বাগমারায় ক্রেতা সংকটে আম ব্যবসায়ীরা

বাগমারা প্রতিনিধি: মহামারি করোনা সংকটে বিপাকে পড়েছে রাজশাহীর বাগমারার আম ব্যবসায়ীরা। ক্রেতা না থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। বাজারে ক্রেতার অভাবে আম ব্যবসায়ীরা তাদের পাকা আমগুলো বিক্রি করতে না পেরে চরম বিপাকে পড়েছেন। বর্তমানে এখানকার অনেক ব্যবসায়ী ছোট বড় আম বাগান কিনে চরম লোকসানের মুখে পড়ে বাগানের আমগুলো আর সংগ্রহ করতে যাচ্ছেন না।

স্থানীয় বাজার ঘুরে ও আম ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে বাগমারার গ্রামাঞ্চলে ব্যাপকহারে সংক্রামন ছড়িয়ে পড়ে। উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা আড়াইশ ছাড়িয়ে। যায় ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়। করোনা সংক্রামনের এই ব্যাপকতায় এবার আম ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়ে যায়। আগের মত আর বাইরে থেকে আম বেপারীরা এখানে আসছে না আম ক্রয় করার জন্য। ফলে ভবানীগঞ্জ সহ আশেপাশের হাট বাজারগুলোতে আম ব্যবসায়ে ধ্বস নেমেছে।

ভবানীগঞ্জ বাজারে সোমবার ভালে মানের ল্যাংড়া আম বিক্রি হতে দেখা গেছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে। এছাড়া এই হাটে ক্ষিরসাপাত আমও বিক্রি হয়েছে মাত্র একই দরে। এতো সন্তা দামে আম নিয়ে এসেও বাজারে ক্রেতার অভাবে আমগুলো বিক্রি করতে পারছে না ব্যবসায়ীরা। আম ব্যবসায়ী সুজন আলী ও জব্বার জানান, তারা এবার আম বাগান কিনে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। বাগানের আমগুলো নিয়ে তারা কি করবেন তার উপায় খুজে পাচ্ছেননা। আহাদ আলী নামের আরেক আম ব্যবসায়ী জানান, তিনিও দুটি আম বাগান কিনে প্রায় দুই লাখ টাকা দিয়ে। তিনিও লোকসানের শিকার হবেন বলে জানাগেছে। এখন আম গুলো পানির দরে বিক্রি করে দিতে চাইলেও ক্রেতা পাচ্ছেন না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাজিবুর রহমান জানান, আম কেনাবেচায় কোন বিধিনিষেধ নেই। করোনার কারণে লোকজন আম খেতে ভয় পাচ্ছে। যদিও আমের সাথে করোনার কোন সম্পর্ক নেই। বরং আম খেলে শরীরের বিভিন্ন উপকার হবে।