শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

নড়িয়ার ২৪টি খাল অবৈধ দখলে

SONALISOMOY.COM
জুলাই ৯, ২০১৮
news-image

শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার চরাঞ্চলে দুটি ইউনিয়ন। এই দুই ইউনিয়ন বাদে নড়িয়া পৌরশহর সহ বাকি ১২টি ইউনিয়নের প্রায় সব কয়টি খাল দখল করে বসত বাড়ি, বানিজ্যিক ভবন ও দোকান পাট নির্মান সহ বাড়ির রাস্তা নির্মান করা হয়েছে। যার ফলে হুমকির মুখে গোটা নড়িয়া উপজেলাধীন প্রতিটা ইউনিয়নের সাধারন মানুষ।

পদ্মা নদী সংযুক্ত খালগুলোর অব্যবস্থাপনা এবং অবৈধ দখলের কারনে প্রাকৃতিক সেচ কার্য বাধাগ্রস্থ হয়েছে ফলে জ্বালানী অপচয় এবং বিদ্যুৎ অপচয় করেই কৃষকরা ফসলের ক্ষেতে সেচ কার্য চালিয়ে যাচ্ছেন, অনেকেই পানি সংকটের কারনে ফসলের জমিকে কেটে মৎস চাষের জন্য ঘের নির্মান করছেন।

বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসন করা যাচ্ছে না বলে জনদূর্ভোগ চরমে। খালগুলোর পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মুক্ত জলাশয়গুলো পানি শূন্য হয়ে গেছে। তাই সরকারিভাবেও এখন অার মাছের পোনা উন্মুক্ত করা হয় না। সাধুপানির মাছ কমে যাওয়ায় অামিষের চাহিদা পূরন করতে পারছেন না নিম্ন অায়ের লোকজন। একসময়ের নৌ-চলাচলের ক্ষেত্র এই খালগুলোতে এখন অার পন্য পরিবহন কাজে ব্যবহার করা যায় না, যার ফলে পন্য পরিবহন খরচ বেড়েছে দিগুন।

নদীতে পানির পরিমান বেড়ে গেলে উক্ত খালগুলোর প্রবেশ মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানি চলাচলে বাধাগ্রস্থ হয়ে ভাঙ্গন সমস্যা প্রকট অাকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে হয়তো মারত্বক পরিবেশ বিপর্যয়ের শিকার হবে উপজেলার জনগন।

সরেজমিনে নড়িয়ার প্রতিটা ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, কৃত্তিনাশা নদী থেকে নড়িয়া বাজারের পূর্ব পাশ দিয়ে চাকধ বাজার পর্যন্ত বয়ে যাওয়া খালটির অনন্তত ৩০টি স্থানে বাঁধ দেয়া হয়েছে। নড়িয়া খাদ্য গোডাউনের পাশ দিয়ে অাশা এই খালটির একপাশ দখল করে বাজারের পূর্ব মাথায় বহুতল মার্কেট ভবন নির্মান করা হয়েছে, পৌরসভার পানির পাম্পের ০১টি ভবন নির্মান, দোকানপাট নির্মান এবং খাল ভরাট করেই নির্মান করা হয়েছে পাকা সড়ক।

নড়িয়া বাজারের পূর্ব পাশে পৌরসভা কর্তৃক শিশুপার্ক স্থাপনের জন্য নির্ধারিত খাস জায়গায় সাইনবোর্ড লাগানো থাকলেও তা ফেলে দিয়ে ঘর সহ একাধিক বানিজ্যিক ভবন তুলেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

পদ্মা নদী হতে সংযোগ পাওয়া কলুকাঠি মা জেনারেল হাসপাতাল এবং মডার্ন ফ্যান্টাসী কিংডমের সামনে দিয়ে মধ্য কলুকাঠি হয়ে থাকা খালটি দখলে নিয়ে অন্তত ১২-১৫টি দোকান নির্মান করা হয়েছে। স্থানীয়দের দেয়া তথ্যে জানাযায় উক্ত দোকানগুলো মর্ডান হারবাল, মা জেনারেল হাসপাতাল এবং মর্ডান ফ্যান্টাসী কিংডমের মালিক ডাঃ অালমগীর মতিন সাহেবের নিজের মালিকানায় তোলা হয়েছে।

