বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

দুই যুবলীগ নেতা হত্যা: সাবেক এমপি রানার জামিন স্থগিত

SONALISOMOY.COM
জুলাই ১, ২০১৯
news-image

সোনালী সময় প্রতিবেদক: টাঙ্গাইল-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ স্থগিত করে চেম্বার জজ আদালতের দেয়া স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে, নিয়মিত আপিল আবেদন (সিপি ফাইল) করার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

রাষ্ট্রপক্ষের আপিল আবেদন শুনানি নিয়ে সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে ৮ জুলাই। সেই সময় পর্যন্ত জামিন স্থগিত থাকবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ ও কাজী মো. মাহমুদুল করিম রতন।

অন্যদিকে, আমানুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট রুশো মোস্তাফা।

গত ২০ জুন আজ (১ জুলাই) পর্যন্ত আমানুর রহমান খান রানার জামিন স্থগিত করে আদেশ দেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। এর আগের দিন ১৯ জুন বহুল আলোচিত যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় রানার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট।

দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় রানাকে ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়ে গত ৬ মার্চ রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই জামিন স্থগিত করে হাইকোর্টকে রুল নিষ্পত্তি করার জন্য নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ওই রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার (১৯ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে। ওই মামলায় গ্রেফতার হওয়া শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন ও হিরণ মিয়া হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে তারা সাংসদ আমানুরের দিকনির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেন। আমানুর রহমান খান রানা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলারও আসামি।