শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

বাগমারায় দলীয় কোন্দল ও সামাজিক প্রতিহিংসার শিকার আ’লীগ নেতা

SONALISOMOY.COM
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
news-image

বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারায় আ’লীগের দলীয় কোন্দল ও সামাজিক প্রতিহিংসার শিকার হলেন আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য মানিক হোসেন। উপজেলার ঝিকরা ইউপি’র ওই সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতিক্ষের চাঁদাবাজির ভিত্তিহীন অভিযোগের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে দাবী তুলে ধরেন ইউপি সদস্য মানিক হোসেন সহ গ্রামবাসী। এসময় ওই ইউপি’ সদস্যের সঙ্গে একই এলাকার ৪ জন ইউপি সদস্যসহ ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক জনগন উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক হোসেনকে ইউনিয়ন আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়ার পর প্রতিপক্ষ তা মেনে নিতে পারছেন না। এভাবে ইউপি সদস্য ও ইউপি আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর এলাকায় বিভিন্ন শালিস দরবারে ন্যায় বিচার করার ফলে প্রতিপক্ষ সেখানে কোনঠাসা হয়ে পড়ায় তারা মানিক হোসেনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে শুরু করেছে বলে গ্রামবাসীরা জানান। তারা আরো বলেন, দলীয় এবং ইউপি সদস্যের নানাবিধ দায়িত্ব পালনের জন্য ইউনিয়ন বাসী মানিক হোসেনর কাজে সন্তষ্ঠ হয়ে তারা তাকে ইউপিনয়ন কমিউিিনটি পুলিশিং এর সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করে। এভাবে তিনি ইউনিয়নবাসীর সার্বিক কাজে সেবা ও সহযোগিতা করে থাকেন। এরি মাঝে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর অনলাইন সানশাইন ও পদ্মা টাইমস পত্রিকায় আমরা জানতে পারি যে ঝিকরায় মানিক হোসেনের বাড়িতে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন হওয়ায় মানিক হোসেন সেই প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে মিথ্যা মামলায় হয়রানী করছে। গ্রামবাসীর দাবী অনুযায়ী প্রতিপক্ষদের এমন অভিযোগ সম্পূর্ন মনগড়া ও বানোয়াট।

সেখানে স্থানীয় আওয়ামীলীগের দলীয় কোন্দল ও সামাজিক প্রতিহিংসার বশবতি হয়ে কিছু ষড়যন্ত্রকারী যারা এলাকায় জামায়ত শিবিরের চিহ্নিত ক্যাডার এবং তালিকাভুক্ত জেএমবি’র সদস্য। তারাই সংঘবদ্ধ হয়ে এলাকায় মানিক হোসেনের জনপ্রিয়তা এবং সাধারন মানুষের জনসমর্থন দেখে ইর্ষন্বিত হয়ে কিছু হাইব্রীড দলীয় নেতাদের ইন্ধনে মানিক হোসেনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির সাজানো অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই সমস্ত ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে রয়েছেন ঝিকরা এলাকার চিহ্নিত জেএমবি ক্যাডার কলিমুদ্দিন সহ একই এলাকার আব্দুর রাজ্জাক ওরফে বাবুল, মোকছেদ আলী, আবুল কালাম, আবু সাইদ ও জেহের আলী সহ ৬/৭ জন তারা মানিক হোসেনের জনপ্রিয়তা ও ভোটের রাজনীতিতে টিকতে না পেরে ষড়যন্ত্র ও প্রতিহিংসার পথ বেছে নিয়েছে। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের গ্রামবাসীরা আরো বলেন, গত ইউপি ভোটে মানিক হোসেন বিপুল ভোটে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ওই সব প্রতিপক্ষ তার বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র শুরু করে। এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে তার বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ দায়ের করে। পরবর্তীতে এসব অভিযোগ তদন্ত করে প্রশাসন কোন কিছুই পায়না। প্রশাসন মানিক হোসেনর পক্ষেই রায় প্রদান করে এবং আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয়। এভাবে তিনি প্রশাসনের নির্দেশ ও পরামর্শ মত দায়িত্ব পালন করায় বর্তমানে ঝিকরা এলাকায় অতিতের যে কোন সময়ের চেয়ে শান্ত পরিবেশ বিরাজমান রয়েছে। এখানে এখন আর পূর্বের মত মামলা মোকদ্দমা ও মারামারি নেই । আর এসব কারণে স্বার্থন্বেষী ওই মহলের দালালীর মাধ্যমে অর্ধ বানিজ্য এবং ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সকল পথ বন্ধ হয়ে যায়। আর এতে করেই তারা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। এলাকার শত শত জনতা তার পাশে রয়েছেন। তারাই গ্রামের সার্বিক ঘটনার সাক্ষী। সকল মিডিয়া কর্মীদের প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধান পূর্বক সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য উপস্থাপনের জন্য গ্রামবাসীরা অনুরোধ জানান। এ সময় অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঝিকরা ইউপি সদস্য আবুল কাসেম, খোদা বক্্র সহ ঝিকরা এলাকার সেনা বাহিনীর (অব) সার্জেন্ট জোনাব আলী, শিক্ষক বেলাল উদ্দিন, আব্দুল হালিম, সমাজ সেবক আনিছার আলী, জাফর আলী, সাইদুর রহমান, আবু বাক্কার, আঃ আজিজ, খলিলুর রহমান, মঞ্জুর রহমান মুনতাজ আলী সহ শতাধিক জনতা উপস্থিত ছিলেন।