মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

বাগমারায় স্বপরিবারে গণসংযোগে এমপি এনামুল, এলাকাছাড়া আবু হেনা

SONALISOMOY.COM
ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮
news-image

বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারা আসনে ফাঁকা মাঠে গণসংযোগ করে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি সহ তার পত্নী তহুরা হক, মেয়ে তান্নি, ছেলে তাসদীদ। এদিকে গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে এলাকা চাড়া আবু হেনা। সপ্তাহ পর মঙ্গলবার বাগমারায় আসলেও সন্ধ্যার আগেই আবারও চলে যান রাজশাহীতে।

উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নে আবু হেনা গণসংযোগে গেলে চেঁউখালি এলাকায় ভোটারদের ঝাড়– মিছিল ও তোপের মুখে পড়েন তিনি। আবু হেনার আসার পর পরই রাস্তা অবরোধ করে তার বিরুদ্ধে জেএমবি সর্বাহারার মদদ দাতা বলে শ্লোগান দিতে থাকে নারীরা। সে সময় তাঁকে এলাকায় অবাঞ্চিত করে ঝাড়ু মিছিল করেছে দুই শতাধিক নারী ও পুরুষ।

অপরদিকে নির্বাচনী এলাকায় স্বপরিবারে গণসংযোগ, পথসভা আর উঠান বৈঠক করে ব্যস্ত সময় পার করেছেন তৃতীয় বারের মতো নৌকার প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। এরই মধ্যে শেষ করেছেন উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়ন আর ২টি পৌরসভায় গণসংযোগের কাজ। ভোটারদের সাথে সব সময় রেখেছেন নিবিড় সম্পর্ক।

১৪ বছর ধরে এলাকায় আসেনি আবু হেনা। এখন আবার ভোট চাইতে এসেছেন। এক পর্যায়ে আবু হেনা সেখান থেকে ফিরে যান। সেই থেকে ভোটের মাঠের প্রচারণা থেকে ছিটকে পড়েন, সেই থেকেই এলাকা ছাড়া আবু হেনা। রাজশাহীর একটি হোটেল থেকে চালাচ্ছেন বাগমারা আসনের প্রচারণা। প্রার্থীর এমন আসা যাওয়ায় তার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে ভোটাররা।

তৎকালীন সময়ে আবু হেনা রাজশাহীর মোহনপুর এবং বাগমারা নিয়ে গঠিত আসনে দুই বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর সময়ে বিশেষ করে বাগমারা উপজেলা হয়ে উঠে আতঙ্কের জনপদ। ঘুম থেকে উঠার আগেই মানুষকে কানে আসতো বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির হত্যার কথা। জীবনের ভয় নিয়ে চলাচল করতে হতো লোকজনকে।

আবু হেনা এলাকার উন্নয়ন না করে নিজের পরিবর্তন নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন সব সময়। রাজধানীর কনকর্ড টাওয়ারে বসে পরিচালনা করতেন নির্বাচনী এলাকা।

এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, প্রায় দেড় দশক পরে নিজের এলাকায় গিয়ে গ্রামের মোড় টাকেও চিনতে পারছেন না তিনি। স্থানীয়দের কথা বাগমারায় আ’লীগ সরকারের আমলে যে উন্নয়ন হয়েছে তাতে না চেনারই কথা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে মন্তব্য করেছেন, যার হাতে উপজেলাবাসী নিরাপদ না তাকে ভোট দিয়ে লাভ কি। যার হাতে আমরা নিরাপদ তাকেই নির্বাচিত করবো।