শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সিঁদূরের আকাশে জ্বলবে একঝাঁক তারা

SONALISOMOY.COM
আগস্ট ২৩, ২০১৯
news-image

সোনালী সময় প্রতিবেদক : প্রস্তুত টীম সিঁদূর। আগামীকাল ২৪ আগস্ট ডিএসএস কনভেনশন সেন্টারে বসবে ৩য় বারের মত মিলনমেলা। আয়োজন করা হয়েছে ‘গেট টু গেদার’-এর। বিষয়টি ‘সোনালী সময়’-কে নিশ্চিত করেছেন সিঁদুর এর সিইও আফসানা মীর শিথী।

তিনি বলেন, বরাবরের মতই এবারও নারী উদ্যোক্তাদের প্রাধান্য দেয়া হবে। থাকবে ওয়েলকাম গিফটস, বুফে কাচ্চি, গেইমস শো, সাংস্কৃতিক অনুষ্টান, অ্যাক্টিভ মেম্বার দের জন্য আলাদা গিফট, স্পন্সর দের স্পিচ, র‍্যাফেল ড্র, ডিজেসহ আরো অনেককিছু।

মিডিয়া পার্টনার : স্বদেশ টিভি ও পিপলস্ রেডিও।

এক নজরে সিঁদূরের ৩য় ‘গেট টু গেদার’-এর সঙ্গীরা

আফসানা মীর শিথী। সিঁদূর সিইও।
বহু গুনে গুনান্নিত। টাংগাইলকন্যার বেড়ে ওঠা ঢাকার মিরপুরে। শহীদ আনোয়ার স্কুল থেকে যাত্রা শুরু সেরা হওয়ার। জগন্নাথ থেকে শিথীর বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়রথ। তার ভাবনায় থাকে আগামী প্রজন্ম। আজকের বাংলাদেশ থেকেই আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে পরিকল্পনা সাজিয়েছেন এই নারী আইডল।
শিথী ম্যাজিকে এখন অনেক হেটার্সই পিছু পা নিয়েছে। মিরপুর অরজিনাল-১০ একটি শো-রুম দিয়ে সফলতার স্মৃতিস্তম্ভ তৈরী করেছেন এই সিইও। এই শিথী একটা সময় হাল ধরেছেন নিজ পরিবারের। পাশে দাড়িয়েছিলেন বাবার। ছিল মডেল হওয়ার প্রস্তাব। আছে বিয়ের চাপও! কোন কিছুই দাবিয়ে রাখতে পারেনি স্বপ্নকন্যাকে।

আইরিন। টিজে শপ বিডি এর সিইও। এবার সিঁদূরের প্লাটিনাম স্পন্সর।
হাতের কাজ প্রিয় আইরিন। সঙ্গী বয়ফ্রেন্ড। এগিয়ে চলার প্রত্যয়। শুরুটা ২০১৪ সালে হঠাৎ শখেই! শুরু নতুন যুদ্ধ। ব্যাবসার মুলধন ছিল মাত্র ৩০০০টাকা। বেশ গবেষণা করে খুব ধীরে ব্যবসা করছেন। পেজ ডিসেবল তাকে থামাতে পারেনি বিজয়ীর মালা পড়া থেকে। সরল সোজা আইরিন শক্ত হয়ে উদ্যোক্তা হওয়ায় নজর রাখেন। ইচ্ছা আছে হার্বালের খুব ভালো একটা ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি পাবার।

নাজিয়া। মিরর এর সিইও। এবার সিঁদূরের প্লাটিনাম স্পন্সর।
ফ্যাশন সচেতন নাজিয়া মিরর পেজের জন্মদাত্রী। স্বামীর সর্মথন নিয়ে কচ্ছপ গতিতে এগিয়ে এসে দাড়িয়েছেন সফল নারীর তালিকায়। মিরপুর অরজিনাল-১০ এর শো-রুম দিয়ে ছুঁয়েছেন আরও একটি মাইলফলক। শুরুটা ২০১৪ সালের মার্চ মাস। প্রডাক্ট ক্রেতার পছন্দ না হলে পরিবর্তন করে দিয়ে মানবিকতার স্বাক্ষরও রেখেছেন এই সিইও।
চেষ্টা-শ্রম-ক্রেতার প্রতি সততা আর সবার সাহায্য নিয়েই স্মরণীয় হতে চান নাজিয়া।

মেহের জান। দ্য লাইফ স্টাইল এর সিইও। এবার সিঁদূরের প্লাটিনাম স্পন্সর।
২০১৮ তে যাত্রা শুরু। দ্য লাইফ স্টাইল একটি স্কিন কেয়ার সেবা প্রতিষ্ঠান। যেখানে মেয়েদের স্কিনের যে কোন পন্য এবং ওজন কমানোর সামগ্রী রয়েছে। মহিলাদের জন্য স্কিন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সকল পন্য অনলাইনের মাধ্যমে হোম ডেলিভারি দিয়ে থাকেন মেহের জান।
এই সিইওর স্বপ্ন ‘দ্য লাইফ স্টাইল’-কে স্কিন কেয়ার জোন হিসেবে গড়ে তোলা। কম মূল্যে মেয়েদের প্রয়োজনীয় স্কিনের সকল পন্য ও সেবাই মূল উদ্দেশ্য।

রেজওয়ানা নাজনীন। রেজ জুয়েলারী এর সিইও। এবার সিঁদূরের গোল্ড স্পন্সর।
বাবা মা এর একমাত্র মেয়ে। উচ্চশিক্ষার জন্য সুদূর অস্ট্রেলিয়ায়। আছে মাকে শেষবারের মতো দেখতে না পারার কষ্ট। তবুও বাবার ভালোবাসার টানে দেশে রেজ জুয়েলারী এর সিইও।
চাকরির বিপক্ষে রেজওয়ানা চায় মেধা, শিক্ষা, অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে। টার্গেট নিজস্ব স্বকীয়তা। কাস্টমার সার্ভিস আর ক্রেতাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ। নায়িকা দিয়ে প্রচার নয় নিজের উপরই বিশ্বাস করতে পছন্দ করেন এই স্বপ্নকন্যা।

জয় মহুয়া। মৌমাছি শপিং জোন এর সিইও। এবার সিঁদূরের গোল্ড স্পন্সর।
২০১৭ সালে অনলাইন মাধ্যমে নিজের বিজনেস শুরু করা রমণী এখন একটা শো রুম দিয়েছে মানিকগঞ্জে। তার ভাবনায় কমদামে ভাল মানের জিনিস সকলের মাঝে তুলে ধরা।
জয় মহুয়ার শো-রুমের ১০শতাংশ লাভ অসহায় মানুষের সাহায্যে ব্যয় করা হয়। বন্যা কবলিত মানুষের পাশেও দাঁড়ায় মৌমাছি শপিং জোন। সম্প্রতি বন্যায় কবলিত প্রায় ৮০পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে চেষ্টা করেছে তার প্রতিষ্ঠান।
মৌমাছি নিয়ে অনেক দূর যাওয়ার ইচ্ছে মহুয়ার। টার্গেট আউটলেট বাড়ানোসহ আরও ইউনিক কালেকশন রাখা।

ফাতেমা তুজ যোহরা রশিদ। টুশি কালেকশন এর সিইও। এবার সিঁদূরের গোল্ড স্পন্সর।
২০১৬ সালে শখের যাত্রা। প্রথমে হিজাব পিন আর কসমেটিক আইটেম দিয়ে শুরু করলেও পড়ে ক্র্যাফটিং এর উপর ভালবাসা থেকে হ্যান্ড ক্র্যাফটিং-এ ডিজাইন করা জুয়েলারি নিয়ে কাজ শুরু করেন ফাতেমা তুজ যোহরা রশিদ।
টুশি কালেকশন এর চেষ্টা ইউনিক ডিজাইন এর জুয়েলারি রিজনেবল প্রাইজে সবার কাছে পৌঁছে দেয়া।
টুশি কালেকশনকে ইউনিক ডিজাইন ও জুয়েলারী কালেকশন’র বেস্ট উদাহরণ করতে ভবিষ্যতে আরও ইউনিক কালেকশন রাখতে চান ফাতেমা।

