মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫

বাগমারায় মাদক ব্যবসায়ীর হাতে খুনের ঘটনায় পুলিশ ৩ দিনেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি

SONALISOMOY.COM
আগস্ট ২৬, ২০১৮
news-image

বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারায় গত শুক্রবার বিকেলে প্রকাশ্যে একই এলাকার মাদক বিক্রেতা জুয়েল রানার ধারালো চাকুর আঘাতে কাচারী কোয়ালীপাড়া ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের মিলন (২৪) হত্যার ঘটনায় পুলিশ কাউকেও গ্রেফতার করতে পারেনি। হত্যার ঘটনায় রাতেই নিহত মিলনের বাবা খলিলুর রহমান বাদী হয়ে জুয়েল রানাকে প্রধান আসামী করে দুই জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েক জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যার ঘটনার পরের দিন দুপুরে ঘটনারস্থ পরিদর্শনে আসেন রাজশাহীর সদর সার্কেল ও সহকারী পুলিশ সুপার আহম্মেদ আলী। তিনি ঘটনারস্থল পরিদর্শন শেষে ঘটনার সাথে জড়িত মিলন হত্যাকারী মাদক বিক্রেতা জুয়েল রানাকে গ্রেপ্তারের জন্য বাগমারা থানার পুলিশকে নির্দেশ দেন। হত্যা ঘটনার ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এ পর্যন্ত কাইকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

জানা গেছে, কাচারী কোয়ালীপাড়া ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের জুয়েল রানা দীর্ঘ দিন ধরে মাদকের ব্যবসা করে। স্থানীয় ভাবে তাকে নৃবৃত্ত করার চেষ্টা করে যুবক মিলনসহ অনেকে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ঈদুল আযহার দিনে বিকেলে মাদক বিক্রিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জুয়েল রানা ও মিলনের মধ্যে কথাকাটি ও হাতাহাতি হয়। ওই ঘটনার জের ধরে গত শুক্রবার বিকেলে জুয়েল রানা তার বাড়ীর পার্শ্বের একটি মুদি দোকানে বসেছিল। জুয়েল রানকে বসা দেখে মিলন তার মারার প্রতিশোধ নিতে বাড়ী থেকে মোটর সাইকেলের চেইন নিয়ে যায় এবং জুয়েল রানার উপর আক্রমন করেন। দুই জনের মধ্যে হাতাহাতির এক পর্যায়ে দোকানের লোকজন তাদের দুইজনকেই মারামারি থেকে প্রতিহতের চেষ্টা করে। সুযোগ বুঝে জুয়েল রানা তার প্যান্টের পকেটে থাকা ধারালো চাকু মিলনের পেটের মধ্যে ঢোকিয়ে দেয়। ধারালো চাকুর আঘাতে মিলনের শরীর থেকে প্রচুর পরিমান রক্তক্ষরন দেখা দেয়। ওই সময় স্থানীয় লোকজন মিলনকে ভবানীগঞ্জ একটি ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। চিকিৎসক মিলনের অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার জন্য পরিবারের সদস্যদের পরামর্শ দেয়। পরিবারের সদস্যরা মিলনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেয়ার জন্য এ্যাম্বুলেন্স নিলে পথে তার মৃত্যু হয়। মিলনের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাধারন মানুষের মধ্যে আতংক দেখা দেয়। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ এলাকায় কয়েকজন চি‎হ্নিত মাদক ব্যবসায়ীর কারনেই পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তারা অবিলম্বে ওই সকল মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাসেল কবির জানান, রাতে মামলা দায়ের পর থেকে জড়িতদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে। থানার বিভিন্ন এলাকায় সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালানো অব্যাহত রাখা হয়েছে বলে তিনি দাবি জানান।