শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সাংগঠনিক অবস্থানে আওয়ামী লীগের মডেল বাগমারা

SONALISOMOY.COM
সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৭
news-image

রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেছেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের চিন্তা, চেতন ও আদর্শ লালন করতে না পারলে তার দ্বারা ভাল কাজ করা সম্ভব না। ভাল কাজ করতে চাইলে অন্তরে আগে মুজিব আদর্শ লালন করতে হবে। গণমাধ্যমে এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংসদ এনামুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ হতে হলে এবং নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হলে নিজেকে আগে ত্যাগি হতে হবে। দল ও দেশের জন্য কাজ করতে হবে। তবেই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসা যাবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের চিন্তা, চেতন ও আদর্শ লালন করে বাগমারার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। যা অব্যাহত থাকবে বলেন সাংসদ এনামুল।
বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ এনামুল হক বলেন, সংসদ সদস্য হয়ে জনসেবার পাশাপাশি বাগমারায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ভিত শক্ত করতেও তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বাগমারা আওয়ামী লীগ এখন অনেক শক্তিশালী। নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকলেও বাগমারার উন্নয়ন ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা শক্তিশালী করতে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী এক সঙ্গে কাজ করছেন। যা আগে কোনদিন ছিলনা। বাগমারার সাংগঠনিক অবস্থা আওয়ামী লীগের কাছে এখন মডেল বলেন সাংসদ এনামুল হক।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অনিল কুমার সরকার বলেন, ১৯৮৬ সালে সরদার আমজাদ হোসেন আওয়ামী লীগ ছাড়ার পর দলের সাংগঠনিক অবস্থা তছনছ হয়ে যায়। এর পর থেকে দীর্ঘ ২২ বছর বাগমারা আওয়ামী লীগ মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি। তবে ২০০৮ সালে এনামুল হক এমপি হওয়ার পর তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা ঘুরে দাড়াতে শুরু করে। বর্তমানে রাজশাহী অঞ্চলের মধ্যে বাগমারা আওয়ামী লীগের সংগঠনিক অবস্থান সবচেয়ে শক্তিশালী। যা আওয়ামী লীগের কাছে মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি জেলা রাজশাহী। প্রাচীন হিন্দু ও বৌদ্ধরাজাদের শাসনামল থেকে শুরু করে সুলতান, মোগল, ব্রিটিশ এবং পাকিস্তান আমলে শত ঘটনা এবং গৌরবময় ঐতিহ্য ও ইতিহাসের নীরব সাক্ষী এ জেলা। সমতল ভুমি, মুক্ত প্রকৃতি এবং মহাসাধকের লালন ভুমি হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিতি রাজশাহী জেলাটি।
নয়টি উপজেলা, ১৪টি পৌরসভা ও একটি সিটি করপোরেশন নিয়ে গঠিতে এ জেলায় রয়েছে ছয়টি সংসদীয় আসন। যার মধ্যে একটি গুরুত্বপুর্ণ সংসদীয় আসন হিসেবে পরিচিত রাজশাহী-৪। বাগমারা উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। তিনি বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিন্তা-চেতনা, আদর্শ, দেশপ্রেম লালন করে বাগমারার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন সাংসদ এনামুল হক।
সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক ২০০৮ সালে তিনি এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয়বার সাংসদ নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর চেষ্টায় শক্তিশালী হয়েছে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা। সাংগঠনিক দিক থেকে বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগ এখন মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে দলের কেন্দ্র থেকে শুরু করে জেলার নেতাদের কাছে।
