শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

যৌতুক মামলায় সিআইডির এসআই মিঠুন কারাগারে

SONALISOMOY.COM
সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১
news-image

নিজস্ব প্রতিনিধি: খুলনায় যৌতুক মামলায় সিআইডির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিঠুন রায়কে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করলে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১-এর বিচারক দিলরুবা আক্তার তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
সম্পর্কিত খবর

খুলনার ডুমুরিয়ার মিঠুন রায় ঢাকা সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ের সাইবার শাখায় উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ড. মো. জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মামলাটি আদালত তদন্তের জন্য বটিয়াঘাটার মহিলা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। মিঠুন তার পুলিশের প্রভাব প্রয়োগ করে তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করে ফেলেন। এরপর আদালত তিথী বিশ্বাসের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনালে সরাসরি মামলাটি আমলে নিয়ে মিঠুর বিরুদ্ধে সমন জারি করে।

বুধবার মিঠুন রায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত উভয়পক্ষের আইনজীবীর শুনানি শেষে মিঠুন রায়ের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। মিঠুন রায়ের বিরুদ্ধে আরও ২টি মামলা রয়েছে।

আদালত ও আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, বাটিয়াঘাটার দেবিতলা গ্রামের তিথী বিশ্বাসের সঙ্গে মিঠুন রায়ের ২০১৫ সালে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিথী খুলনা সরকারি মহিলা কলেজে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। ২০১৭ সালে মিঠুন রায় তিথীকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে গোপানে বিয়ে করেন।

বিয়ে করে খুলনা ও ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে তিথীকে নিয়ে স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করেন মিঠুন। একপর্যায়ে তিথী গর্ভবতী হয়ে পড়লে তিনি জোরপূর্বক গর্ভপাত করান। পরবর্তীতে মিঠুনকে তিথী তার বাড়িতে স্ত্রী পরিচয়ে নিতে বললে তিনি দুই বিঘা জমি, ১০ ভরি স্বর্ণ ও ২০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন।

মিঠুন জানতো তিথীর পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ যার কারণে তারা যৌতুক দিতে পারবে না। যৌতুকের দাবিতে মিঠুন পরে তিথীকে নির্যাতন ও মারপিট শুরু করেন। পরে তিথী স্বামী মিঠুনের বিরুদ্ধে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন।