মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

বাগমারায় স্বামীকে ফাঁসাতে স্ত্রীর মামলা

SONALISOMOY.COM
জুলাই ৯, ২০১৯
news-image

বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারায় স্বামীকে ফাঁসাতে ১৫ বছর পর স্ত্রীর যৌতুক সহ নারী নির্যাতন মামলা।

স্ত্রীর করা মামলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে স্বামী হেলাল উদ্দীন। জানাগেছে, উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের বইকুরী গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে হেলাল উদ্দীন ২০০৫ সালে একই উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের মেয়ে আফরোজাকে ইসলামী সরিয়া মোতাবেক বিয়ে করে।

বিয়ের পর থেকে অনেক সুখেই কাটতে থাকে দাম্পত্য জীবন। বর্তমানে তাদের সংসারে রয়েছে সাড়ে এগারো বছরের মেয়ে সুমাইয়া এবং ৪ বছর বয়সী ছেলে আরাফাত সানি। বিয়ের দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হলেও সংসারে কোন রকম ঝগড়া বিবাদ ছিলো না।

মামলা সূত্রে জানাগেছে, স্বামী হেলাল উদ্দীন প্রায় আফরোজাকে নির্যাতন করে। যৌতুকের টাকা আনার জন্য মারপিট করে প্রতিনিয়ত। সেই টাকা না দেয়ায় তাকে মারপিট করতে করতে গুরুতর আহত করে বলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা দায়ের করে। যৌতুক সহ নারী নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করায় স্বামী হেলাল উদ্দীন ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

হেলাল উদ্দীন জানান, তার বড় কুটুম (বউএর বড় ভাই) মেয়ের বিয়ে দিবে বলে এবং ছোট শালা মুরগীর খামার করার জন্য টাকা ধার নেয়। প্রায় ছয় মাস হতে গেলেও সেই ধারকৃত টাকা ফেরত দেবার কোন কথা নেই। দিবো দিচ্ছি বলে টালবাহানা করে। সেই পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে স্ত্রীর সাথে গত ২৮ জুন হেলালের বাড়িতে কথা কাটাকাটি বাধে হেলালের। সেই টাকা আনতে বাপের বাড়ি গেলে আফরোজা। টাকা না দিয়ে আফরোজাকে দিয়ে তার ভাইয়েরা মিলে গত ৪ জুলাই রাজশাহীর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২নং আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সং/০৩) এর ১১ (গ) ধারা স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

হেলাল উদ্দীন আরও বলেন, আমি একজন খড় ব্যবসায়ী। আমার শশুরের সাংসারিক অবস্থা তেমন ভালো না। সারা বছরই আমার নিকট থেকে টাকা পয়সা ধার নিয়ে সংসারের অভাব নিবারণ করে থাকে। আর বিয়ের সময় কোন প্রকার লেনদেন ছাড়াই আফরোজাকে বিয়ে করি। বর্তমানে আমাদের সংসারে দুটি সন্তান আছে। আমাদের সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করার লক্ষ্যে বউকে দিয়ে যৌতুক সহ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করে।