শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সাংসদ এনামুল হকের প্রচেষ্টায় বাগমারার ঘরে ঘরে জ্বলছে বিদ্যুতের আলো

SONALISOMOY.COM
সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮
news-image

বাগমারা প্রতিনিধি: ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ-ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে বাগমারার প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ। বর্তমান সরকারের আমলে বিদ্যুৎ একটি বড় সাফল্য। বাগমারা আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের নির্বাচনী অঙ্গিকারের মধ্যে ছিল বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান। আওয়ামী লীগ সরকারের ১০ বছরে এ সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়েছে। এখন দুর্গম এলাকায় পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। বাড়ি বাড়ি জ্বলছে বিদ্যুতের আলো।

১০ বছর আগে ওইসব এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল সোনার হরিণ, স্বপ্নের মতো। বিগত জোট সরকারের আমলে টাকার বিনিময়ে স্থাপন করা তারবিহীন পোলগুলোর দিকে চেয়ে কেটেছে বিএনপির দুঃশাসনের পাঁচ বছর। বর্তমান সরকারের আমলে উন্নতি হয়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার।

জোট সরকারের আমলে বিদ্যুৎ সুবিধা পেয়েছেন মাত্র ৯ হাজার ৩৩৭ জন গ্রাহক, আর এ সরকারের সময়ে সুবিধা পেয়েছেন ৬০ হাজার ৫৯৯ জন। সাংসদ এনামুল হকের প্রচেষ্টায় উপজেলার ৫০ হাজার ২৭টি পরিবারকে বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। উপজেলার প্রায় তিন লাখ লোক বিদ্যুতের সুবিধা সরাসরি ভোগ করছেন। সাংসদের চেষ্টায় লোডশেডিং কমানো হয়েছে।

এলাকাবাসীর বিদ্যুৎ চাহিদা নিশ্চিত করতে ভবানীগঞ্জ উপকেন্দ্রের ক্ষমতা ৫ এমভিএ থেকে বাড়িয়ে ৩০ এমভিএ করা হয়েছে। এছাড়া আরো ১০ এমভি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য হাটগাঙ্গোপাড়ায় স্থাপন করা হয়েছে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র। সাংসদ এ সমস্য সমাধানের জন্য কাটাখালিতে স্থাপন করা হয়েছে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। এর সুফলের বেশিভাগ সুবিধা ভোগ করছেন বাগমারাবাসী।

বাগমারায় গত ৩০ বছরে ৫৯৮ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের ১০ বছরে নতুন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে ৯৮৮ কিলোমিটার। বর্তমানে বাগমারা উপজেলা জুড়ে ১ হাজার ৫৮৬ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় এসেছে ৭৯ হাজার ৯৩৬ পরিবার। বিগত সময়ে উপজেলার ২২ ভাগ পরিবার বিদ্যুতের সুবিধা পেয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়ে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে ৬৯ ভাগ পরিবার। বাগমারায় সব মিলিয়ে ৯১ ভাগ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে।

এদিকে যে সকল বাাড়ি এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ সুবিধার থেকে বি ত তাদেরকে দ্রুত গতিতে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করতে চালু করা হয়েছে স্পট মিটারিং এর কাজ। এতে করে ওই সকল গ্রাহকরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছে। বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপের ফলে বাগমারার প্রতিটি পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হচ্ছে। চলতি বছরের মধ্যে এমপি এনামুল হকের উদ্যোগে প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হবে।

সাংসদের নিজস্ব বরাদ্দ থেকে ৬৫০ কিলোমিটার নতুন লাইন স্থাপন করা হয়েছে। আরো ২০ কিলোমিটার লাইন সম্প্রসারণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এছাড়াও সংষ্কার করা হয়েছে লাইনের। এছাড়াও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিজ উদ্যোগে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন সাংসদ এনামুল হক। ভবানীগঞ্জ, হাটগাঙ্গোপাড়া, শিকদারী, যাত্রাগাছি, গোয়ালকান্দি, মচমইল বাজারসহ ২৪৬টি স্থানে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বাগমারায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে উন্নত হয়েছে জীবনযাত্রার মান। প্রতিটি দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নই বলে দেয় বাগমারার বর্তমান অবস্থার কথা। যে বাগমারা এক সময় অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিলো সেই বাগমারা এখন রাতের বেলায় বিদ্যুতের আলো ঝলমল করে। নির্ভয়ে পথ চলতে পারে সবাই। বিদ্যুতের বৌদলতে বৃদ্ধি পেয়ের শিক্ষার হার। সভ্যতার নিদর্শন হলো বিদ্যুৎ। বিদ্যুতের কারনে উপজেলা জুড়ে ক্রমেই বেড়ে চলেছে বিভিন্ন কল কারখানা। বিদ্যুৎ বিহীন কলকারখানা চালাতে হতো ডিজেল দিয়ে। এতে অনেক ব্যয় হতো মিল মালিকদের।

বাগমারায় বিদ্যুতের আগমনের সাথে সাথে কম খরচে এবং দ্রুত সময়ে অনেক কিছু করা সম্ভব হচ্ছে। সেচ যন্ত্রে বিদ্যুতের ব্যবহার ঘটিয়ে অধিক ফসল উৎপাদন করছেন কৃষকরা। ডিপ টিউবওয়েলের মাধ্যেমে সঠিক সময়ে কৃষি জমিতে সেচ কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। আগে বিদ্যুৎ সম্পর্কে মানুষের তেমন কোন ধারণা না থাকলেও বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ জীবনের একটি অংশে পরিতন হয়েছে।

নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ-১ সমিতির বাগমারা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রেজাউল করিম বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামূল হকের প্রচেষ্টায় চলতি বছরের মধ্যেই বাগমারার অবশিষ্ঠ বাড়িতে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে যাবে ।