ফাহিমা আক্তার লিনা। থার্টি ওয়ান শেডস্ এর সিইও। এবার সিঁদূরের গোল্ড স্পন্সর।
২০১৬ সালের ৮ অক্টোবর তার পথচলা শুরু। বিভিন্ন ধরনের দেশি- বিদেশি জুয়েলারি, টি শার্ট, থ্রী-পিস, শাড়ি, হ্যান্ড ম্যাডে জুয়েলারির সমাগম থার্টি ওয়ান শেডস্ । ফাহিমা আক্তার লিনার টার্গেট রিজনেবেল প্রাইসে ভাল মানের অলংকার ক্রেতার হাতে তুলে দেয়া। শিক্ষার্থীদের জন্য বেশী মন কাঁদে তার। চেষ্টা থাকে তাদের সাধ্যের মধ্যে সুন্দর কিছু উপহার দেয়ার। আছে ভিন্নতা রাখার চেষ্টাও। মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ঠিকভাবে ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর তিনি।

শাহ আওরঙ্গজেবা নূর বিদৌরা। কোহ-ই-নূর ওম্যান্স জোন এর সিইও। এবার সিঁদূরের গোল্ড স্পন্সর।
২০১৭ তে যাত্রা শুরু। লক্ষ্য বহুদূর। টার্গেট নারী অঙ্গনে নিজেকে মেলে ধরা। কোহ-ই-নূর ওম্যান্স জোন এর সিইও এগিয়ে চলছেন সকলের ভালোবাসায়। সব ধরনের বাজেট ফ্রেন্ডলি থেকে এক্সক্লুসিভ শাড়ির সমাহার রেখেছেন তার নিয়ন্ত্রণে। ক্রেতাদের খুশীটাই নিজের খুশী মনে করে দাড়িয়েছেন সফলতার কাতারে বিদৌরা।

তানিশা আলম তানিয়া। এ টু জেট কালেকশন এর সিইও। এবার সিঁদূরের সিলভার স্পন্সর।
যাত্রা শুরু সিঁদূরের হাত ধরেই ২০১৭ সালে। মাঝে জটিলতার ব্রেক। ফের স্বপ্ন সারথি তানিশা। ভরসা রাখছেন সিঁদূরেই। তার ভাবনায় নিজের সেরাটা দিয়ে আগামীতে সফলতার সারিতে দাড়ানো।

রওজাতুল জান্নাত। লা বেলা ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড এর সিইও। এবার সিঁদূরের ব্রোঞ্জ স্পন্সর।
২০১৭ সালের উদ্যোগ অফিসিয়ালি অগ্রগতি ছিলনা। চলতি বছর জুলাই মাসে ফের লা বেলা ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড’র যাত্রা শুরু।
রওজাতুল জান্নাতের টার্গেট সৌন্দর্য আর আভিজাত্য। তিনি বিশ্বাস করেন সৌন্দর্য আর আভিজাত্য কোন দেশ-জাতীয়তায় সীমাবদ্ধ নয়। আভিজাত্যের সাথে আপোষ না করার পন করেছেন লা বেলা ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড’র সিইও। তাই ‘সাশ্রয়ী’ কথাটায় মোটেও বিশ্বাসী না তিনি। বরং টাকার মূল্যতে বিশ্বাস করতে পছন্দ তার।
এই তরুনীর স্বপ্ন, কোন গ্রাহক লা বেলা নিয়ে কখনো যেন অভিযোগ করতে না পারেন। বেশি পোষাক প্রস্তুতকারকদের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটিয়ে যারা খাঁটি কাজ করেন তাদের কাজটা আরো বেশি সংখ্যক সৌন্দর্যপিপাসু মানুষের কাছ পৌছে দেয়াটাই তার মূল লক্ষ্য।

ববি পারভীন। পিপীলিকার হাট এর সিইও। এবার সিঁদূরের ব্রোঞ্জ স্পন্সর।
২০১৭ সালে শখে পেজ খোলা হলেও অফিসিয়ালি যাত্রা শুরু হয় চলতি বছরের আগষ্ট মাসে (কোরবানী ঈদ এর পর)। পিপীলিকার হাটের সব প্রোডাক্টই ‘হ্যান্ড পেইন্ট’ করা। আপনি যে ধরনের প্রোডাক্টই ক্রয় করেন না কেন তাতে রঙ তুলির হালকা ছোয়া থাকবেই।
তার স্বপ্ন গুটি পায়ে চলতে চলতে একদিন সারাদেশে পিপীলিকার হাটের জয়জয়কার থাকবে। আরোও ইউনিক কালেকশন নিয়ে পরিকল্পনা করছেন এই সিইও।