গোলার বাজার থেকে কার্তিকপুর পর্যন্ত ১০ টি স্থানে সংযোগ সড়ক করে দখক করে আছে পদ্মা নদীর সংঙ্গে সংযোগ খালটি।

তেলীপাড়া থেকে ভূমখাড়া হয়ে কেদারপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীর সঙ্গে সংযোগ খালটির ২০টি স্থানে খাল ভরাট করে অনেকেই অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন।

খালটির ভূমখাড়ায় মীর বাড়ির মোড়ে পূর্ব পাশে দুই পাশে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে । গৌরাঙ্গ বাজারের পাশে খাল দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেছেন স্থানীয়দের অনেকেই।

মূলফৎগঞ্জ বাজার থেকে পূর্ব নড়িয়া হয়ে ঢালীপাড়া দিয়ে নড়িয়া চাকধ প্রধান সড়ক পর্যন্ত খালে দুইপাড় দখল করেছে স্থানীয়রা। খালটির মূলফৎগঞ্জ ব্রিজ অংশে অন্তত ২৫টি পাকা দোকানঘর তোলা হয়েছে, পূর্ন নড়িয়া স্কুলের পাশে গাজী কালু মঞ্জিলের বিশালাকার একটি ভবন এবং অপর একটি বসত ভবন নির্মান করা হয়েছে। উক্ত ভবনটির মালিক ঝর্না খান, স্থানীয়রা জানান তিনি অামেরিকা প্রবাসী এবং প্রভাবশালী ও বিত্তশালী। খালটির বাকি অংশ ঢালীপাড়া অংশে বসত বাড়ি, বাড়ির রাস্তা এবং বাজারে খালটির উপরেই অন্তত ২০ টি দোকানঘর নির্মান করেছে স্থানীয়রা।

পদ্মা নদীর সঙ্গে সংযোগ কেদারপুরের খালটির মধ্য কেদারপুরের অন্তত ২০টি স্থানে বাঁধ দিয়ে রাস্তা নির্মাণসহ ঘরবাড়ি নির্মান করেছেন স্থানীয়রা। উক্ত খাল দখল করে পাঁকা দোকানপাট এবং মসজিদের শৌচাগারও নির্মান করেছেন স্থানীয়রা। বর্তমান সাধুর বাজার ঘাট সাবেক চরজুজিরা পদ্মা নদী সংযোগ থেকে মূলফৎগঞ্জ বাজার হয়ে চাঁকধ বাজার এবং ভূমখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দিয়ে গৌরঙ্গ বাজার পর্যন্ত খালটির উপরে অবৈধভাবে শতাধিক দোকানপাট নির্মান করা হয়েছে। উক্ত খালের পশ্চিম পাড়ের কিছু অংশ দখলে নিয়ে নির্মান করা হয়েছে পাকা এবং অাধাঁ পাকা ঘর-বাড়ি।

কেদারপুরের চন্ডিপুর লঞ্চঘাটের পদ্মা নদী হতে সংযোগ পাওয়া খালটি নলতা বিল পর্যন্ত একাধিক বসত বাড়ির মালিকদের দখলের শিকার হয়ে মরা খালে পরিনত হয়েছে। পাঁচগাও বটতলা থেকে মোজাম্মেল ফকিরের বাড়ির পেছন একটি স্বচল খাল ছিলো। কেদারপুরের মজিদ শাহ্ মাজার সংলগ্ন একটি শাখা খাল ছিলো যার অস্বিত্ব কেদারপুর ভূমি অফিস পর্যন্ত ছিলো, এই খালটির মজিদ শাহ্ মাজারের সামনের অংশ মাজার কতৃপক্ষ ভরাট করেছে, মাজারের মূর্ব পাশে সুমন শরীফ নামে একজন মাটি দিয়ে ভরাট করে” মজিদ শাহ” নামকরন করে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য পন্য উৎপাদনের ফ্যাক্টরি বানিয়েছেন। এই খালটির শেষ অংশপর্যন্ত দুইপাশের গড়ে উঠেছে বসতবাড়ি, যার ফলে খালটি চেপে গিয়ে সরু নালায় পরিনত হয়েছে।