সাংসদ এনামুল হক তার নিজস্ব অর্থায়নে দলীয় প্রধানের নামে জমি ক্রয় করে সেখানে বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছেন। যেখানে গড়ে তুলেছেন বঙ্গবন্ধু জাদু ঘর ও দলীয় কার্যালয়। এছাড়াও রাজশাহী নগরের সিটি বাইপাসের তালপুকুর এলাকায় সড়কের পাশে নিজস্ব কার্যালয় করতে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগকে দান করেছেন প্রায় কোটি টাকা মূল্যের জমি। সেখানে প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগের নিজস্ব কার্যালয় নির্মাণ করা হবে।
বাগমারা উপজেলাটি একসময় সন্ত্রাসী জনপথ হিসেবে চিহ্নিত ছিলো। এখানে বাংলাভাইয়ের নেতৃত্বে মৌলবাদি জঙ্গি গোষ্টি ও চরমপন্থীরা এক সময় প্রকাশ্যে মানুষকে নিশংসভাবে হত্যা ও নির্যাতন করতো। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং সংসদ সদস্য ও বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হকের তত্বাবধানে প্রসাশনের সহযোগীতায় জঙ্গি ও চরমপন্থীদের নিশংস হত্যাকান্ডসহ তাদের সকল কর্মকান্ড বন্ধ হয়।
পিছিয়ে নেই বাগমারা উপজেলার অবকাঠামো উন্নয়নে। স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী ও সাধারন জনগণের সেবার মান বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছেন সাংসদ এনামুল হক। উপজেলা এলাকায় নির্মাণ করেছেন অনেক স্থাপনা। এর মধ্যে তাহেরপুর পৌরসভার প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন, বাগমারা উপজেলার প্রশাসনিক ভবন, সিকদারিতে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, হাটগাঙ্গপাড়ায় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণ, বারনই নদীর তালতালিতে সেতুন নির্মাণ উল্লেখ্যযোগ্য।
অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা তাই এ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে সাংসদ এনামুল হক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নয়নের জন্যে নির্মাণ করা হয়েছে নতুন নতুন রাস্তা, ব্রীজ ও কালভার্ট। স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন এনামুল হক ৩০ শষ্যা বিশিষ্ট বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শষ্যায় উন্নিত, শিকদারিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা ছাড়াও তার তত্বাবধানে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য প্রদান করা হচ্ছে।
২০১৮ সালে প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়ার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গিকার বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন সাংসদ এনামুল হক। এর ধারাবাহিকতায় এমপি এনামুল হকের তত্বাবধানে বাগমারা উপজেলায় ৯৮ হাজার ২৭ পরিবারকে বিদ্যুতের আওতায় আনাসহ প্রায় তিন লাখ লোককে বিদ্যুৎ সরবরাহে সুযোগ প্রদান করেছেন। এলাকাবাসীর বিদ্যুতের চাহিদা পুরণের জন্য ভবানীগঞ্জ উপকেন্দ্রের ক্ষমতা ৫ এমবিএ থেকে ৩০ এমবিএ’তে বৃদ্ধি করা হয়েছে। নতুন করে হাটগাঙ্গ পাড়ায় ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র তৈরী করা হয়েছে।
শিক্ষানুরাগী নেতা হিসেবেও পরিচি রয়েছে সাংসদ এনামুল হকের। তাঁর নেতৃত্বে বাগমারা উপজেলা এখন শিক্ষা উন্নয়নের অগ্রগতি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। প্রতিবছর উপজেলার কৃতি শিক্ষার্থী, ভাল শিক্ষক ও ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে তিনি সম্মাননা প্রদান করে আসছেন। তাঁর নেতৃত্বে ও তত্বাবধানে বাগমারায় গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নির্মিত হয়েছে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আধুনিক ভবন। বাগমারায় সবুজ বনায়নে রুপান্তর এবং পুষ্টির অভাব পূরণের গাছ লাগানো কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন সাংসদ এনামুল হক।
সংসদ সদস্য ও বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক সব সময় অসহায় মানুষের পাশে থেকেছেন। শুরু থেকেই এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে রয়েছেন তিনি। সরকারি ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি বন্যা কবলিত এলাকায় দুর্গত মানুষের মাঝে ব্যক্তিগতভাবে প্রচুর পরিমান ত্রাণ বিতরণ করেছেন। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।