ইশরাত জাহান। ম্যাক্স বাজার এর সিইও। এবার সিঁদূরের ব্রোঞ্জ স্পন্সর।
২০১৯ এর ১৩ই জানুয়ারি যাত্রা শুরু। পরিকল্পনাও অনেক। টার্গেট মানুষের সেবা। চেষ্টা কম দামে ভালো প্রোডাক্ট দেওয়ার। অলংকার, মেকআপ আইটেম সেলার। প্রোডাক্টগুলো মধ্যবিত্তদের সাধ্যের মধ্যে রাথতে চষ্টো করেন ইশরাত। বিশ্বাস অর্জন করে নতুন পথে বিশ্বাস অর্জন করেই এগিয়ে যেতে চান আগামীর পথে।

রাফিজা নীলা। ম্যাজিক হেয়ার টনিক এর সিইও। এবার সিঁদূরের ব্রোঞ্জ স্পন্সর।
২৪ আগষ্ট অফিসিয়াললি যাত্রা শুরু করবে সিঁদুরের হাতে ধরে। চুলের সঠিক যত্নের জন্যই তৈরি রাফিজা নীলার ম্যাজিক হেয়ার টনিক। ক্যামিকেল যুক্ত হেয়ার প্রসাধনীর ভিড়ে সমস্ত ভেষজ উপাদানে তৈরি তার হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট।
এই সিইওর ভাবনায় সব ধরেন চুলের সমস্যার সমাধান করা। প্রোডাক্ট ব্যবহারে যেন সবাই উপকৃত হোন। এই আশা তার।

তানজিয়া মেধা ও এস আর সাদ্দাম। বহ্নি এর সিইও। এবার সিঁদূরের ব্রোঞ্চ স্পন্সর।
২০১৯ এর ২৫ জানুয়ারী যাত্রা শুরু। নিজের পায়ে দাড়ানোর প্রচেষ্টা থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার পরিকল্পনা। পেজের নামের মতই জ্বলে উঠতে মরিয়া এই সিইও। তানজিয়া মেধার স্বপ্ন দেখেন আরও ভালো কিছু করে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেয়ার। ক্ষুদ্র পথচলায় হতাশ হতে ইচ্ছুক না বহ্নি এর সিইও।

জান্নাতুল তাজরি মাঈশা । অ্যারাবিয়ানা এর সিইও। এবার সিঁদূরের ব্রোঞ্জ স্পন্সর।
২০১৯সালে শুরু হয় অজানা গন্তব্যের পথচলা। হারবাল স্কিন এন্ড হেয়ার প্রডাক্ট দিয়ে শুরু করলেও জান্নাতুল তাজরি মাঈশার ইচ্ছা আছে আগামীতে ইউনিক কালেকশন নিয়ে আসা।
আল্লাহর রহমত নিয়ে সৎভাবে চলতে চলতে একদিন অ্যারাবিয়ানাকে ব্র্যান্ডে পরিনত করার স্বপ্ন দেখছেন এই সিইও। ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে ক্রেতাদের সাধ্য অনুযায়ী কালেকশন রাখার পরিকল্পনাও রয়েছে তার।

মিথিলা সরকার। গিরিশা ক্লোথিং এর সিইও। এবার সিঁদূরের ব্রোঞ্জ স্পন্সর।
২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮ তে পথচলার শুরু। কিছুটা শখ আর ক্ষণিক কৌতূহল চিন্তার জগতে তাড়া দেয় উদ্যোক্তা হওয়ার। স্বপ্নও দেখে মিথিলার মন। তিনি বিশ্বাস করেন, কোনো সৃজনশীল বিষয়ে নেশা থাকলে সেটাকে পেশা বানাতে হয়।
উদ্যোক্তা হিসেবে এই সিইওর চেষ্টা হোম ডেলিভারীর পণ্যগুলো দেখে নেয়ার সুবিধা ও ফ্লেক্সিবল রিটার্ন পলিসি রাখা। বৃহৎ পরিসরে এগিয়ে আসতে সর্বদা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। গিরিশা ক্লোথিং এর সিইও।

