন্য কাজ করছে, তাও আবার সফলতার সঙ্গে। এ কারণে ভরসা রাখতে পারি, এবারের বেসিস নির্বাচনে টিম দুর্জয় জয়ী হবে।