বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

বাচ্চু হত্যার সন্দেহভাজন কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত

SONALISOMOY.COM
জুন ২৮, ২০১৮
news-image

নিজস্ব প্রতিবেদক: মুন্সিগঞ্জে প্রকাশক শাহজাহান বাচ্চুকে হত্যার ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

নিহত আবদুর রহমানকে (৩৪) চার দিন আগে গাজীপুরের শ্রীপুরে এক জঙ্গি আস্তানা থেকে আটক করেছিল পুলিশ। তিনি জেএমবির ‘ঢাকা বিভাগীয় সামরিক কমান্ডার’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন বলে মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলমের ভাষ্য।

তিনি বলছেন, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে সিরাজদিখান উপজেলার খাসমহল বালুরচর এলাকায় রহমানকে নিয়ে অভিযানের মধ্যে তার সহযোগীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলি হয়। সেখানেই সে গুলিতে নিহত হয়।

ঘটনাস্থল থেকে গ্রেনেড, আগ্নেয়াস্ত্র এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করার কথা জানিয়ে পুলিশ বলেছে, ওই মোটরসাইকেল বাচ্চুকে হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত হয়েছিল বলে তাদের ধারণা।

গত ১১ জুন বিকালে সিরাজদিখান উপজেলারর কাকালদী মোড়ে দুটি মোটরসাইকেলে করে আসা চারজন বিশাখা প্রকাশনীর মালিক শাহজাহান বাচ্চুকে (৫৫) গুলি করে হত্যা করে।

বাচ্চু ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ‘আমাদের বিক্রমপুর’ নামের একটি অনিয়মিত সাপ্তাহিক পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

ওই ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় চারজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছিল। বালুরচর এলাকায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত রহমান প্রকাশক হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন বলে পুলিশের ভাষ্য।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে ২৪ জুন ভোর থেকে শ্রীপুর পৌর এলাকার একটি দোতলা বাড়ি ঘিরে পরদিন দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এডিসি আবদুল মান্নান সেদিন অভিযান শেষে বলেছিলেন, ওই বাড়িতে পুরনো জেএমবির সদস্যরা আস্তানা গেড়েছিল। ওই আস্তানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক পাওয়া গেছে।

বাড়ির মালিক পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার রফিকুল ইসলাম সেদিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তার বাড়ির নিচ তলার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ভাড়াটিয়া আব্দুর রহমান ও তার স্ত্রী শামসুন্নাহারকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়।

বাড়িওয়ালার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আব্দুর রহমান জাকিয়াপাড়া গ্রামের মো. হোসেন আলীর ছেলে। তবে তাদের বিষয়ে পুলিশ সেদিন কোনো তথ্য সাংবাদিকদের দেয়নি।

মুন্সীগঞ্জ পুলিশের জেলা ইন্টেলিজেন্স অফিসার (ডিআইও-১) মো. নজরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের বলেন, “২৪ জুন পুলিশের কয়েকটি টিম একত্রে অভিযান চালিয়ে গাজীপুর থেকে জেএসবি সদস্য আবদুর রহমানকে আটক করে। সে এই হত্যার (বাচ্চু) প্রধান আসামি।”

নজরুলের ভাষ্য অনুযায়ী, রহমানের বাকি সঙ্গীদের ধরতে তাকে নিয়ে গভীর রাতে সিরাজদিখানের খাসমহল বালুরচরে একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। বিষয়টি টের পেয়ে ওই বাসায় থাকা রহমানের সহযোগীরা পালিয়ে যায়।

“তবে আব্দুর রহমানকে নিয়ে ফিরে আসার সময় পুলিশের ওপর গুলি চালায় তার সহযোগীরা। পুলিশও তখন পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির মধ্যে আব্দুর রহমান নিহত হয়।”

ডিআইও নজরুল বলছেন, এই অভিযানে সিরাজদিখান থানার এএসআই দেলোয়ার, মো. হাসান ও কনস্টেবল মোশারফ আহত হয়েছেন। তাদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।