সামিয়া প্রেয়ন্তি মধু। জাহার এর সিইও। এবার সিঁদূরের ব্রোঞ্জ স্পন্সর।
২০১৬’র জানুয়ারীতে বীজবুনে আগস্টে কার্যক্রম শুরু । সামিয়া প্রেয়ন্তি মধুর জাহার দুইভাবে কাজ করে যাচ্ছে, প্রথমত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। দ্বিতীয়ত ওয়ার্কসপ। এছাড়াও মেয়েদের স্বাবলম্বী করার প্রত্যয়ে ব্লক, বাটিক ও টেইলরিং কাজ শেখানো হয়।
জাহারকে লেডিস জোন হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছেন এই সিইও। আগ্রহীদের পাশাপাশি দুস্থ ও অসহায় নারীদেরকে স্বাবলম্বী করার প্রত্যয়ে কাজ করে যেতে চান সামিয়া।

আরাফাত এন্ড তুলি। ওভারটেক এর সিইও। এবার সিঁদূরের ব্রোঞ্জ স্পন্সর।
২০১৫ থেকে কাজ শুরু ‘১৭ থেকে সেবায় নিয়োজিত। ছেলেদের মেয়েদের সকলের জন্য আনকমন ও ইউনিক প্রোডাক্ট পাবেন ওভারটেকে। মূল উদ্দেশ্য ক্রেতার চাহিদা পূরণ।
আরাফাত এন্ড তুলির বিশ্বাস আর আস্থা ভবিষ্যতে ওভারটেক সবাইকে টপকে এগিয়ে যাবে।

শাইরা আইদাহ্ ও আফসানা ইয়াসমিন। স্পন্দন এর সিইও। এবার সিঁদূরের ব্রোঞ্জ স্পন্সর।
২০১৭ এর ১৩মার্চ যাত্রা শুরু। মাঝে নানা জটিলতায় বন্ধ ছিল। চলতি বছরের জুলাই মাসে আবার নতুন করে কাজ শুরু স্পন্দন এর । বর্তমানে রেডিমেট ওয়ান পিস, গাউন, টপ্স, লেডিস শার্টও পাওয়া যাচ্ছে। নিজস্ব ডিজাইনের থ্রি-পিস ও ব্লক-বাটিকের শাড়ি আনছে শাইরা আইদাহ্।
স্পন্দনকে পরিপূর্ণরুপে দেখতে চান এই সিইও। সব ধরনের প্রডাক্টের সাথে কসমেটিকস নিয়ে কাজ শুরু করে শো-রুম নিয়ে ভাববেন তিনি।

জেনিস তানিয়া। আলিয়া’স কালেকশন এর সিইও। এবার সিঁদূরের ব্রোঞ্জ স্পন্সর।
স্বপ্ন জয়ের গল্পটা শুরু মফস্বলে। পরিবারের স্বার্থে নিজেকে গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েও বুটিক্স এর প্রতি ভালোবাসাটা হারায়নি। সেপ্টেম্বর ‘১৬তে গর্ভধারিনী মা হারান তিনি। শোককে শক্তিতে রুপান্তর করে নিজের কিছু করার চেষ্টায় শ্রম দিয়েছেন অচেনা অজানা এক ভবিষ্যতে যাত্রায়। ভাগ্যবান স্বামী পেয়ে পথটাকে আরো সুন্দর হয় জেনিস তানিয়ার। আগামী ভাবতে পছন্দ না করে বর্তমানকে প্রাধান্য দিয়েই পথ চলছেন এক সন্তানের জননী ও আলিয়া’স কালেকশন এর সিইও।

সৈয়দা রুমানা ইসলাম লাবনী। অলিভিয়া অনলাইন শপ এর সিইও। এবার সিঁদূরের ব্রোঞ্জ স্পন্সর।
২০১৮ সাল থেকে স্বপ্নের পথে যাত্রা শুরু হলেও পুরোদমে আসতে চাচ্ছেন সেপ্টেম্বর থেকে। মূলত অলিভিয়া অনলাইন শপ-এ শাড়ি টার্গেট। তবে সৈয়দা রুমানা ইসলাম লাবনীর ইচ্ছে আছে ভবিষ্যতে শুধু শাড়ি নিয়ে নয়, সাথে থাকবে আরও অনেক কিছু।

কালইয়ানী দেবনাথ। বিয়ে বাজার এর সিইও। এবার সিঁদূরের ইভেন্ট স্পন্সর।
২০১৪ সালে যাত্রা শুরু ওয়েডিং ইন্ড্রাষ্টির। টার্গেট নতুন আরো কনসেপ্ট দিয়ে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। অপরদিকে বিবি ব্রাইডাল মেকওভার স্টুডিও এন্ড সেলুনকেও দেখতে চান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।

