বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গৃহবধূর হাত ভেঙে দিলো বখাটে

SONALISOMOY.COM
জুন ২৯, ২০২১
news-image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে সুন্দরী বেগম নামে ২ সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে এক বখাটে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কুশনা ইউনিয়নের গালিবপুর দাসপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মোমিন আলীর স্ত্রী। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যায় বিচারের দাবি ভুক্তভোগীর।

আহত সুন্দরী বেগম জানান, পাশের বাড়ির স্বপন নামে এক বখাটে আমাকে বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় হঠাৎ করে ঈদুল ফিতরের ৫ দিন আগে এসে আমাকে বেধড়ক মারপিট করে চলে যায়। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। এ সময় আমার দুই শিশুর উচ্চস্বরে কান্না শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আমার জ্ঞান ফেরায় এবং তারা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

ওই সময় আমার স্বামী বাড়িতে ছিল না। সে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছিল। পরে বুঝতে পারি আমার ডান হাত ভেঙে গেছে। এরপর কোটচাঁদপুর থানায় অভিযোগ দিতে যায়। কিন্তু ওসি সাহেব আমার অভিযোগ নেয়নি। পরে উপায় না পেয়ে এসপি অফিসে যায়। কিন্তু ওসি স্যার আমাকে এসপি অফিস থেকে ফিরে আসতে বাধ্য করে এবং ওসি স্যার আমাকে বলে এসপি স্যারের কাছে কিছু বলার দরকার নেই। তুমি ফিরে আসো তোমার মামলা নেয়া হবে। ওই সময় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ফোন করে এবং চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে বলে, কোন অভিযোগ বা মামলা করার দরকার নেই। আমি তোমার ন্যায় বিচার করে দেব।

পরে চেয়ারম্যান ও ওসি স্যারের কথা অনুযায়ী আমি এসপি স্যারের সাথে দেখা না করে বাড়িতে চলে আসি। ফিরে আসার পর কেউ আমাকে আর গুরুত্ব দিচ্ছে না এবং বর্তমানে চেয়ারম্যান আমার নিয়ে বিভিন্ন রকম তালবাহানা করছে। অপরদিকে বখাটে ও তার পরিবার গ্রামে প্রচার করেছে সুন্দরীর কাছে আমার ছেলে টাকা পাবে। পাওয়া টাকা দীর্ঘদিন ধরে দিচ্ছে না বলে তাকে মারধর করেছে। অপরদিকে আসামি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও একদিনও তাকে ধরতে আসেনি পুলিশ। পরে জানতে পেরেছি ওসি স্যার আমার মামলা নিয়েছে এবং আদালতে ওই মামলার চার্জশিটও দাখিল করে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান জানান, আমি বিচার করে দেয়ার জন্য উভয়পক্ষকে ডেকেছিলাম। কিন্তু ছেলেপক্ষ আমার বিচার মানেনি। যেখানে ছেলে পক্ষ আমার বিচার মানলো না সেখানে আমার কিছু করার নেই।

বিষয়টি নিয়ে ওসি মঈনুল ইসলাম জানান, আমি মামলা নিয়েছি এবং আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দিয়েছি। এখন বিচার করবে আদালত। আমার কাজ শেষ। এখানে আমার আর কিছু করার নেই।