বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

বাগমারায় হাইকোটের আদেশ অমান্য করে অবৈধভাবে পুকুর খনন

SONALISOMOY.COM
অক্টোবর ২৫, ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর বাগমারায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তিন ফসলি কৃষি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন করা হচ্ছে। উর্বর ফসলি জমিতে পুকুর খনন করায় খাদ্যশস্য উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। এসব পুকুর খননে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দিন-রাত চলছে খনন কার্যক্রম।

গত ২৪ ই অক্টোবর স্থানীয় অনলাইন ও দৈনিক পত্র-পত্রিকায় বাগমারায় অবৈধভাবে পুকুর খনন সংক্রান্ত নিউজ প্রকাশিত হয়।

এরপর পুকুর খননের বিষয়টি এলাকাবাসি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালে, তিনি পরিদর্শনে তার প্রতিনিধি পাঠান। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে তিনি কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেন নাই ।নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যাক্তি বলেন, সরকারি রাস্তার জমিতে পুকুর খননের ব্যাপারে বাগমারা থানার ওসি নাসিম আহম্মেদ কে মৌখিক অভিযোগ করা হলে, তিনি এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গোয়ালকান্দি ইউপির আরঙ্গবাদ গ্রামে তাহেরপুর-ভবানীগঞ্জ সড়কের পাশে ১৫ বিঘা একটি পুকুরের আয়তন বাড়ানোর উদ্দেশ্যে রাস্তার পাশ ঘেঁষে চলছে পুকুর খননের কাজ।

এদিকে পুকুর খননের বিষয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায নিউজ প্রকাশিত হওয়ায় পকুরটি খননের গতি বাড়িয়ে দিন-রাত্রি খনন কাজ চলছে। পকুরটি খনন করছেন এলাকার প্রভাবশালী এক নেতার আত্মীয় রামরামা গ্রামের সামাদ সরকারের ছেলে লতিব সরকার, আরঙ্গবাদের সূজন আলী ও ফজলুর রহমান। তারা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকাবাসী তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না।

একাধিক এক্সকেভেটরের মাধ্যমে দিন-রাত্রি চলছে এই পুকুর খননের কাজ।

সুপ্রিম কোটের আইনজীবী জালাল উদ্দিন উজ্জল বলেন, ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধে হাইকোর্টে একটি রিটের প্রেক্ষিতে বাগমারায় সকল প্রকার পুকুর খননে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। এখন কেউ যদি পুকুর খনন করে সেটি হাইকোটের আদেশ অমান্য করা হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একজন বাসিন্দা জানান, লতিব, সূজন ও ফজলু এলাকাবাসীর আপত্তি শর্তেও এক প্রকার জোর করে অন্যের জমিতে পুকুর খনন করছেন। একই সঙ্গে রাস্তার পাশে সরকারি জায়গা দখল করেও তারা খনন করছেন পুকুর। এতে প্রায় ৩০০ মিটার রাস্তায় ভাংঙ্গনের ঝুকি রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিউল ইসলামকে জানিয়ে কোন লাভ হয়নি বলে জানান এলাকাবাসী।