বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

ম্যালেরিয়ার টিকা আবিষ্কার

SONALISOMOY.COM
অক্টোবর ৭, ২০২১
news-image

সোনালী সময় ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের ওষুধপ্রস্তুতকারক কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) বিশ্বে প্রথমবারের মতো ম্যালেরিয়ার টিকা আবিষ্কারে সক্ষম হয়েছেন বলে বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা দিয়েছে।

ম্যালেরিয়ার কারণে প্রতি বছর পাঁচ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই আফ্রিকার শিশু।

আফ্রিকার তিনটি দেশে ম্যালেরিয়ার আরটিএস/এস টিকা সফল পাইলট প্রকল্পের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেড্রস আধানম গেব্রিয়েসাস বলেন, আজ একটি ঐতিহাসিক দিন।

টেড্রস জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ম্যালেরিয়া গবেষক হিসেবে আমার কর্মজীবন শুরু করেছিলাম। আমি এই পুরনো ও ভয়ানক রোগের বিরুদ্ধে কার্যকর টিকা আবিষ্কারের অপেক্ষায় ছিলাম। আজ সেই দিন, এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আজ প্রথমবারের মতো বিশ্ব জুড়ে ম্যালেরিয়ার টিকা ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছে।

আরটিএস/এস টিকাটি মস্কিরিক্স নামে পরিচিত যা ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) আবিষ্কার করেছে। ২০১৯ সাল থেকে পাইলট প্রকল্পের আওতায় ঘানা, কেনিয়া ও মালাউইয়ের আট লাখের বেশি শিশুর ওপর এর প্রয়োগ করা হয়েছে।

ম্যালেরিয়ার এ টিকা দীর্ঘ সময় ধরে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের মধ্য দিয়ে গেছে। চার বছরের বেশি সময় ধরে আফ্রিকার ছোট বাচ্চাদের ওপর চলা পরীক্ষায় এর সীমিত কার্যকারিতা পাওয়া গেছে। সাধারণ ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে এটা ৩৯ শতাংশ কার্যকর আর গুরুতর ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতার হার মাত্র ২৯ শতাংশ।

কিন্তু, গত আগস্টে লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের (এলএসএইটটিএম) নেতৃত্বে একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যখন ছোট বাচ্চাদের আরটিএস/এস ও অ্যান্টিম্যালেরিয়াল ওষুধ দেওয়া হয় তখন এটি হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর হার ৭০ শতাংশ কমিয়ে দিতে সক্ষম।

বুধবার টেড্রস বলেন, এই টিকা নিরাপদ। এটি মারাত্মক প্রাণঘাতী ম্যালেরিয়াকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে বলে আশা করি। এ টিকা অত্যন্ত সাশ্রয়ী হবে বলে ধারণা করছি। ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে এ টিকা ব্যবহার করলে প্রতি বছর হাজার হাজার তরুণের জীবন বাঁচাতে পারে।

তিনি বলেন, ম্যালেরিয়া হাজার বছর ধরে আমাদের সঙ্গে আছে। ম্যালেরিয়ার টিকার স্বপ্ন দীর্ঘদিনের। কিন্তু এতো দিন তা অধরা ছিল। ম্যালেরিয়ার টিকা তৈরির মাধ্যমে ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান চেষ্টা ফলে আজ জনস্বাস্থ্যের ইতিহাসের পথ পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের এখনও দীর্ঘ রাস্তা পাড়ি দিতে হবে। কিন্তু এই রাস্তা ধরেই আমরা দীর্ঘ পথ পাড়ি দেব।