ঘড়িষার ইউনিয়নের সুরেশ্বর দরবার শরীফের মাঝ বরাবর পদ্মা নদীসংযোগস্থল থেকে কেদারপুর ইউনিয়নের ভিঅাইপি মোড় সামসুদ্দিন ঢালীর বাড়ির পাশ দিয়ে পুনরায় পদ্মায় মিলিত হয়েছে। এই খালটি সুরেশ্বর দরবার শরীফের অবৈধ স্থাপনা ও নড়িয়া -সুরেশ্বর ভায়া কেদার পুর প্রধান সড়কের পাশে থাকা স্থানীয়দের বসতবাড়ি দালান কোঠা সহ দোকান পাট উত্তোলনের কারনে ৯০ভাগই বিলীন হয়েছে। সামসুদ্দিন ঢালী নিজ বসত বাড়ি এবং দোকান উঠিয়ে খালের একাংশ দখলে নিয়েছেন। একসময় খালটিতে নৌকাচলাচল ছিলো বলে যানায় স্থানীয়রা।

সুরেশ্বর পুলিশফাড়ি ঘাট থেকে অপর একটি খাল হালইসার বাজার সংলগ্ন ব্রিজের নিচ দিয়ে সুরেশ্বর দরবার শরীফ সড়কের মোড় মৃত কাদির মৃধার বাড়ির পাশদিয়ে সচল ছিলো বর্তমানে খালটির কিছু অংশে রাস্তা নির্মান করা হয়েছে, বাকি অংশ স্থানীদের বাড়ির রাস্তা তৈরি করে পানি প্রবাহ একেবারেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। হালইসার বাজার থেকে একই ইউনিয়নের বাংলাবাজার হয়ে ঘড়িসার বাজার পর্যন্ত শতাধিক দোকানঘর, অন্তত ৫০টি বসত বাড়ি এবং একটি মন্দির নির্মান করা হয়েছে উক্ত খালটির বেশ কিছু অংশ দখল করে। খালটি বাংলাবাজারের পাশ দিয়ে বহমান পদ্মার সুরেশ্বর থেকে কার্তিকপুরের শাখা নদী হতে প্রবাহমান ছিলো। বাংলা বাজার থেকে সিকদার বাড়ি স্কুল হয়ে সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়ি পর্যন্ত বিলের সাথে সংযুক্ত এই খালটির বেশ কয়েকটি স্থানে বসত বাড়ির রাস্তা নির্মান করেছে স্থানীয়রা এবং খালটি বর্তমানে পানিশূন্য হয়ে পড়েছে।

ঘড়িসার বাজারের পেছন দিয়ে পদ্মা হতে পদ্মানদী সংযুক্ত খালটির সম্পূর্ন অংশটি অবৈধভাবে দখল করে বসত ঘর, পাকা দালান এবং শতাধিক পাকা দোকান পাট নির্মান করে অবৈধভাবে দখলে নিয়েছে স্থানীয়রা। এই খালটি ঘড়িসার বাজারের মসজিদের পেছন দিয়ে সিংহল মুড়ি গ্রামের বিল এলাকায় মিশেছে বলে জানাযায়। কিন্তু অবৈধ দখলে খালটি বিলুপ্ত হতে চলেছে।

