শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

একসঙ্গে দেড় লাখ পেঙ্গুইনের মৃত্যু

SONALISOMOY.COM
ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৬

Emperor-colonyকথায় আছে প্রকৃতির মার দুনিয়ার বাইর। প্রজাতি হিসেবে মানুষ নিজের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য প্রকৃতির উপর কর্তৃত্ব করে আসছে সেই সুপ্রাচীন কাল থেকেই। সময় যত সামনের দিকে আগাচ্ছে প্রকৃতির উপর মানুষের অত্যাচার বাড়ছে বই কমছে না। কিন্তু তাই বলে থেমে নেই প্রকৃতিও। মাঝে মধ্যে তাই নিজের হাতেই তুলে নেয় প্রতিশোধের অস্ত্র। তবে প্রকৃতির প্রতিশোধ যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তার নমুনা একসঙ্গে দেড় লাখ পেঙ্গুইনের মৃত্যু।

সম্প্রতি পূর্ব এন্টার্কটিকা মহাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশালকার আকৃতির এক চাই বরফখণ্ড আলাদা হয়ে যায় মূল বরফের চাই থেকে। আলাদা হয়ে যাওয়া বরফ খণ্ডটি রোম নগরীর সম আয়তনের প্রায়। সবচেয়ে বড় কথা, যে খণ্ডটি আলাদা হয়ে যায় সেই খণ্ডটিতেই ছিল প্রায় দেড় লক্ষাধিক অ্যাডিলে পেঙ্গুইনদের আবাসস্থল। এক হাজার একশ বিশ বর্গমাইলের ওই বরফ খণ্ডটিতে থাকা সকল পেঙ্গুইনই সাগরবক্ষে মারা যায়। গবেষকদের বক্তব্য অনুযায়ী, পেঙ্গুইনগুলো খাবারের সন্ধানেই মূলত তাদের আবাসস্থল ছেড়ে ৭০ মাইল দূরবর্তী স্থানে গিয়েছিল।

নিউ সাউথ ওয়েলসে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক গবেষণা সেন্টার থেকে বলা হয়, ২০১১ সালেও পূর্ব এন্টার্কটিকায় পেঙ্গুইন পাখির সংখ্যা যেখানে ছিল প্রায় এক লাখ ষাট হাজার, বর্তমানে সেই সংখ্যা দাড়িয়েছে মাত্র দশ হাজারে। প্রতিষ্ঠানটির মতে, আগামী বিশ বছরের মধ্যে যদি এরকম বরফের চাই বিচ্ছিন্ন হতে থাকে তাহলে খুব জলদিই পেঙ্গুইন পাখি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।peg

দীর্ঘদিন ধরেই গবেষকরা পূর্ব এন্টার্কটিকার বরফ গলে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। উন্নত বিশ্বের অধিক কার্বণ নিঃসরনের ফলে স্বাভাবিকের তুলনায় অধিক হারে বরফ গলে যাচ্ছে। আর এই বরফ গলে যাওয়ার কারণে স্বাভাবিক বরফের চাইয়ের ঘণত্ব কমে যাচ্ছে আগের তুলনায়। তাই গভীর সমুদ্রবক্ষে ভেসে থাকা বরফের চাইগুলো মাঝে মধ্যেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর আগেও এন্টার্কটিকায় বরফের চাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পেঙ্গুইন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল।