শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

বাগমারা ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে আ.লীগের বিতর্কিত তিন নেতা থাকায় একাংশের বর্জন

SONALISOMOY.COM
নভেম্বর ৭, ২০১৭

নিজেস্ব প্রতিবেদক: শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ পাওয়া তিন নেতাকে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়াতে অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন ছাত্রলীগের রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ কলেজ শাখার একাংশের নেতারা। ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে তাদের থাকাতে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন ছাত্রলীগের নেতারা।

জানাযায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনিস্কোর পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত দেওয়াতে গতকাল মঙ্গলবার ভবানীগঞ্জ কলেজ শাখা ছাত্রলীগ একটি আনন্দ মিছিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। দুপুরে ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সভাপতি নাদিরুজ্জামান মিলনের নেতৃত্বে একটি মিছিল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে ভবানীগঞ্জের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

মিছিলটি উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ পাওয়া তিন নেতা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম জিয়াউদ্দিন ও সদস্য আবদুস সালাম মিছিলের সামনে প্রবেশ করে। এসময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাঁরাও শ্লোগান দেন। এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বিষয়টি টের পেয়ে ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সভাপতির নেতৃত্বে থাকা নেতা-কর্মীরা অনুষ্ঠান বর্জন করেন।

পরে ছাত্রলীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা আ.লীগের ওইসব নেতাদের মিছিল সহকারে ভবানীগঞ্জ নিউ মার্কেটে নিয়ে যান। সেখানে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভায় ওইসব নেতারা বক্তব্য রাখেন।

ভবানীগঞ্জ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাদিরুজ্জামান মিলন বলেন, দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ পাওয়া ওইসব নেতাদের দেখে তাঁরা অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন। তাঁদের ডাকাও হয়নি। ছাত্রলীগকে পুঁজি করে তাঁরা (অব্যাহতির সুপারিশ পাওয়া নেতারা) নিজেদের অস্তিত্ব টিকে রাখার চেষ্টা করছেন। তবে ছাত্রলীগ তাঁদের বর্জন করেছে।

ছাত্রলীগের উপজেলা শাখার সহসভাপতি ইসমাইল হোসেন বলেন, তিনিও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতাদের আহ্বানে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। তবে বিতর্কিত তিন নেতাকে তাঁদের কর্মসূচিতে দেখে অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন। তাঁদের উড়ে এসে জুড়ে বসাতে তাঁরা বিষ্মিত ও বিব্রত।

গত ১৯ অক্টোবর জেলা আওয়ামী লীগের সভায় বাগমারা উপজেলার ৯ নেতাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক সম্মেলন করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাংসদ এনামুল হকের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। এতে সরকার তথা আওয়ামী লীগ বিব্রত হয়। পরে তাদের বহিষ্কারের সুপারিশ করে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির সদস্যরা।