এঞ্জেল প্রভা। প্রভা’স মেকওভার এন্ড বিউটি পার্লার এর সিইও। এবার সিঁদূরের মেকওভার স্পন্সর।
বহুগুণে গুনান্নিত এই রমণী নিজেকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। ফ্যাশনেবল রমণীদের আস্থার প্রতীক হয়ে মেকওভারে তার সুনাম ছড়াচ্ছে বিদ্যুত গতিতে। সমগ্র বাংলাদেশেই হোম সার্ভিসের সুবিধা দিচ্ছেন তিনি। নিউ ভার্সন ‘হিজাবীকন্যা’ হিসেবে তিনি বেশ পরিচিতি পেয়েছে। সমগ্র বাংলাদেশপ্রভা’স মেকওভার এন্ড বিউটি পার্লার থেকে ফ্রী রূপচর্চার সুযোগ পাচ্ছে অসহায়-হতদরিদ্র পরিবারের রমণীরা। ইতিমধ্যে মানুষের হৃদয়ে শক্ত স্থান করে নিয়েছেন এই রমণী। একাধিক পরিচয় অর্জন করলেও একমাত্র সন্তান মাঞ্জারের মা হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করেন এঞ্জেল প্রভা।

তাসনিম সুলতানা নওশিন। TSN’s Henna এর সিইও। এবার সিঁদূরের মেহেদি স্পন্সর।
২০১৯ এর জুন মাসে যাত্রা শুরু হয় TSN’s Henna এর। মেহেদি নাইট, ব্রাইডাল কিংবা যেকোন উপলক্ষে মেহেদি দিয়ে দেয়া হয়। রয়েছে হোম সার্ভিস সুবিধাও । তাসনিম সুলতানা নওশিনের লক্ষ্য সকলের জন্য বেস্ট সার্ভিস নিশ্চিত করা। মেহেদি আর্ট এর উপর ভিত্তি করে আরো কিছু দিকে প্রসার ঘটানোর পরিকল্পনা রয়েছে তার। মেহেদি ডিজাইনের মাধ্যমে কেবল হাত রাঙানোই নয়, এই ডিজাইন অন্যান্য ক্ষেত্রেও প্রয়োগের মাধ্যমে সকলকে সেবা দিতে চান এই TSN’s Henna এর সিইও।

ইসরাত জাহান একা। অনুপমা এর সিইও। এবার সিঁদূরের মেহেদী স্পন্সর।
পড়াশুনার পাশাপাশি ব্যবসা। সময়ের অভাবে হয়নি নিয়মিত হওয়া। তবুও থেমে নেই পথচলা। ভালো প্রোডাক্ট দিয়ে যেকোনো ধরনের পার্লারের সার্ভিস দেয়ার চেষ্টা তার। অনুপমা’কে পরিপূর্ণরুপে দেখতে চান একা। আগামীতে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে বড় পরিসরে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে তার।

সালমা আক্তার সুপ্তি। টাচ আপ বাই সুপ্তি এর সিইও। এবার সিঁদূরের মেকওভার স্পন্সর।
২০১৮ সালে ২রা জুন টাচ আপ বাই সুপ্তির পথচলা শুরু। ফ্রিলান্সার মেকআপ আর্টিস্ট। ঢাকার ভিতরে ফ্রী হোম সার্ভিস সুবিধাও দিচ্ছে এই সিইও। নিজের কাজ আর প্রতিভা দিয়ে ক্লাইন্টের সেটিসফেকশন ধরে রাখাই মূল উদ্দেশ্য। একটা বড় মেকআপ স্টুডিও দেয়ার সপ্নে প্রতিনিয়ত মনছবি আঁকছে এই তরুণী।

মাবিয়া ওমি। বিউটি বক্স এর সিইও। এবার সিঁদূরের মেকওভার স্পন্সর।

ফাহমিদা আক্তার তৃষ্ণা। মেকওভার বাই তৃষ্ণা। এবার সিঁদূরের মেক-আপ স্পন্সর।
২০১৯ সালের প্রথম দিনেই যাত্রা শুরু করেছে মেকওভার বাই তৃষ্ণা। নিজের স্টুডিও খোলা, কসমেটোলজি নিয়ে দেশের বাহিরে পড়াশোনা করা, ভবিষ্যতে আন্তজার্তিক মানের কসমেটিক ব্রান্ড নিয়ে কাজ করার স্বপ্নে বিভোর তিনি।

