শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সুস্থ থাকতে চাইলে টিকা নেয়া জরুরীঃ এমপি এনামুল হক

SONALISOMOY.COM
আগস্ট ৭, ২০২১
news-image

বাগমারা প্রতিনিধি: টিকা নেয়ার কোন বিকল্প নেই। সবাইকে টিকা নিতে হবে। সুস্থ থাকতে চাইলে টিকা নেয়া জরুরী। গ্রামের মানুষের কথা চিন্তা করে আওয়ামী লীগ সরকার দেশবাসীকে মহামারি করোনা ভাইরাসের কবল থেকে রক্ষায় বিনামূল্যে করোনার টিকার ব্যবস্থা করেছেন। শনিবার প্রধান অতিথি হিসেবে রাজশাহীর বাগমারায় ওয়ার্ড পর্যায়ে গণটিকা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন, রাজশাহী-৩ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।

তিনি আরো বলেন, করোনার চেয়েও মারাত্মক রোগ আসতে পারে যেটা কেউ কল্পনাও করতে পারছেনা। তাই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে টিকা প্রদান করা হচ্ছে। যাদের বয়স হয়েছে তাদের সবাইকে এই টিকা কার্যক্রমের আওতায় আসতে হবে। বিশ্বব্যাপি মহামারি রুপ নিয়েছে করোনা ভাইরাস। চোখের সামনেই অনেকে মারা যাচ্ছেন করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে। এ পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছেন তাদের দেহে অনেকটাই কমে গেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন। তাই সবাইকে করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে শিকদারীর সালেহা ইমারত মেডিক্যাল সেন্টারে মাড়িয়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে করোনা ভাইরাসের গণটিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন রাজশাহী-৪(বাগমারা) আসনের সদস্য সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম রাব্বানীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ, প্রকৌশলী সানোয়ার হোসেন, কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুল, মাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসলাম আলী আসকান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।

উদ্বোধনী দিনে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১০ হাজার ৩শত মানুষের মাঝে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদান করা হয়েছে। সারাদেশের ন্যায় এই টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম রাব্বানী জানান, সরকারী সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিটি ইউনিয়নে ৬শত মানুষের মাঝে করোনা টিকা দেয়া হবে। আগামী ১৪ আগস্টের পর আবারও এই গণটিকা কার্যক্রম শুরু হবে। সেই সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।