পাগলার মোড় হয়ে ডিঙ্গামানিক ইউনিয়ন পরিষদ ঘেষে রাম সাধূর বাড়ি সংলগ্ন খালটির ৬০ভাগই রয়েছে অবৈধ দখলে। ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নে কার্তিকপুর নদী হতে অাসা সিকদার মেডিকেল কলেজের প্রধান গেইট হয়ে মধুপুর গ্রাম প্রর্যন্ত খালটির সিকদার মেডিকেল কলেজ গেইটের রাস্তা তৈরি করতে হিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। তাই এই খালটির নড়িয়া উপজেলাধীন অংশটি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ায় উক্তখালটি এমনিতেই দখলে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়রা। ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের অাহম্মদ নগর বাজারে একটি খাল ছিলো তবে এখন তার কোন চিহ্ন নেই। দোকানপাট তুলে পুরো খালটি দখলে নিয়েছে স্থানীরা, এই খালটির গোলার বাজার পর্যন্ত অংশে স্থানীয়রা তেমন কোন দখল না করলেও গোলার বাজার অংশে খালের উপরে একের পর এক দোকান নির্মান করেছে। সেখানে অন্তত ২৫টি দোকানঘর স্থায়ী ও অস্থায়ী ভাবে নির্মান করা হয়েছে।

পার্শবর্তী উপজেলা ভেদরগঞ্জের নদী সংযোগ হয়ে অাসা বিশালাকার খালটি চামটা ইউনিয়নের গুলমাইজ চেয়ারম্যান বাজার ও পুরান দিনারা বাজার ঘেষে গোলার বাজার হয়ে শিমুলতলা গ্রামের পাশ দিয়ে বড়ইতলা বাজার পর্যন্ত মোট চারটি বাজরেই উক্ত খালটির উপরে শতাধীক বানিজ্যিক পাকা দোকান তোলা হয়েছে, শিমুলতলায় খাল দখল করেই নির্মার করা হয়েছে বসত বিল্ডিং এবং বাড়ির রাস্তা বানিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে খালটি। বড়ই তলা হতে উক্ত খালটি নলতা বাজার হয়ে চাকধ সাহজাহান ঢালীর সমিল পর্যন্ত এই খালের প্রায় সব অংশই স্থানীয়দের দখল রয়েছে। নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর বাজার এর পাশ দিয়ে কৃত্তিনাশা নদীর সংযোগ থেকে বিঝারী বাজার পর্যন্ত খালটির কিছু অংশ দখল করে ভোজেশ্বর বাজার ও বাসস্ট্যান্ডে অন্তত ৫০টি দোকান ঘর তোলা হয়েছে, একই খালের তিন দোকান, মগার পাড়, উপসীস্কুলের, লক্ষীপুর বাজার এবং ইমানখোলা বাজার হয়ে বিঝারী বাজার পর্যন্ত ছোট বড় দোকানঘর সহ বসত বাড়ি নির্মান করে দখলে নেওয়া হয়েছে এবং বিঝারী বাজার থেকে পঞ্চপল্লী বাজার হয়ে ভেদরগঞ্জ বাজার পর্যন্ত এই খালটিতে বিঝারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অাঃ রাজ্জাকের বাড়ির বিল্ডিংয়ের অংশ রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

পঞ্চপল্লী বাজার দুটি খালের একটি গোলার বাজারের পাশে থাকা বড় খালে সংযোগ দেওয়া অপর একটি বাজারের পাশ দিয়ে ধামারন গ্রামের বিলে গিয়ে মিলে গিয়েছে। ধামারন থেকে ফতেজঙ্গপুর বাহার পর্যন্ত প্রায় ১কিলোমিটার খাল রয়েছে যা অব্যাবস্থাপনার কারনে বলীন হতে চলেছে।

ভোজেশ্বর বাজার হতে শরীয়তপুর পল্লীবিদ্যুৎ পর্যন্ত খালটির বিভিন্নস্থানে পাকা সড়ক এবং বসত বাড়ির রাস্তা তৈরি করে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ করা হয়েছে।