শান্ত কাজী। এফআরএস প্রোডাকশন এর সিইও। এবার সিঁদূরের ডিজে স্পন্সর।
শান্ত কাজী। ডিজে শান্ত হিসেবেই পরিচিত। সঙ্গীতে পদার্পন ২০০৯ সালে। স্বপ্ন দেখেন বাংলা গানের সোনালী অতিত ফিরে আসার। এগিয়ে যেতে চান বিশ্ব দরবারে।

ইব্রাহীম রেজা। ক্রিয়েটিভ ফ্রেম এর সিইও। এবার সিঁদূরের ফটোগ্রাফি স্পন্সর।

কাজী সাজ্জাদ। মিরর হেভেন : এ মিরর উইথ মেমরী এর সিইও। এবার সিঁদূরের ফটোগ্রাফি স্পন্সর।

নাহিদ হাসান সোহেল। ওয়েডিং পেজ বাংলাদেশ (অফিসিয়াল) এর সিনিয়র ফটোগ্রাফার।

উম্মে হানি নাহিদ। কেক ওয়ার্ল্ড এর সিইও। এবার সিঁদূরের কেক স্পন্সর।

ইরিনা ইরা। টীম সিঁদূরের গর্বিত সদস্য।
সিঁদূর এর শুরু লগ্ন থেকেই ইরিনা ইরা সক্রীয় ভূমিকা পালন করেছেন। ইচ্ছে সর্বদাই টীম সিঁদূরের সঙ্গী হয়ে থাকা। ইডেনে অনার্স করছেন। রয়েছেন ৪র্থ বর্ষে। তার স্বপ্ন সফল রমণী হয়ে বিশ্বজয় করা।

নওরীন রিতু। টীম সিঁদূরের গর্বিত সদস্য।
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রিতু। পড়ছেন ২য় বর্ষে। ফুট লাভার এই রমণীর প্রিয় শখ ঘোরাফেরা ও ঘুম। মিস করেন না বন্ধুদের সাথে আড্ডাও! লেডি বাইকার হওয়ার শখ থাকলেও ব্যবসা করার ইচ্ছে নিয়ে স্বপ্ন বুনছেন।

নুসরাত জাহান ঝুমু। টীম সিঁদূরের গর্বিত সদস্য।
অনলাইনে শপিং করতে ভয় পাওয়া ঝুমুই এখন সিঁদুর পেইজের ফলোয়ার থেকে মডারেটর। পেইজের সাথে সবসময় থাকার ইচ্ছে এই রমণীর। টার্গেট ব্যাংকিং জব। একাউন্টিং নিয়ে বিবিএ করেছেন এবং এমবিএ করার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলছেন আগামীর পথে।

রুমানা মনিষা। সার্বিক তত্বাবধানে।
টিম সিঁদূরের আরেক গর্বিত সদস্য রুমানা মনিষা। আফসানা মীর শিথীর একমাত্র ছোটবোন। পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যবসায় নজর রাখছেন। লক্ষ্য প্রকাশে ভিষণ অনিহা তার। কাজের মাধ্যমেই প্রমাণ করতে চান নিজেকে।

মিশু শাহা। সার্বিক তত্বাবধানে।
টিম সিঁদূরের সদস্য না হলেও ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ বলা যেতেই পারে। টিম সিঁদুরের আজকের এই জয়জয়কারের পেছনে তার অনেক অবদান আছে। সুখে-দুঃখে পরামর্শে সর্বদাই যাকে পাশে পেয়েছে সিঁদূর টিম। তার ভাবনায় সারাক্ষণ ঘুরে বেড়ানোর পরিকল্পনা।

মারুফ পারভেজ। সার্বিক তত্বাবধানে।
টিম সিঁদূরের সবচেয়ে গর্বিত সদস্য মারুফ পারভেজ। একজন ক্রীড়াপ্রেমী। ভালোবাসতে খুব পছন্দ করেন। তার লক্ষ্য সঙ্গীনীর মুখের হাসি ধরে রাখা। নিজের বিষয়ে খুব একটা বলতে পছন্দ করেন না তিনি। তাকে কেউ বুঝে নিবে সে অপেক্ষায় মারুফ পারভেজ।