শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

বাগমারায় বিদ্যুতায়নে এমপি এনামুলের অভুতপূর্ব সাফল্য

SONALISOMOY.COM
জুন ৪, ২০১৮
news-image

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিগত সাড়ে নয় বছরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায়, স্থানীয় সাংসদ ইঞ্জিঃ এনামুল হকের নিরলস প্রচেষ্টায় বিদ্যুৎহীন প্রত্যন্ত বাগমারা বিদ্যুতায়নে এখন সারাদেশের দৃষ্টান্ত । সন্ধ্যা হলেও এখন আর কুপির আলোতে শিক্ষার্থীদের পড়তে হয়, বাড়িতে পৌঁছে গেছে বিদ্যুতের আলো। বিএনপি জোট সরকারের আমলে ২০০৮ সালের আগে এলাকায় ১৫% এর কম বাড়িগুলোতে বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ ছিল, তখন এমন ইউনিয়নও ছিল যেখানে বিদ্যুতের ছোঁয়াও পোঁছাইনি। আজ এই বাগমারায় ৯০% এর বেশি এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে।

স্থানীয় সাংসদ এনামুল হক বলেন, আগামি ডিসেম্বর এর মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে; “বিদ্যুৎ মেলা” নামে একপ্রকার মেলা হয় ইউনিয়নগুলোতে, যেখানে একই দিনে আবেদন, যাচাই-বাচাই এবং সংযোগ দিয়ে দেয়া হচ্ছে; আর তা সবই সম্ভব হয়েছে দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রীর একনিষ্ঠ আন্তরিকতায়। আপনি জানলে অবাক হবেন গত সাড়ে নয় বছরে আমাদের সরকার প্রায় ১২ হাজার মেগাওয়াট এর বেশি বিদ্যুৎ জাতিয় গ্রিড এ যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে এবং আমাদের সরকারের টার্গেট ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট এ উন্নীত করা; আর সরকার সেই লক্ষ্যে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ নির্মাণ করছে। দেশে বর্তমানে ১২টি মিনি সোলার গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ বিতরণ করা হচ্ছে। বর্তমান সাংসদ ইঞ্জিঃ এনামুল হকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বর্তমানে উপজেলায় বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী গ্রাহকের সংখ্যা ৫,৯৭২ (২০০৮ সালে) হতে বর্তমানে ৮৫ হাজারের বেশী গ্রাহকে উন্নীত হয়েছে। এলাকার বিদ্যুৎ চাহিদা নিশ্চিত করতে ভবানীগঞ্জ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের ক্ষমতা ৫ মেগাওয়াট হতে বাড়িয়ে ৩০ মেগাওয়াট এবং হাটগাঙ্গোপাড়ায় ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। রাজশাহীর কাটাখালীতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্থাপিত নর্থবেঙ্গল পাওয়ার প্ল্যান্ট হতে উৎপাদিত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ হতেও বাগমারাবাসী সুফল পাচ্ছে। বাগমারার প্রতিটি ঘরেই এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী পদক্ষেপের কারণে ২০০৯ সাল থেকে বিদ্যুৎ খাতে অভাবনীয় পরিবর্তন এসেছে। এই ব্যাপারে, সোনাডাঙ্গার বাসিন্ধা আব্দুর রহমান লিটন এর কথা বলে জানা যায়, ২০০৯ সালের আগে তার ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না, কিন্তু এই সরকার, এই এমপি আমাদের এলাকার ৯৫% এর বেশি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন; এজন্য আমরা ইউনিয়নবাসী এমপি তথা এই সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি সাথে সাথে আরো বললেন, “জয় হউক উন্নয়নের, জয় হউক মানবতার মানসকন্যার; জয় হোক পরিবর্তনশীল বাগমারার রূপকারের”।

প্রসঙ্গত, বর্তমান যুগ হলো প্রযুক্তির যুগ। কৃষি উৎপাদন থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য পেতে হলে চাই প্রযুক্তির ব্যবহার। শিক্ষাদীক্ষা থেকে জীবনের এমন কোনো পর্যায় নেই যেখানে প্রযুক্তির ব্যবহার নেই। আর এই প্রযুক্তি ব্যবহারে শক্তির জোগান দেয় বিদ্যুৎ । আজকের যুগে উন্নয়নের ক্ষেত্রে দেশকে দ্রুত এগিয়ে নিতে হলে বিদ্যুতের সক্ষমতা অর্জন অপরিহার্য শর্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশকে দ্রুত উন্নয়নের পথে নিয়ে যেতে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নকে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করে। গুটি গুটি পায়ে অনেকদূর এগিছে দেশ, এগিয়েছে বিদ্যুৎ খাত। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মহাজোট সরকার যখন ক্ষমতায় আসীন হলো তখন সর্বসাকুল্যে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৫ হাজার মেগাওয়াটের কম, আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দক্ষ নেত্রীতে ১৬ হাজার ৪৮ মেগাওয়াটের বেশী। আওয়ামী লীগ সরকারের এই শাসনামলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রর সংখ্যা দাড়িয়েছে ১১৯টিতে, যা ২০০৯ সালে ছিল মাত্র ২৭টি। পাশাপাশি ২০১৮ সালে বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী মানুষের সংখ্যা প্রায় ৯০ শতাংশ, যা ২০০৮ এ ছিল ৪৫ শতাংশেরও কম, তার মধ্যে প্রতিদিন ১২-১৬ ঘণ্টা লোড-শেডিং থাকত; জনমুখে তখন একটা কথার প্রচলন ছিল “তখন বিদ্যুৎ যেত না, বিদ্যুৎ মাঝে মাঝে আসত”। ২০০৯ সালের আগে লোডশেডিং নামটা তখন সবার কাছে ছিল মূর্তিমান এক আতঙ্ক। আজ ৯ বছর শেষে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা যেমন আশ্চর্য্যজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি বৃদ্ধি পেয়েছে বিদ্যুৎ গ্রাহকের সংখ্যা; এক দশক আগে যেখানে বিদ্যুৎ-গ্রাহক ছিল ১ কোটি ৮ লাখ, বর্তমানে গ্রাহক সংখ্যা ২ কোটি ৮৫ লাখ ছাড়িয়েছে।