বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

খালেদার মুক্তির নামে নতুন করে নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা হচ্ছে: আব্দুর রহমান

SONALISOMOY.COM
ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
news-image

নিজস্ব প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির নামে দেশে নতুন করে নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা হচ্ছে। দেশের রাজনীতিতে নতুন করে জালাও পোড়াও এর গন্ধ শুনতে পাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমি এই পরাজিত রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি জামায়েতকে বলতে চাই আওয়ামী লীগের একটা নেতাকর্মী বেঁচে থাকতেও আর কোনো অশুভ শক্তিকে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না। রাজপথে আর কোনো দিনই তাদের জায়গা হবে না।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুর রহমান বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি একমাত্র আদালতেই হবে, এর বাহিরে আর কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না। যদি বিএনপি এর বাহিরে বা রাজ পথে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায় তাহলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কঠিন হাতে সেই আন্দোলন প্রতিহত করবে।

তিনি বলেন, আপনারা সেই নেতাকর্মী, যারা একাত্তরে অস্ত্রহাতে যুদ্ধ করে এ দেশকে শত্রু মুক্ত করেছেন। একাত্তরের স্বৈরশাসক খুনি জিয়াউর রহমানের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে এই সংগঠনকে বাহির করে এনেছেন। আপনারা সেই নেতাকর্মী যারা এরশাদের স্বৈরশাসন মোকাবেলা করে গণতন্ত্রের মুক্তি এনেছেন। আপনারাই আগামী দিনে এ দেশের জন্য শেখ হাসিনাকে একমাত্র অপরিহার্য করে তুলতে কাজ করেছেন।

আব্দুর রহমান আরো বলেন, ওয়ান ইলেভেনের পর নেত্রী যখন কারাগারে ছিলেন আপনারা সেদিন গর্জেউঠেছেন। নেত্রীর মুক্তির ডাক দিয়ে আপনারা সেদিন কাঁপানো রাজপথকে জনতার মিছিলে পরিপূর্ণ করে সেই স্বৈরশাসককে বাধ্য করেছিলেন শেখ হাসিনাকে মুক্তি দেয়ার জন্য।

তিনি আরো বলেন, যে নেতার্মীরা শেখ হাসিনাকে মানবঢাল রচনা করে রক্ষা করে সেই নেতাকর্মী বেঁচে থাকতে আমাদের প্রিয় নেত্রীকে কেউ কোনো দিনই স্পর্শ করতে পারবে না। যত ষড়যন্ত্রই হোক আমরা সেই সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেছি এবং আগামী দিনেও করবো।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০০১ সালের পর খুলনার রাজনীতির আকাশে নির্যাতনের এমন কালো মেঘ নেমে এসেছিল। সেদিন বিএনপি-জামায়েতের নির্যাতনের হাত থেকে আওয়ামী লীগের কোনো লোক রেহায় পায়নি। সেদিন এক কর্মীর একটি চোখ উপড়ে ফেলেছিল আর তাকে বলা হয়েছিল আর কোনোদিন জয়বাংলা স্লোগান দিবি না। যদি দেস তাহলে তোর অপর চোখটিও তুলে নিবো। কিন্তু সেদিন সেই কর্মী বলেছিল, তোমরা এক চোখ তুলে নিয়েছ প্রয়োজনে অপর চোখও তুলে নিতে পার, তারপরও আমার হৃদে যে জয়বাংলার সুর তুলেছি সেই জয়বাংলা কোনোদিনই মুখ থেকে ভুলে যাবো না।