নড়িয়া-ভোজেশ্বর সড়কের মশুরা বাজারের ব্রিজের নিচে থাকা খালটি কৃত্তিনাশা সংযোগ স্থান থেকে ফতেজঙ্গপুর হয়ে রোকন্দপুর মাদরাসার পাশ দিয়ে চাকধ ফতেজঙ্গপুর সড়কের পাশের খালটিতে গিয়ে মিলেছে। রোকন্দপুর মাদরাসা বিপরিতে বিশাল একটি মাছেরর প্রজেক্ট বানিয়ে সেই প্রজেক্টে যাতায়াতের রাস্তা বানিয়ে খালটি দখল করেছে উক্ত প্রজেক্ট মালিক এবং প্রভাবশালীরা। এই খালের দু’পাশ অাটকিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে এমনটা দেখা গেছে। নড়িয়া -ভোজেশ্বর সড়কের শিব মন্দীরের পাশ দিয়ে একটি খাল ভোজেশ্বর আাজর হয়ে কৃত্তীনাশায় সংযুক্ত ছিলো, এই খালটি মাঝ বরাবর ঠিক থাকলে দু’পাশের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। ফতেজঙ্গপুর ইউপি কার্যালয়ের পাশের সড়ক থেকে লোনসিং বাঘবাড়ি স্কুলের পাশ দিয়ে পৌর মেয়র বাবু রাড়ি’র বাড়ির পাশ দিয়ে ভূমখাড়া খালে গিয়ে মিলিত হয়েছে। উপজেলার মোক্তারের চরে কৃত্তিনাশার গোলাম মাওলা সেতু সড়কের ডান পাশের শুরু থেকে জাজিরার কলমির চর সড়ক পর্যন্ত ছোট বড় অনেকগুলো খাল দখল করে বাড়ি নির্মান করেছে স্থানীয়রা। মোক্তারের চর ডগ্রী সড়কের পাশে থাকা খালগুলোতে তেমন কোন দখল নজরে না পড়লেও নশাষন ইউনিয়নের ডগ্রী বাজারে অনেকগুলো খাল দখল করে দোকানপাট সহ পাকা দালান নির্মান করা হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। জাজিরা শরীয়তপুর সড়কের মাঝে ডগ্রী বাজারের পাশে থাকা খালগুলোই নয় একই ইউনিয়নের মাঝির বাজার স্কুলের পেছন দিয়ে প্রবাহিত হওয়া খালটিও জাজিরা কাজির হাট বাজারের মধ্য হয়ে এসে ডগ্রী ইউনিয়নের পেছন দিয়ে প্রবাহিত ডোমসার নদীর সাথে সংযুক্ত হয়েছে। ভোজেশ্বর অাচুড়া গ্রাম হয়ে সাবেক অাইজিপি মহোদয়ের বাড়ির পাশ দিয়ে পালং বাজার পর্যন্ত সড়কের পাশে থাকা খালটিতে অবৈধভাবে বসত বাড়ি ও দোকানপাট নির্মান করে দখলে নিয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

দখলে থাকা স্থানীয়দের প্রায় সকলেই বলছেন উক্ত দখলকৃত খালগুলো তাদের নিজ মালিকানাধীন। অাবার কেউ বলছেন, সরকারি অফিস থেকে অনুমতি নিয়ে ভবন নির্মান করা হয়েছে। কিন্তু অাসলেই কি যথাযথ কোন বৈধতা নিয়ে খাল গুলো দখল করা হয়েছে? নাকি খালগুলোকে ধংস করে নিজ দখলে নেওয়ার অপচেষ্টা? জানতে চান উপজেলার সচেতন নাগরিকরা তারা বলেন, নড়িয়া উপজেলায় নানা অব্যবস্থাপনার মাঝে খাল দখলের বিষয়গুলো প্রকট অাকার ধারন করেছে। যে যেভাবে পারছে সেভাবেই দখলে নিয়ে বাড়িঘর, দোকানপাট সহ নানা রকম ভবন নির্মান করে দখলে নিচ্ছে। জেলা প্রশাসকের দৃষ্টপাত না হলে এই সমস্যা প্রকট অাকার ধারন করবে।