জনপ্রতিনিধির প্রসংশায় পঞ্চমুখ ওয়ার্ডবাসী
শরীয়তপুর থেকে ফিরে, সাকিব আল রোমান : শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানা চামটা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড ছিল স্থানীয় নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচিত। জনপ্রতিনিধি হওয়ার দৌড়ে ছিলেন সাবেক ওয়ার্ড মেম্বার আবুল হোসেন মাঝী, তৎকালীন ওয়ার্ড মেম্বার রহীম সিকদার ও তরুণ যুবলীগ নেতা আরিফ শিকদার। নিজেদের পছন্দের প্রতিনিধিকে সেরা প্রমাণ করতে মাঠে নেমেছিলেন ত্রিমুখী সমর্থকরা। সবশেষে বিজয় সাবেক মেম্বার আবুল হোসেন মাঝীর দখলে চলে গেলে এলাকায় শুরু হয় নারা রকম কানাঘুষা।
মেম্বার আবুল হোসেন মাঝী নিজ ওয়ার্ডের জন্য কি করতে পারবেন জনমনে প্রশ্নটা ছিল অনেকটাই বেশী। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে সর্বদাই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতো আবুল হোসেন মাঝীর নাম। এর কারণ হিসেবে তরুণরা বলতেন, আশেপাশে তাকালে প্রতিটা গ্রাম এগিয়ে চলছে দূর্বার। কিন্তু আমরা যেন পিছিয়েই অাছি সামনে বাড়তে পারছিনা! আর এই পরিবর্তনের সময়ে এসে একজন বয়স্ক মেম্বার আমাদের জন্য কি করবে? সে ফ্যামিলিয়ার বটে কিন্তু আমাদের জন্য চাকচিক্য কি গ্রহণযোগ্যতা পাবে?
তবে, তরুণ প্রজন্ম’র কাছে সব জল্পনা-কল্পনা ধুলিস্যাৎ হয় যখন ’ছৈয়াল বাড়ি থেকে মাঝি বাড়ি’ পর্যন্ত যাতায়াত রাস্তা তৈরী করেন এই জনপ্রিয় প্রতিনিধি। দীর্ঘদিনের চাওয়া সড়কটি উন্মোচন করেই হাত বাড়ান হাজী বাড়ি মসজিদে প্রবেশের মূল সড়কটির দিকে। তরুণ প্রজন্মের চোখে হয়ে উঠলেন নয়নের মণি। তরুণদের মুখে আবুল হোসেন মাঝীর জয়জয়কার। সেই আনন্দ উদযাপন শেষ না হতেই ওয়ার্ডবাসীকে ঈদ উপহার দেন ‘ছৈয়াল বাড়ি’ মোড়ের ব্রীজ। যে ব্রীজের জন্য ওয়ার্ডবাসী অপেক্ষা করতে করতে অধৈর্য্য হয়ে আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন।
ছৈয়াল বাড়ি, ফকির বাড়ি, মল্লিক বাড়ি, মাঝী বাড়ি, দপ্তরী বাড়ি ও ঢালী বাড়ির মানুষের মুখে ব্রীজ পাওয়ার আনন্দ ঈদ আনন্দকে অারও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তরুণ বলেন, এই ব্রীজটি করে তিনি (মেম্বার) যে উন্নয়নের স্বাক্ষর রেখেছেন তা ভাষায় প্রকাশ করার মত না। আমরা তার উপর শতভাগ বিশ্বাস রাখতে পারছি। আমরাও উন্নয়নের মহাসড়কেই দাড়াবো।
এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধি আবুল হোসেন মাঝীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ঈদের ব্যস্ততায় তার সাক্ষাৎ পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছেন, তিনি (জনপ্রতিনিধি) মিডিয়া, পোষ্টার, ফেষ্টুন নিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে চায় না। তার ইচ্ছে জনগনের সেবা করা। জনগন তার উপর আস্থা রেখেছে, সেই আস্থার প্রতিফলন ঘটানো এবং তরুণ যুবকদের জন্য একটি ডিজিটাল ওয়ার্ড উপহার দেয়া।