শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

বাগমারায় কেজিতে বিক্রি হচ্ছে তেতুলে খাটুয়া

SONALISOMOY.COM
জুলাই ১৭, ২০২১
news-image

বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার প্রতিটি বাজারে এখন পশুর পরে নজর তেতুল কাঠের খাটুয়ার উপর। ঈদ-উল-আযহার আর বেশি দিন বাঁকি নেই। সবাই ব্যস্ত কুববানির পশু কেনা নিয়ে। সেই পশুর মাংসের কাজ করতে প্রয়োজন হয় শক্ত কাঠের খাটুয়া (খাইট্যা)। সেই খাটুয়ার বাজার দরও অনেক। ৫০ টাকা থেকে ৫ শত টাকায় বিক্রয় হচ্ছে এক একটি খাটুয়া। এছাড়াও বিশ টাকা কেজিতে বিক্রয় করা হচ্ছে খাটুয়া। গরীব-ধনী সকলেই তাদের কুরবানির পশুর মাংসের কাজ করবেন এর সাহায্যে। প্রটিতি এলাকায় চাহিদা বেড়েছে তেতুল খাটুয়ার। কুরবানির পশুর উপর ভিত্তি করে কিনছেন ছোট-বড় খাটুয়া। খাটুয়া ছাড়া ভালো মতো মাংসের কাজ করা সম্ভব হয় না।

শনিবার উপজেলার ভবানীগঞ্জ বাজারের জিরো পয়েন্টে তেতুল কাঠের খাটুয়া বিক্রয় করছেন মকবুল হোসেন। দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে তিনি কুরবানির আগে তেতুল কাঠের খাটুয়া বিক্র করে আসছেন। তার বাড়ি মাড়িয়া ইউনিয়নের নিমপাড়া গ্রামে। তিনি বলেন, আজকেই বাজারে নিয়ে এসেছি। ক্রেতার উপস্থিতিও বেড়েছে। বর্তমানে অন্য সব নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের মতো চাহিদা বেড়েছে তেতুল কাঠের খাটুয়ার।

আব্দুস সালাম নামের আরেক খাটুয়া ব্যবসায়ী বলেন, এবার আমি তিনটি গাছ কিনেছি। তিনটি গাছ কেটে খাটুয়া তৈরি করা হয়েছে। গাছের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে খাটুয়ার দাম আগের বছরের চেয়ে একটু বেশি। প্রতিটি গাছ ১০-১২ হাজার টাকায় ক্রয় করেছি। সেই গাছ কাটা সহ বাজারে নিয়ে আসা পর্যন্ত ১৫-১৬ হাজার টাকা খরচ হয়। ঠিক মতো বিক্রয় করতে পারলে ৫-৬ হাজার টাকা লাভ হবে। প্রতি বছরই আমি খাটুয়ার ব্যবসা করি।

হেলাল নামের এক ব্যক্তি একটি ছোট খাটুয়া কিনেছেন। তিনি বলেন, আমি এবার একটি খাসি কুরবানি দিবো। সে জন্য খাসির মাংসের কাজ করতে একটি তেতুল কাঠের খাটুয়া কিনেছি। এই কাঠ অন্য গাছের কাঠের চেয়ে শক্ত।